প্রচুর গরম পরতেছে আর অনেক কারেন্টের প্যারায় আছি। ছোটবেলায় ঈদ আসলে যেরকম খুশি হতাম, এখন একটু কারেন্টের দেখা পাইলে ওরকম লাফালাফি করি।
এই ছোট ছোট বেগুন গুলাকে আমরা আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলি (ব্যাড বাইউন, শুদ্ধ ভাষায় বলি বিউটি বেগুন বা পুট্টি বেগুন)
আপনাদের অঞ্চলে কি নামে চিনেন একটু জানাবেন
আমার দাদী শাশুড়ির আমলের কুচকুচে কালো একটা পাতিল নিলাম। পাতিলে বেগুনগুলা ভালো করে ধুয়ে কাঁচা মরিচ আর বেগুন মাটির চুলায় পোড়া পোড়া হওয়ার জন্য বসলাম
যখন বেগুন গুলো একদম নরম, পুড়া পুড়া হয়ে গেছে তখন পাতিল থেকে একটা ঝাকাতে ঢেলে নিলাম
খাঁচা পেঁয়াজ কুচি কুচি করে নিলাম
ছোট চিংড়ি টেলে নিলাম যাতে শুটকির সুগন্ধ টা আসে।শুটকি গুরি করে নিলাম
এক পাশে কাঁচামরিচ গোলা নিলাম
এবার একটা প্লেটে কাঁচা মরিচ, কাঁচা পেঁয়াজ আর ওই পুটটি বেগুনগুলা ভালো করে কচলায় নিলাম সাথে শুটকি গোলা ভালো করে কচলাই নিলাম
আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য বেগুনগুলা কে আলাদা করে দেখাচ্ছি,, কছলাই এভাবে নিলাম
বেশি করে সরিষার তেল দিলাম
এবার সব উপকরণ একসাথে ভালো করে মিক্স করে নিলাম পুট্টি বেগুন, শুটকি, কাঁচা মরিচ, পেয়াজ, লবণ ও সরিষার তেল সব একসাথে ভালো করে মিক্স করে এভাবে ভর্তা বানিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করলাম। আমি কিন্তু এই ভর্তা দিয়ে দুই প্লেট ভাত খেয়ে ফেলেছি মাশাল্লাহ।
এই ভর্তা কি ভাবে করে খান একটু জানাবেন।
কারেন্টের জন্য একটা পোষ্ট সুন্দরভাবে লিখতে পারতেছি না। এত পেইন দিচ্ছে, অনেক ডিস্টার্ব তাই পোস্টার বড় করতে পারলাম না।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার রেসিপিটা কেমন হয়েছে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন।
খুবই মজাদার একটি বেগুন ভর্তা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই বেগুন ভর্তা রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গিয়েছে। গরম ভাতের সঙ্গে বেগুন ভর্তা খুবই সুস্বাদু লাগে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন। গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক মজা। সামনে কোরবানি ঈদ আসতেছে গরুর মাংস কয়েকদিন খাইলে। এরপরে ভর্তা দিয়ে খেতেই অনেক ভালো লাগবে
এই ভর্তাটি অনেক ছোটবেলা খেয়েছিলাম। একবার খালার বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানে খাওয়া হয়েছে। এরপর আর কখনো খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার রেসিপিটি দেখে সেই পুরনো ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ আপনাকে।
ও তাই ভাইয়া, আসলে আমি এখন গ্রামের বাড়ি আছি তো, গ্রামের বাড়িতে অনেক গাছ আছে। আমাদের বাসার সবাই ভর্তা অনেক পছন্দ করে। কক্সবাজার থাকলে তখন বাজার থেকে কিনে এনে করে খাওয়া হয়। কিন্তু এখন গ্রামে আছি ফ্রেশ গাছ থেকে চিরে চিরে ভর্তা করে খাওয়ার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া
ও আচ্ছা আসলে আমাদের এদিকে বাজারেও পাওয়া যায় না তাই বাজার থেকে কিনে খাওয়ার সে সুযোগ নেই। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপিটি।
ও, চট্টগ্রাম চলে আসেন ভাইয়া
আপনার তৈরি করা ভর্তা রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে এই ভর্তা আমি কখনো খাইনি। আজকে আপনার কাছে প্রথম দেখলাম। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আজকে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
কখনো খান নাই ভাইয়া? এটা কিন্তু অনেক মজা। বাজার থেকে কিনে এনে একবার হলো ও করে খাবেন। একবার খাওয়ার পর বারবার খাওয়ার ইচ্ছা হবে
আমি অনেকবার শুনেছি পুট্টি বেগুন ভর্তা করা যায় কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার এই রেসিপিটি। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে উপস্থাপনা করে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া খেতে অনেক মজা একবার হলে ট্রাই করে দেখবেন। আপনাকেও ধন্যবাদ
আমার রুটি দিয়ে খাবার সুন্দর একটা রেসিপি ছিল এটা। কারণ আমি এই জাতীয় রেসিপি গুলো রুটি দিয়ে খেতে খুবই পছন্দ করি। হয়তো অবাক হচ্ছেন আপু, ছোট বেগুন না। বড় বেগুনের কথা বলছিলাম। আর এত ছোট ছোট বেগুনের রেসিপি আমি কখনো খাই নাই।
তাই! আমি তো সত্যিই অবাক হয়েছি ভাইয়া। এ ভর্তা কিন্তু গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে অনেক মজা