চার অক্ষরের ভালোবাসা

ভালোবাসা বাংলায় যেমন চারটি অক্ষরের ঠিক ইংরেজিতে Love শব্দটিও চারটি অক্ষরের। ভালোবাসা কিংবা Love শব্দটি উচ্চারণ করতে সময় লাগে হয়তো এক সেকেন্ড থেকেও আরো কম। তবে আমরা যদি ভালোবাসা শব্দটাকে চার ভাগে ভাগ করি তাহলে এই ভালোবাসা থেকে জন্ম নিবে দায়িক্ত , বিশ্বাস , সততা ও সম্মান। এই চারটি শব্দ মিলিয়েই তৈরি হয় ভালোবাসা। মুখে ভালোবাসা শব্দটা বলা যতটা সহজ ঠিক ততটাই কঠিন ভালোবাসার আসল পরিচয় দেয়াটা ও সেই ভালোবাসার মান ধরে রাখাটা।

বলতে পারেন আজকে আমি জীবন থেকে নেয়া বাস্তবতার কিছু আবোলতাবোল গল্প লিখেছি। কারো কাছে বিষয়টা আসলেই বাস্তব আবার কারো কাছে কিছুটা হাস্যকরও মনে হতে পারে। কারোর জীবনের সাথে কিছু কথার মিল থাকতে পারে আবার কারো জীবনের সম্পূর্ণ উল্টো হতে পারে। কথা গুলো বলার কারন হলো সকলের জীবন একভাবে একরকম চলে না। একেক জনের জীবনের পথ চলা একেক রকম হয়ে থাকে।

আপনি কি মনে করেন মুখে ভালোবাসি বললেই কি ভালোবাসা প্রকাশ পায় ? আবার মুখে ভালোবাসি কথা না বললে ভালোবাসা নেই এটা মনে করতে হয়। আসলে এর কোনোটায় না। ভালোবাসা সবসময় মুখে প্রকাশ করতে হয়না। মানুষের মন কথা বলে ,আর একজন প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ অবশ্যই তার মনের কথা বুঝতে পারবে। মুখে ভালোবাসি ভালোবাসি বলে সারাদিন চিৎকার করলেও ভালোবাসার প্রকাশ পাইনা যদি সেই ভালোবাসায় না থাকে বিস্বাস , না থাকে কোনো দায়িক্ত , না থাকে কোনো সম্মান। ভালোবাসি না বলেও দায়িক্ত , বিস্বাস ও সম্মান দিয়েও ভালোবাসার প্রকাশ করা যায়।

ভালোবাসার মধ্যে এই তিনটা বিষয় অনেক বেশি প্রয়োজন। দায়িক্ত , বিস্বাস ও সম্মান ছাড়া আপনি কোনোদিন কোনো ভালোবাসার সংসার টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। একটি ভালোবাসার সম্পর্ককে শক্ত ও মজবুত করতে এই তিনটি জিনিসের ভূমিকা অনেক বেশি। আমাদের সমাজে এখন এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে না আছে কোনো দায়িক্ত না আছে একজনের প্রতি একজনের সম্মান। আর যার কারণে সংসারের মধ্যে লেগে থাকে সবসময় ঝড়গা আর তৈরি হয় অশান্তি। আর এর থেকেই তৈরি হয় দুরুত্ব আর দুরুত্ব থেকে অবিশ্বাস। অবিশ্বাস থেকে কি হতে পারে সেটা আপনারাই বুঝে নিন।

সংসার জীবনে সুখী তারায় যারা সম্মান করতে জানে, যারা বিশ্বাস রাখতে জানে , যারা দায়িক্ত পালন করতে জানে , যারা ভালোবাসার জন্য ত্যাগ করতে জানে। যারা সব কিছুতে ধর্য্য ধারণ করতে জানে। ভালোবাসার মতো ভালোবাসতে জানে। যেন কোনো সময় যে কোনো মুহূর্তে যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালোবাসা একই রকম থাকে। ভালোবাসলে এভাবেই বাসা উচিৎ যে ভালোবাসা কখনো ভেঙ্গে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভালোবাসা হারিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় না থাকে।