স্বরচিত কবিতা - তীব্র গরমের যন্ত্রনা
ইদানিং তাপমাত্রা এতটাই বেড়েছে যে মানুষ গরমের অশান্তিতে দিনরাত কষ্ট করছে। শান্তি বলতে কোথাও নেই বললেই চলে, অস্বস্তিকর গরমে পানিও যেন আগুনের মতো ফুটে আছে। তবে কি আর করা খোদার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া যেনো আর কোনো উপায় নেই। একটা নোই দুইটা নোই তিন তিনটে ফ্যান লাগিয়ে যেন গরমের প্রভাব কমানো সম্ভব হচ্ছে না, এদিকে মাঠ ঘাটের মাটি শুকিয়ে যেন কাঠ হয়ে গেছে। বৃষ্টির অপেক্ষায় যেন দিন গুনছে প্রত্যেকেই। গরমের অশান্তি ভোগ করতে করতে মানুষজনও ক্লান্ত আর তৃষ্ণার্ত পাখির মত পানি পানি পানি করে দিন পার করছে, তবে এই কষ্টের শেষ কোনদিন হবে জানি না। কখন আসবে আকাশ থেকে মেঘের গর্জন করে বৃষ্টির ঝর্ণা। এই ঝর্ণা যেন বয়ে নিয়ে আসবে এক শান্তির ভান্ডার। শুধু মানুষ জাতি না শান্তি পাবে ফসলের জমিন , পশুপাখি , গাছপালা সবকিছু।দিনের পর দিন যেন তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে । তবে পরিশেষে একটাই প্রার্থনা প্রভুর কাছে, এবার ঝরিয়ে দাও বৃষ্টির মুষলধারা শান্তিকর পৃথিবীর তৃষ্ণার্ত মানুষগুলোকে।
আর আজকে আমি প্রচন্ড এই গরমকে কেন্দ্র করে এমনি কিছু কবিতার লাইন লিখেছি। ছন্দে ছন্দে মিলিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি। কবিতা লিখতে কার না ভালো লাগে। মনের গভীর থেকে কিছু একটা নিয়ে ভাবলেই যেন কবিতার মতো লাইন গুলো মুখে বলতে থাকি যদিও এটা সবসময় হয়ে উঠে না। যাইহোক আশাকরি আপনাদের কাছে আমার লেখা আজকের কবিতার লাইন গুলো ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.........
তীব্র গরমের যন্ত্রনা
তৃষ্ণা আর পিপাসা লাগে চরম,
এই গরমে পাখা আমার বন্ধু পরম,
বাতাসে বাতাসে উড়ে গেলেও যেন কমে না গরম।
লাজ-লজ্জা সবার শরম,
প্রেস্টিজ ভুলে সাজসজ্জা তুলে
গামছা-লুঙ্গি পরে পাল্টে গেছে সবার ধরন।
সকলের মুখে শুধু একটাই কথার বন্যা,
এবার বন্ধ করো গরম খোদা
নিতে পারছি আর না আর না ।
ফেটে হলো একাকার,
বৃষ্টির বাদলের শোকে শোকে
পুড়ে হলো সবে ছারখার ।
বৃষ্টির ঝর্ণা ধারা ।
নয়তোবা নিঃশেষ হবে
মানুষের জাতি পাড়া ।
তাকিয়ে থাকি আকাশ পানে
এই বুঝি আকাশ ডাকলো
মেঘ নামলো তুফান বানে।
হারিয়ে গেছে হিমেল বাতাস
এবার বুঝি রক্ষা নেই আর
গরম আর গরম বলে সবাই হতাশ।
সমাপ্ত
আপনি গরম কে কেন্দ্র করে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন আপু। আপনি ঠিক কথাই বলেছেন আপু মনের গভীর থেকে কিছু একটা ভাবনা নিয়ে লিখলে অনেক কিছুই লেখা যায়।
তবে কবিতা নিরিবিলি পরিবেশে আমার মনে লাইনগুলো বেশি মাথায় আসে।আমিও দুই এক কলম কবিতা লেখি এজন্যই বললাম। আপনার কবিতাটি আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ।
তীব্র গরমের যন্ত্রনা নিয়ে খুবি সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতা পড়ে খুবি ভালো লেগেছে, এতো সুন্দর কবিতা লিখেছেন যা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এই লাইন গুলো অসাধারণ ছিলো।
গরম নিয়ে খুব সুন্দর একটা কবিতা শেয়ার করেছেন আপু।বাস্তবতামুখী কবিতা লিখলেন,খুব ভালো হয়েছে।সত্যি ই তৃষ্ণার্ত কাকের মতো আকাশপানে চেয়ে থাকি একটু বৃষ্টির আশায়, কোথায় পাই বৃষ্টির দেখা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অতিরিক্ত গরম সত্যিই মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।যদিও এর জন্য মানুষ কিছুটা দায়ী কারন অতিরিক্ত বৃক্ষ কাটার ফলেই পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে।যাইহোক আপনি গরম নিয়ে দারুণ একটি কবিতা লিখেছেন ছন্দ মিলিয়ে।ভালো লাগলো পড়ে, ধন্যবাদ আপু।
আপু, আপনি "তীব্র গরমের যন্ত্রনা" শিরোনামে চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। আসলে আপু এই প্রচন্ড গরমে আমরা সকলেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের জন্য এই গরম সহ্য করা খুবই কঠিন। আমাদের সকলের চাওয়া আল্লাহ যেন খুব তাড়াতাড়ি এই গরম থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন।