প্রিয় লাইলী !! বাংলা নাটকের রিভিউ
প্রিয় লাইলী বাংলা নাটকের রিভিউ
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আবারো একটি বাংলা নাটককে রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
প্রিয় লাইলী নাটকটি রোমান্টিক ও প্রেম কাহিনী নিয়েই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই নাটকের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত বেশ রোমান্টিক ও সুন্দর কিছু প্রেমকাহিনীতে ভরপুর থাকলেও নাটকের শেষে এসে একটি দুঃখজনক দৃশ্য দেখা যায়। যে দৃশ্যটি না হলেই হয়তো নাটকটি আরো বেশি সুন্দর হতো ও ভালোবাসার সুন্দর মুহূর্তগুলো ফুটে উঠতো। নাটকের শুরুতে বেশ ভালো লাগলেও নাটকের শেষে এসে মনটা বেশ খারাপ হয়ে যায়, কারণ এত সুন্দর প্রেমের মিলটি নাটকের শেষ দিকে হয়নি। আর এই পুরো নাটকের কাহিনী আজকে আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে নিজের মতো করে রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য |
---|
নাটকের নাম | প্রিয় লাইলী |
---|---|
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
পরিচালক | জামাল মল্লিক |
অভিনয়ে | খায়রুল বাসার ও সাদিয়া আয়মান ও আরো অনেকেই। |
প্রকাশিত | ৫ জুলাই ২০২৩ |
সময় | ৪২:৩৩ মিনিট |
নাটকের মূল কাহিনী শুরু |
---|
এই নাটকে ছেলেটি ছিল অত্যন্ত গরিব। ছেলের বাবা একসময় ভালো চাকরি করলেও বর্তমানে অন্ধ হয়ে বাসায় পড়ে থাকে। ছেলের মা মারা গেছে আরো বেশ আগেই। তাদের ভাঙা একটি ঘর কোন রকম টিউশন করে ছেলে সংসার চালায়। এদিকে মেয়েটি হচ্ছে গ্রামের চেয়ারম্যান এর মেয়ে। বাবা অনেক বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। প্রতিদিন ছেলেটি সাইকেল নিয়ে টিউশনে যাওয়ার সময় মেয়েটির সাথে দেখা হয়। ঠিক সেই সময়ে মেয়েটিও তার বান্ধবীর সাথে স্কুলে যেত। প্রতিদিন তাদের মধ্যে চোখে চোখ ও মুখে হাসি দিয়ে তাদের প্রেম কাহিনী শুরু হয়। একজন আরেকজনকে ভালো লাগতো বলেই সেখান থেকেই ভালোবাসার শুরু হয় কিন্তু কখনো কেউ কারো সাথে কথা বলার সুযোগ কিংবা সাহস করে ওঠেনি।
মেয়েটি মনে মনে খুব চাইতো ছেলেটি যেন এসে তার সাথে কথা বলে। কিন্তু সেই ছেলেও কখনো ওইভাবে সাহস করে এসে কথা বলতে পারিনি। যখনই দেখা হতো তখনই মুখে মুচকি একটি হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকতো আর তখন মেয়েটিও মুচকি হাসি দিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থেকেই চলে যেত। এভাবেই একদিন মেয়ের সাথে থাকা বান্ধবী ছেলেটির সাথে কথা বলে ও ছেলেটির মনের সকল কথা জানতে চাই এবং সেই বান্ধবীর মাধ্যমেই তারা দুজন একসাথে একদিন দেখা করে। নির্দিষ্ট সময়ে তখন তাদের ভালোবাসার কথাগুলো একজন আরেক জনকে প্রকাশ করে ও অনুভূতিগুলো শেয়ার করে।
একটা সময় মেয়েটির টিউশন মাস্টারের চাকরি হয়ে যায় এরই মধ্যে মেয়েটির জন্য মেয়ের বাবা টিউশন মাস্টার খুজতে থাকে। তখন মেয়েটি মেয়ের বাবাকে সেই ছেলের কথা বলে যে বাবা আমার বান্ধবীর পরিচিত একজন টিউশন মাস্টার আছে আপনি চাইলে সেই মাস্টারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। শুনেছি উনি অনেক ভালো মাস্টার। বাবা এই কথা শুনে সেই ছেলে মানে টিউশন মাস্টারকে ডাকে ও তার সাথে কথা বলে। আর এই মেয়েকেই পড়ানোর জন্য এই টিউশন মাস্টারকেই বাবা পছন্দ করে। আর এখানেই তাদের প্রেম যেন আরো গভীর থেকে গভীর হয়। একজন আরেক জনকে আরও বেশি ভালবাসতে শুরু করে।
তাদের কথা মুখে খুব কম হলেও চিঠিতে আজান প্রদান করা হতো অনেক বেশি।মেয়ের বাড়ির সামনে নির্দিষ্ট একটি জায়গা ছিল যেখানে মেয়েটি চিঠি রাখতো ও ছেলেটি সেখানে থেকে চিঠি নিয়ে যেত এবং ছেলেটি সেখানে চিঠি রাখতো ও মেয়েটি সেখান থেকে চিঠি নিয়ে যেত। হঠাৎ একদিন চিঠির রাখতে গিয়ে বাবা দেখে ফেলে আর এই চিঠি আধা-প্রদান দেখে মেয়ের বাবা বুঝে যাই যে তাদের মধ্যে কোন একটা সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ের বাবা সেখান থেকে তাদের রাখা দুইজনের চিঠি নিয়ে নেই ও হুবহু নকল করে চিঠির মধ্যে অন্য কিছু লিখে দিয়ে আবার সেখানেই রেখে দেয়।
ছেলের দেয়া মেয়েটির জন্য চিঠিতে লিখে দেয়- তুমি অনেক ভালো ছাত্রী। অনেক ভালো রেজাল্ট করেছো। তুমি তোমার বাবার কথা মতো চলে যাবে শহরের কোন কলেজে লেখাপড়া করতে। তোমার বাবা তোমাকে ডাক্তারি পড়াবে ও ডাক্তার ছেলের সাথে তোমার বিয়ে দিবে। আমি ভেবেছিলাম তোমাকে বিয়ে করে তোমার বাবার সকল সম্পত্তি নিব কিন্তু তা বোধহয় আর হবেনা। তুমি তোমার মতো থাকো আর আমি এখন অন্য কোনো মেয়ের চিন্তা করি। কারণ তোমাকে তো আমি আর পারছি না আর তোমাকে না পেলে তোমার সম্পত্তিও পাব না। তাই তোমার পিছনে আমি আর সময় নষ্ট করতে পারবো না।
আর এদিকে মেয়ের দেয়া ছেলেটির জন্য চিঠিতে লেখা ছিল- তুমি অনেক গরিব ও ছোটলোক। আমি অনেক ভালো রেজাল্ট করেছি আর এখন আমি শহরে গিয়ে ভালো কোন কলেজে পড়বো ও ডাক্তার হয়ে ডাক্তার ছেলেকে বিয়ে করবো। তোমার মতো এমন ছোটোলোকে আমি কোনোদিন ভালোবাসিনি ও বয়েও করবো না। তুমি মোটেও আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।
আর এভাবেই তাদের দুজনের সম্পর্কটা নষ্ট করে দেয়। ছেলের এমন লেখা পড়ে মেয়েটি ওঝরে কান্না করতে লাগলো ও মন থেকে ঘৃণা করতে লাগলো। একইভাবে ছেলেটিও মেয়ের এই লেখা পড়ে অঝোরে কান্না করতে লাগলো ও মেয়েটির প্রতিও একটি দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল। পরিশেষে বাবা মেয়েটিকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়। আর ছেলেটি পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। আর এখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত |
---|
ভালোবাসা কখনো সুন্দর আবার কখনো কালো কুৎসিত। তবে সুন্দর ভালোবাসাকে কখনো কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে দেওয়াটা মোটেও ঠিক নয়। ভালোবেসে যদি একজন আরেকজনকে নিয়ে ভালো থাকতে পারে, সুখী থাকতে পারে তাহলে অন্য কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই নাটকে বাবা চরিত্রের লোকটি যে অন্যায়টি করেছে ছেলের লেখা ও মেয়ের লেখা হুবহু নকল করে দুজনের মধ্যে একটি ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে দিয়েছে ও তাদের ভালোবাসাকে পুরোপুরি ভাবে নষ্ট করে দিয়েছে তা মোটেও কাম্য নয়। আমি মনে করি ভালোবাসাকে সম্মান করা উচিত ও প্রত্যেকের ভালোবাসাকে মর্যাদা দিয়ে ভালোবাসার মানুষের সাথে মিলিয়ে দেওয়া উচিত। প্রকৃত ভালোবাসা গুলো সারা জীবন বেঁচে থাকুক মানুষের মনে ও সেই ভালোবাসা গুলোই ইতিহাস সৃষ্টি করে পৃথিবীতে বুকে।
নাটকটির ইউটিউব লিংক |
---|
প্রিয় লাইলী নাটকটি দেখেছি। তবে শেষের কাহিনী আমার কাছে খারাপ লেগেছে। মেয়েটির বাবার জন্য তাদের মিল হয়নি। খায়রুল বাসার ও সাদিয়া আয়মান এর বেশ কয়েকটি নাটক দেখেছি। দুজনের অভিনয় বেশ ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
