12th fail || মুভি রিভিউ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago (edited)

12th Fail || মুভি রিভিউ

image.png

Img src

হ্যালো বন্ধুরা।
সবাই কেমন আছেন ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি ভারতীয় একটি হিন্দি মুভি এর রিভিও করার চেষ্টা করেছি ও আপনাদের সাথে নাটকের সম্পূর্ণ কাহিনী সুন্দর ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

সত্যি কথা বলতে আমি সাইফাই এবং থ্রিলার মুভি বেশি পছন্দ করি । তবে আজকে যে মুভি এর রিভিউ দেব সেটা কোনো সাইফাই বা থ্রিলার মুভি না। এটা হচ্ছে সত্যি কারের জীবন কাহিনীর উপর নির্মিত একটা মুভি। সত্যিই খুবই দারুন একটা মুভি এটা। এটার থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। বিশেষ করে আমাদের জীবনে আমরা কিভাবে এগিয়ে যেতে পারবো এই ধরণে বেশ ভালো ভালো কিছু ম্যাসেজ আছে আমাদের শিখার মতো। যাই হোক , আমি আজ মুভির কাহিনীটাকে একদম সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো , তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


মুভির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
মুভির নাম12th fail
পরিচালকবিধু বিনোদ চোপড়া
অভিনয়েভিক্রান্ত মাসেই , মেধা শংকর ও আরো অনেকেই।
প্রকাশিত২৭ অক্টোবর , ২০২৩
সময়২ ঘন্টা ২৭ মিনিট
মুভির মূল কাহিনী শুরু
মুভির শুরুতে আমরা দেখতে পাই মনোজ যার কিনা সামনে পরীক্ষা। এবং তাদের পরিস্থিতি খুবই করুন ছিল। তারপর যখন তার পরীক্ষা শুরু হলো তখন সেই বছর তাদের স্কুলএ কেউই পাস করতে পারে নাই। তার কারণ হচ্ছে তার স্কুলএ সারাবছর কোনো পড়ালেখই হতো না শুধু মাত্র পরীক্ষার সময় নকল করার মাধ্যমে সকল স্টুডেন্ট দেড় পাস করিয়ে দিতেন শিক্ষকরা । কিন্ত এই বছর নতুন পুলিশ অফিস আশায় সেই গ্রামের স্কুলএ আর নকল করতে দেয়া হয়নি। তো এখন আর কি করার , সবাই সেইবছর ফেল হয়ে যায়। ফেইল হওয়ার কিছুদিন পর মনোজ এর কোনো একটা লাগলে সেই নতুন পুলিশ অফিসার এর সাথে দেখা হয়। এবং সে বলে যে সেও একদিন সৎ পুলিশ অফিসার হতে চায়।


সে তখন সেই পুলিশ কে জিজ্ঞেস করে কিভাবে সে তার জীবনে উনার মতো পুলিশ অফিসার হতে পারবে। তখন সেই পুলিশ বলে তাকে নকল করা ছাড়তে হবে। এবং সেই কথা শুনার পর দ্বিতীয় বছর যখন সে পরীক্ষা দিতে যায় তখন ওর ক্লাস এর সবাই নকল করলেও সেই একমাত্র ছিল যে কিনা কোনো নকল করেনি। যদিও তার ফলাফল বাকিদের থেকে অনেক কম ছিল কিন্তু সে খুবই খুশি ছিল কারণ সে নিজ যোগ্যতায় পাস করেছিল। তারপর তার এখন দেশ ছাড়ার পালা। দাদি এবং মা বাবার থেকে বিদায় নিয়ে সে চলে আসে শহরে। সেই শহরে তার কেউ নেই চীন পরিচিত। তার মধ্যে আসার পথে এক মহিলা তার ব্যাগ নিয়ে যায়। শহরে সেই প্রায় ২ দিন ধরে না খাওয়া।


তখন একটা হোটেল এ একটা ছেলের সাথে দেখা হয়। এবং সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় এবং সেখানেই তার যাত্রা শুরু হয় একজন আইএসপি অফিসার এর যাত্রা। সেই বন্ধুটি সত্যিই অনেক ভালো ছিল। তাকে তার এই বিপদের সেই বন্ধুর ঘরে জায়গা দিয়ে সাহায্য করেছিল। এবং সেই বন্ধুই তাকে একটা ভাইয়ার কাছে নিয়ে যায় যেখানে আইএসপি অফিসার এর পরীক্ষায় পাস করার জন্য সকল ধরণের গাইড দিতেন । এবং সেখানকার শিক্ষকও ছিল বেশ ভালো। মনুজকে তিনি একদম বিনামূল্যেই গাইড করার প্রতিজ্ঞা নেন। তারপর মনোজ একদিন একটা কোচিং এ ভতি হওয়ার জন্য যাওয়ার পর সেখানে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়।


এবং তাদের পরিচয় বেশ ভালো দূর পর্যন্ত গড়ায়। মেয়েটাও মনোজকে অনেক সাহায্য করেছে সফলতার জন্য। তারপর তার আইএসপি অফিসার হওয়ার পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এই পরীক্ষার ৪ টি ধাপ রয়েছে। এবং তার কাছে সময় রয়েছে ৪ বার। তার মাত্র ৪ বার পরীক্ষা দেয়ার সুজুগ রয়েছে। আসলে আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে কতবার পরীক্ষা দেয়ার সুজুগ ছিল। যদি আমার কোথাওভুল হয় এবং কেউ এই মুভিটি দেখে থাকেন থামলে অবস্যই আমার ভুলটাকে শুধরে দিবেন আশা করছি। যাই হোক , প্রথম বছর সে প্রথম ধাপেই ব্যর্থ হয়ে যায়। এভাবে করতে করতে ২ বার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তৃতীয় বার সে এতটাই তিক্ত হয়ে যায় যে পরীক্ষা শেষে সে তার বাড়ি চলে আসে। তার আগে সেই শ্রদ্ধকে তার ভলোবাসার কথা জানাতে শ্রদ্ধা তাকে সরাসরি না করে দেয়। এতে করে সে আরো ভেঙে পরে। আর শ্রদ্ধা হচ্ছে সেই মেয়েটি যার সাথে তার একটা কোচিং এ ভর্তি হওয়ার সময় পরিচয় হয়েছিল।


তারপর সে যখন বাড়ি যায় তখন দেখে তার দাদি মারা গিয়েছে। তারপর মনোজ এর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তারপর একদিন তার মা তাকে ধরে কান্না করতে শুরু করে। এতে করে সে অনেকটা সাহস পায় মনের মধ্যে। এবং সে ভাবে এই শেষ সুজুগ তার হাত ছাড়া করা যাবে না। এবং এই শেষ বার কিছু করার উদ্দেশ্যে সে তার পুরো যান জীবন দিয়ে শুরু করে দেয় তার চেষ্টা। কঠিন পরিশ্রম করার পর অবশেষে তার ভাইভার পালা। এর মধ্যে শ্রদ্ধা তাকে ভালোবাসার চিঠি পাঠিয়েছে এবং আইএসপি অফিস যদি সে নাও হতে পরে তাহলে ও শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে রাজি। এই দৃশ্যটা সত্যি অসাধারণ ছিল। যাই হোক , ভাইভা দেয়ার সময় বেশ সাহসিকতা ও সততার পরিচয় দিয়েছিলো সে। তারপরও ১২তম তে ফেইল শুনার পর উনারা মনোজকে বেশ অপমান করার চেষ্টা করেছে কিন্তু মনোজ প্রতিটা জবাব সততার সহিত দিয়েছে। তারপরও উনাদের ব্যবহার শুনার পর মনোজ এর কোনো মতেই মনে হচ্ছিলোনা সে আর আইএসপি অফিসার হতে পারবে।


রেজাল্ট এর দিন আসলো , মনোজ আসতেও নারাজ ছিল রেজাল্ট দেখতে। কিন্তু শ্রদ্ধা তাকে টেনে নিয়ে এসেছে। কিন্তু মনোজ আর তার রেজাল্ট খুঁজতে গেলো না , শ্রদ্ধাকেই পাঠালো রেজাল্ট দেখতে। তখন রেজাল্ট দেখে শ্রদ্ধা কান্না করতে করতে ইশারায় তাকে "হ্যা" তখন মনোজ তার হাটু গেড়ে বসে কান্না করতে শুরু করে। এ তো খুশির কান্না , এ তো হচ্ছে সফলতার কান্না। তারপরই ওর সেই বন্ধু যার কারণে মনোজ এর এখানে অবধি আশা সে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। তারা সত্যিই অনেক খুশি ছিল মনোজ এর এই সফলতার জন্য। তার তার বাবা মার্ কথা তো বললামই না। আমি সত্যিই কান্না করে দিয়েছিলাম এই পর্যায়ে এসে। একটা মানুষ কোথায় থেকে কোথায় চলে আসে তার অক্লান্ত পরিশ্রম এর কারণে ।


