শৈশবে ভালোবাসার গল্প

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

শৈশবে ভালোবাসার গল্প

image.png

image source

কথায় আছে যে যেটা চাই সে সেটা পায়না আর যে যেটা চাইনা তার কাছে বার বার সেটাই আসে। আমার আজকের লেখা গল্পটি এমনি একটি বিষয় নিয়ে। অনেক বড় ব্যাবসায়িক বাবার সন্তান। টাকার বাড়ি গাড়ি কোনো কিছুর যেন অভাব নেই। তবে তার কাছে এই সব কোনো কিছুই যেন ভালোলাগে না। তার কাছে ভালো লাগে খোলা আকাশ, মুক্ত বাতাস আর সবুজ প্রকৃতি। ধুলাবালুর আর ইট পাথরে ঘেরা যানজটের শহরে সে একদমই থাকতে পারছে না। ছোট বেলায় সে গ্রামে বড় হয়েছে। গ্রামের শৈশব এখনো তার মনেপরে আর বার বার ফিরে যেতে চাই তার সেই গ্রামের শৈশবে। খেলার মাঠ, স্কুল, গ্রামের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, খোলা আকাশ ও সবুজ প্রকৃতি যেন তাকে প্রতি নিয়ত টানে।

সে এখন বেশ বড় হয়েছে আর এদিকে বাবারও বয়স হয়ে আসছে তাই বাবা তার ব্যাবসার কিছু ভার ছেলের কাঁধে দিতে চাচ্ছে। যা ছেলের একদমই পছন্দ না। আর এগুলো নিয়ে বাবা ছেলের উপর বেশ রাগ করে ও রাগের মাথায় কিছু কড়া কথা বলে ফেলে। আর এই জন্য ছেলে রাগ করে তার শৈশব কাটানো গ্রামে চলে আসে। সে যেন এই সময়টার অপেক্ষায় করছিলো। গ্রামে রয়েছে তাদের বিশাল বাড়ি কিন্তু সেই বাড়িতে কেউ থাকে না। এত বড় একটা শুন্য বাড়ি যেন অনেক দিন পর আজ একজনের দেখা ফেলো। গ্রামের মানুষের চোখে তারা অনেক উঁচু পরিবারের মানুষ ও বেশ সম্মানিত বলেই পরিচিত। গ্রামের সবাই তাদেরকে চিনে ও জানে।

গ্রামে এসে সে প্রথমে তার শৈশব কাটানো প্রতিটা জায়গা ঘুরে দেখতে লাগলো আর মনে মনে শৈশবের স্মৃতি চারণ করতে লাগলো। এরপর চলে গেলো তার প্রাইমারি স্কুলে। সেখানের হেডমাস্টারকে সে চাচা বলে ডাকতো আর হেডমাস্টার স্যারও ওকে দেখে বেশ খুশি হলো। তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষন কথোপকথন হলে এক পর্যায়ে স্যার বলে হটাৎ কি মনে করে এই গ্রামে তোমার পদার্পন হলো? তখন সে কিছুটা লজ্জাবোধ করে বললো আমি আবার স্কুলে ভর্তি হতে চাই। আমি আবার আমার শৈশবকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে চাই। আপনি কি আমাকে এই বিষয়য়ে সাহায্য করতে পারেন। এই কথা শুনে স্যার বেশ কিছুক্ষন হাসলো ও বললো সত্যি তুমি পাগল হয়ে গেছো।

হেডমাস্টার স্যার কথা শুনে হাসলেও কথাটি যেন ফেলে দিতে পারলোনা। একপর্যায়ে রাজি হলো ও বললো তুমি ক্লাসে যাও আর ক্লাস শুরু করো। সে তখন ক্লাস ফোরের বাচ্চাদের ক্লাসে গিয়ে বসলো আর তার দিয়ে তাকিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা সবাই হাসতে শুরু করলো। এই মুহূর্তে সেও বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে ও নিজেকে সবার সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক তখনি এক সুন্দরী ম্যাডাম এসে ক্লাসে হাজির হন আর সে যেন তার শৈশব ফেলে বর্তমান সুন্দরী ম্যাডামের দিকেই তাকিয়ে থাকেন।

চলবে.......

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 11 months ago 

প্রতিটা মানুষের জীবনে বেড়ে ওঠা শৈশব। গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে উঠলে সেই স্মৃতি কখনোই ভুলে থাকতে পারবে না যেটা এই গল্পের মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলে ধরেছেন ।আসলে ফেলে আসা দিনগুলো কখনোই ভুলবার নয় যেমনটা তিনি ফিরে এসেছেন আপন করে সবকিছু পেতে চেয়েছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আসলে আমাদেরও কিন্তু মাঝে মাঝে এরকম শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। শৈশবের কথা মনে পড়লে প্রচন্ড আবেগপ্রবণ হয়ে যাই আমরা। শৈশবে স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আমাদের সবারই এরকম হয়।

কিন্তু শেষে ম্যাডামকে দেখে শৈশব থেকে ফিরে এলো ব্যাপারটা পড়ে হাসি পেল।

 11 months ago 

আসলে শৈশবের এমন একটা জিনিস যেটাকে মানুষ বড় হলেই মিস করে। শৈশবে অনেকে আশা করে থাকে কবে বড় হব কিন্তু বড় হওয়ার পরে ভাবতে থাকে আবার যদি সেই পুরনো শৈশবটাকে ফিরে পেতাম। যাইহোক আপনার গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটির প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

যারা গ্রামে বড় হয়েছে তাদের কাছে শহর একেবারেই ভালো লাগে না। যদিও জীবিকার তাগিদে অনেককে থাকতে হয় শহরে। তবে শৈশবের স্মৃতি আসলেই মধুর। তাইতো বারবার শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক অবশেষে ছেলেটি তাহলে ক্লাস ফোরের ক্লাসরুমে গিয়ে বেঞ্চে বসেই পরলো। না বসলে তো সুন্দরী ম্যাডামের দেখাও পেতো না। গল্পটি পড়ে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago (edited)

সব মানুষই বড় হয়ে গেলে আবার সেই শৈশবে ফিরে যেতে চায়।শৈশবের কথা মনে হলে অনেক বেশি আবেগপ্রবন হয়ে যাই আমরা সবাই।সুন্দরী ম্যাডামকে দেখে তাকিয়ে রইলেন, ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং বটে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59871.00
ETH 2671.84
USDT 1.00
SBD 2.47