বিকেলের ঘুরাঘুরি।
আজ বিকেলে একটু জরুরি কাজে আমাকে হাসপাতাল যেতে হয়েছিল। তো কাজ শেষে আসার সময় ভাবছিলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়ার যায় নাকি। কেননা অনেকদিন যাবৎ কোথাও যাওয়া হয়না আমাদের। আর আজকে যেহেতু বের হয়েছি সেহেতু এই সুজুগে যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও মন্দ হয়না। তো আসার সময় ভাবছিলাম কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় , তখনি মনে পড়লো আমাদের আসার পথেই একটা সুন্দর জায়গা আছে। আর হাতে বেশ ভালো সময় ছিল কেননা বাবুকে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম আজকে , আর তখন অব্দি সে ঘুম থেকে উঠেনি। তো সেই হিসাব করেই আজকে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সাহস করলাম।
আর যদি ঘুমে রেখে না যেতাম অথবা সাথে করে নিয়ে যেতাম তাহলে মোটেও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা মাথায় আনতাম না। যাই হোক , যাওয়ার পথে বেশ জ্যাম ছিল রাস্তায়। সত্যি বলতে এতো জ্যাম থাকবে আমি মোটেও ভাবতে পারিনি। কেননা এমনিতে এ জায়গাটা বেশ জ্যামজট মুক্ত থাকে। যদিও আমি এমন সময় যায়নি , গিয়েছিলাম যখন এই জায়গার আসল সৌন্দর্য যেটা হচ্ছে নদী সেটাই শুকনো ছিল। তখন দেখার মতো কিছুই ছিল না তবে এখন জিনিষটা একদমই আলাদা। রাস্তার ২ পাশে প্রবাহমান নদী । যদিও পানি বেশি একটা গভীর না তবে নৌকা চালানোর মত গভীর ছিল।
আজকে গিয়ে সেখানে বেশ সন্দর সময় কাটিয়েছি। যদিও অতিরিক্ত মানুষ থাকার কারণে বেশ অসস্থি অনুভব হয়েছিল তবে জায়গাটা সত্যি দারুন ছিল। আর জায়গাটা হচ্ছে ধরন্তি। যারা কিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বসবাস করে তারা অবশ্যই চিনবে জায়গাটাকে। আমি যেহেতু আগে একবার নদীর পানি শুকনো তাই হয়তো বুঝতে পারিনি কেন লোকজন এই জায়গাটাকে এতো সুন্দর বলে। তবে আজকে গিয়ে বেশ ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি। সত্যিই মনকে প্রফুল্ল করে ফেলার মতো একটা জায়গা। যদিও নদীর পানি থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকটা ছবি দেখেছি। কিন্তু সত্যি কারের সুন্দর্যকে কিন্তু আর ছবি দিয়ে দিয়ে অনুভব করা যায় ?
যাই হোক , সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর একটা সময় কেটেছে। আবার সেখানেই রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটা খাবারের দোকান ছিল সেখান থেকে কিছু খেয়ে আমরা রওয়ানা দেই বাড়ির উদ্দেশ্যে। বেশি একটা দেরি করিনি কারণ কখন বাবু উঠে যায় সেটার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। আসার সময়ও বেশ বেগ পেতে হয়েছে জ্যাম এর কারণে। অবশেষে ৩০ মিনিট এর রাস্তা প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় পর পারি দিয়ে আমরা বাড়িতে এসে পৌঁছাই। যাই হোক , আজ এই পর্যন্তই। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্টটি ভালো লেগেছে। আপনাদের ধন্যবাদ এতক্ষন অব্দি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।
ক্যামেরা | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max | |||
---|---|---|---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি | |||
লোকেশন | ধরন্তি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। | |||
তারিখ | ২১/০৬/২০২৪ |
![1.png](
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRGfLdQboTnPewy26GweMhKocuubSc7hrJgxS8Ba4sai7/1.png)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
বিকেলে ঘোরাঘুরির সময়ের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগছে।নিশ্চিত বলা যায় এরকম পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলে মনটি ফ্রেশ হবেই।
বিকেল বেলায় এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে খুব ভালো সময় কাটানো যায়। বাবুকে ঘুমে রেখে যেহেতু গিয়েছিলাম, তাই বুঝতেই পারছি বাবু ঘুম থেকে উঠে যাওয়ার একটা টেনশন ছিল। এরকম জায়গা গুলোতেও কিন্তু মানুষের ভিড় হয়। কারণ মানুষ এরকম প্রকৃতি অনেক বেশি পছন্দ করে। যাই হোক আপনারাও ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন এবং রাস্তার পাশে থাকা দোকান থেকে খাবার খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো পুরো মুহূর্ত অনেক সুন্দর করেই শেয়ার করেছেন। আর ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর ছিল।
আমরা ও বিকেলে কোনো কাজের জন্য বের হলে, আশেপাশে কোথাও ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে আপনার বাবু এখনো যেহেতু ছোট, তাই তাকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করলে ভালো লাগবে না। কারণ বাবুরা অনেক কান্না করে বাহিরে গেলে। বাবুকে ঘুমিয়ে রেখে গিয়েছিলেন, আর আসার সময় একটু ঘুরাঘুরি করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। জায়গাটার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলাম ফটোগ্রাফির মাধ্যমে।
বাহ্! জায়গাটি তো দারুণ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এখন তো বর্ষাকাল,তাই নদী একেবারে কানায় কানায় ভরে গিয়েছে পানিতে। এমন জায়গায় বিকেল বেলা সময় কাটাতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক হাসপাতাল থেকে আসার সময় এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে অতিরিক্ত মানুষজন দেখলে আমারও খুব অস্বস্তি লাগে। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারলাম, আপনি যে জায়গায় ঘুরতে গেছিলেন সেই জায়গার দৃশ্যগুলো কতটা সুন্দর ছিল। ধরন্তি ঘুরতে গিয়ে সবাই মিলে যে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। বিকেলের ঘুরাঘুরি সম্পর্কিত এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।