আর শেষে সেই মনোজ তার গ্রামের বাড়ির সেই পুলিশ অফিসার এর সাথে দেখা করতে যায়। মনোজ তার অফিস এ ঢুকার সাথে সাথে সেই অফিসার মনোজকে স্যালুট জানায় তারপর তাকে জিজ্ঞেস করে সে মনোজকে চিনেছে কিনা , তখন সেই অফিস "না" বললে তখন মনোজ বলে "আমি সেই যাঁকে আপনি বলেছিলেন নকল ছাড়তে পারলে আমিও একদিন আপনার মতো অফিসার হতে পারবো " এবং তখনি সেই অফসি তাকে চিনে ফেলে আর তাকে আবার স্যালুট জানিয়ে মনোজকে জড়িয়ে ধরে। এবং তারই মধ্যে দিয়ে মুভিটি শেষ হয়।


ব্যক্তিগত মতামত
ছবিটি থেকে অনেক কিছু আমরা শিখতে পারবো। বুঝতে পারবো একটা মানুষ কতটা দূর অব্দি যেতে পারে তার চেষ্টার দ্বারা। সত্যি বলতে এই মুভিটি এককথায় অসাধাণ। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে এই মুভিটি।



মুভির ট্রেইলার লিংক

ব্যক্তিগত রেটিং
9.5/10

সমাপ্ত

1.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

_

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 months ago 

এই মুভিটা মোটামুটি অনেক ভাইরাল হয়েছে, অনেক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও মুভিটা এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি, দু একজনের রিভিউ করে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। আপনার রিভিউটা পরেও মোটামুটি ভালই ধারণা হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

বাহ্! বেশ শিক্ষণীয় একটি মুভির রিভিউ শেয়ার করেছেন আপু। মনোজ অবশেষে সফল হয়েছে, এটা দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। আসলে চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া সফলতা অর্জন করতে হলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। এই মুভিটি দেখলে নিজের জীবন গড়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বেশ অনুপ্রাণিত হবে বলে আমি মনে করি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি মুভির রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

আসলে এই মুভিটি যখন আমি প্রথমে সিনেমা হলের বাইরে পোস্টারে দেখেছিলাম তখন তেমন একটা বেশি গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু যখন পরবর্তীতে আমাজন প্রাইমে এ ছবিটি রিলিজ হল তখন আমি ঘরে বসে টিভিতে মুভিটি দেখেছিলাম। আসলে আমার এক কথায় মুভিটি অসাধারণ লেগেছিল। আর আমি এই মুভিটিকে একশোর ভিতর ২০০ নম্বর দিতে চাই। কেননা এই চরিত্রগুলো প্রতিটা বাস্তব এবং সত্যি ঘটনা অবলম্বনে এই ছবিটা নির্মিত। এছাড়াও ছবিতে যারা অভিনয় করেছে তাদের অভিনয় কিন্তু এক কথায় অসাধারণ ছিল।

 2 months ago 

12th ফেল মুভিটা একেবারে সাড়া ফেলে দেয় চারিদিকে। মুভির কাহিনী টা ভারতীয় একজন আইএস অফিসারের জীবনী নিয়ে তৈরি করা। পাশাপাশি মনোজ শর্মার ক‍্যারেক্টার করা অভিনেতা টা অসাধারণ অভিনয় করেছে। মুভির প্লট টা দারুণ ছিল। এবং শ্রদ্ধার মতো ভালোবাসার মানুষ থাকলে যেকোনো কঠিন পরীক্ষা উতরে যাওয়া যায়। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা মুভি এটা সেটা বলায় যায়। দারুণ রিভিউ করেছেন মুভি টার আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।।

 2 months ago 

কয়েকদিন থেকেই ভাবছিলাম এই মুভিটি দেখবো। দেখবো দেখবো করে আর দেখা হয়নি। আপু আপনি এত সুন্দর করে এই মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমি চেষ্টা করব এই মুভিটি দেখার।

 2 months ago 

আমরা সবসময় মুভিগুলোতে প্রেমের সিন দেখে থাকি।এই মুভিটি একজন ব্যর্থ ছাত্রের সফল হওয়ার গল্প ।স্ট্রাগল ,অভাব মানুষকে দমিয়ে রাখতে পারেনা।মুভিটি দেখেছি আমি।ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পোস্টটি।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.025
BTC 56204.99
ETH 2395.80
USDT 1.00
SBD 2.38