খাইরুল বাশার এর নাটক ইদানিং খুবই চমকপ্রদ হয়ে উঠেছে। গতকাল আমি তার একটি নাটক সাদা পায়রা নামে লিখেছিলাম বেশ ভালই লেগেছে। আজকে আপনি যে নাটকটি রিভিউ দিয়েছেন এটার কাহিনী আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ নাটকটি দেখলে আরো ক্লিয়ার হওয়া যাবে। নামটা শুনে খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে।ধন্যবাদ আপু চমৎকার এই নাটকটি রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।আপনি একদম ঠিক বলেছেন সত্যিকারের ভালোবাসাকে সম্মান দেয়া উচিত।বাবার ভূমিকায় যে মানুষটি আছে তার কাজটি করা ঠিক হয়নি।নাটকটি দেখা হয়নি যদিও। সময় সুযোগ করে দেখে নেবো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি আপু ভালোবাসা কখনো সুন্দর কখনো কুৎসিত। তবুও সবাই ভালোবেসে। কোন কিছু না ভেবেই হয়তো ভালোবেসে ফেলে। এই নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও নাটকটি দেখিনি। তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। নাটক দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে।
আশা করি ভালো আছেন আপু ? বেশ সুন্দর একটি নাটক উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। প্রিয় লাইলী নাটকটি আমার দেখা হয় নি তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর একটি নাটক। আপনি ঠিকই বলেছেন আপু ভালোবাসার মূল্যায়ন করা উচিত যে ব্যক্তি তাকে যাকে ভালবাসে তার সাথে মিলিয়ে দেওয়া উচিত । যারা প্রকৃতভাবে সত্যি কারে ভালোবাসে তাদের ভালবাসাকে জয় হোক। এত চমৎকার নাটক আমাদের মাঝে সুন্দর করে রিভিউ করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন আপু।
প্রিয় লাইলী নাটকটার রিভিউ পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। এরকম বাংলা নাটক গুলো রিভিউ পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আসলে ভালোবাসার মধ্যে এভাবে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না করে ভালোবাসাকে মিলিয়ে দেওয়া উচিত। আর ভালোবাসাকে সম্মান এবং মর্যাদা দেওয়া উচিত। আসলে এরকম নাটক গুলো আমার বেশিরভাগ সময় দেখা হয় তবে এটি দেখা হয়নি। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটা দেখার চেষ্টা করব।
বাংলা নাটক টার রিভিউ অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপু। আপনার পোস্টগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে পড়তে। এই নাটকটা আমি দেখেছিলাম কালকে সন্ধ্যাবেলায়। আর আজকে আপনার রিভিউর মাধ্যমে রেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। আসলে ভালোবাসা কে মর্যাদা দিয়ে মিলিয়ে দেওয়া উচিত, কখনো ভালোবাসা নষ্ট করা উচিত না। অনেক সুন্দর টপিক তুলে ধরেছে পরিচালক এই নাটকটির জন্য।
নাটকটি হয়তো কোনদিন আমি দেখিনি, তবে আপনার এই রিভিউ দেখে বুঝতে পারলাম অনেক সুন্দর একটি নাটক। তবে এ জাতীয় নাটকগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যেখানে সুন্দর রোমান্টিকতা প্রেম অনুভূতি রয়েছে।
নাটকের রিভিউটি পড়ে আমার প্রথমে খুব ভালই লেগেছিল কারণ প্রেমের কোন গল্প হলে সেটি পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে। কিন্তু শেষ কাহিনী পড়ে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটির বাবা যদি চিঠিতে এমন কোন কথা যদি না লিখতো তাহলে হয়তো তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেত। মেয়েটির বাবার প্রতি আমার খুবই রাগ হচ্ছে কারণ উনি সুন্দর সম্পর্কটা নষ্ট করে দিল মেয়েটির বাবা এই কাজটা না করলেও পারতো। যদি নাটকের শেষে কাহিনীতে তাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেত তাহলে নাটকটা আরো জমে যেত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
নাটকের রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
যদিও নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নাটকের রিভিউটি পড়ে বা জানতে পেরে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর একটি নাটক। তবে চেষ্টা করব নাটকটি দেখার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপু প্রিয় লাইলী বাংলা নাটকের রিভিউটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।