নাটক রিভিউঃ সব দোষ হোসেন আলীর।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিম আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে চলে এসেছি। নাটকের মূল চরিত্রে আছে মোশারফ করিম। মোশারফ করিমের নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তার অভিনয় খুবই সুন্দর এবং আমার কাছে অনেক বাস্তবের মতো লাগে। নাটকটিতে অনেক শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে যা আমাদের সকলের জানা দরকার আছে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে নাটকটি রিভিউ করতে ঝাপিয়ে পড়ি।
| পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
|---|---|
| নাটকের নাম | সব দোষ আলী হোসেনের |
| পরিচালক | সকাল আহমেদ |
| রচনায় | জুয়েল এলিন |
| অভিনয়ে | মোশারফ করিম ও তানিয়া বৃষ্টি |
| মুক্তি কাল | ০৪ জুলাই ২০২৩ |
| নাটকের সময় | ৪২ মিনিট ৩২ সেকেন্ড |
 |  |
|---|
নাটকের প্রথমে দেখা যায় গ্রামে সালিশ বসেছে এবং সেখানে মোশারফ করিম নাকে খর দিচ্ছে।
নাটকে পরে অংশে দেখা যায় মোশারফ করিম তার ছেলেকে সাথে নিয়ে একটি ছাগল কোলে করে নিয়ে পথ দিয়ে হাঁটছে এবং ছেলেকে গরুর রচনা শিখাচ্ছে।
 |  |
|---|
তারপরে মোশারফ করিম বাড়ি ফিরে এসে দেখে তার বউ ব্যাগ নিয়ে বসে আছে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে। তার বউ বাপের বাড়ি কেন যাবে সে কথা জিজ্ঞাসা করলে তার বউ বলে আবুল মিয়ার ছাগল কেন চুরি করেছো। মোশারফ করিম বলে আমি ছাগল চুরি করিনি। আমি তোমার ছেলেকে ছাগলকে বর্ণনা দিয়ে গরুর রচনা শিখিয়ে ছিলাম। আপনার একজন লোক চলে আসে এসে বলে তুমি আমার লাউ কেন চুরি করেছো। মোশারফ করিম বলে সব দোষ কি আমার, আমার বাবা ডাকাত তাই বলে কি গ্রামে খারাপ যা কিছু ঘটবে সব কিছু কি আমি করে থাকবো। এ কথা শুনে মোশারফ করিমের বউ আরো রেগে যায়।
তারপর মোশারফ করিমের বউ চলে যাওয়ার কথা বললে সে মাটিতে শুয়ে পরে এবং বলে আমার গায়ের উপর দিয়ে পারলে তুমি চলে যাও। তারপরও মোশারফ করিমের কথা না শুনে তার বউ সেখান থেকে চলে যায়।
 |  |
|---|
তারপর সে দোকানে যায় এবং একটি বিষের বোতল কেনে। তারপর যখন সে বিষ খেতে যাবে তখন হঠাৎ তার ছেলে কথা মনে পড়ে। তখন সে বিষ না খেয়ে সেই বিষ সেখানে ঢেলে দিয়ে চলে যায়।
গ্রামে তার জন্য আবার সালিশ ডাকা হয় কারণ সে যে বিষ ঢেলে দিয়েছিল সে বিষ পানিতে পড়ে একজনের মাছ মারা যায়।মোশারফ করিম আবার সেখানে আবার নাকে খর দেয়।
একদিন ভোরের দিকে মোশারফ করিম ঘুম থেকে উঠে দেখে তার ছেলে তার জন্য দোয়া করছে। তার ছেলে বলে আমার বাবাকে কেউ বিশ্বাস করে না আল্লাহ তুমি আমার সবার কাছে বিশ্বাসের পাত্র করে দেও। এই কথা শুনে মোশারফ করিম মনে মনে ভাবে আমি এখন থেকে বিশ্বাস যোগানো কাজ করব।
তাই সে একটি নাম্বার দিয়ে একটি বিজ্ঞাপন জারি করে এবং সেখানে সে জানাই সে একটা জিনিস পেয়েছে এবং যোগ্য লোকের হাতে সেই জিনিস সে ফেরত দিতে চাই। এই কথা শুনে গ্রামের লোকজন সবাই অবাক হয়ে যায়। কিন্তু সে যে কি জিনিস পেয়েছে সে কথা সে কাউকে বলে না।
তারপর একদিন গ্রামের মোড়ল তাদের বাড়িতে আসে এবং মোশারফ করিমকে বলে তুমি যা পেয়েছো তার অর্ধেক ভাগ আমাকে দাও না হলে তোমাকে পুলিশে ধরিয়ে দিব। কিন্তু মোশারফ করিম বলে আমি যোগ্য লোক ছাড়া কাউকে সেটা দিতে পারবো না।
তারপর কয়েক দিন যাওয়ার পর হঠাৎ মোশারফ করিমের ফোনে একটা ফোন আসে। সেখানে মোশারফ করিম কে ফোন করে হুমকি দেয় এবং তার ছেলেকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে বলে জানাই। ছেলে মুক্তিপোন হিসেবে অনেকগুলো টাকা চাই কিন্তু তার কাছে তো কোন টাকা নেই।
 |  |
|---|
মোশারফ করিম তখন তার গ্রামের মোড়লের কাছে যায় সাহায্য চাওয়ার জন্য। কিন্তু গ্রামের মোড়ল তাকে সাহায্য করে না বরং তাকে বলে তুমি যে জিনিসটি পেয়েছ তার অর্ধে ভাগ আমাকে দিলে আমি তোমার ছেলেকে ছেড়ে দেবো। কিন্তু মোশারফ করিম কিছুতে বোঝাতে পারছিল না যে সে কিছুই পায়নি। সে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য পাত্র হিসেবে পাওয়ার জন্য এই কথা বলে। কিন্তু গ্রামের মোড়ল তার কথা বিশ্বাস করে না। তখন সে পুলিশ অফিসারের কাছে যায়। পুলিশ অফিসার মোশারফ করিমকে বলে আমিও তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবো না।
বেশ কয়েকদিন যাওয়ার পরে হঠাৎ গ্রামে খবর পড়ে যায় পুকুর পাড়ে একটি মৃত ছেলে সন্তান পাওয়া গেছে। এই কথা শুনে মোশারফ করিম এবং তার বউ দ্রুত সেখানে চলে যায। এবং সেখানে গিয়ে দেখে মৃত ছেলেটি তাদেরই ছেলে।
তখন মোশারফ করিম এবং তার বউ ছেলেকে নিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে।
তার পরের ভিডিওতে মোশারফ করিমকে পাগল অবস্থায় দেখা যায়।
নাটকের কাহিনী আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং নাটকটিতে যারা অভিনয় করেছে তারা খুব সুন্দর ভাবে অভিনয় গুলো তুলে ধরেছে। মোশারফ করিম ডাকাতের ছেলে বলে গ্রামের কোন ক্ষতি হলে তাকে দোষ দেয়া হয়। যেটা আমাদের সমাজেও অনেক দেখা যায়।
নাটকের রেটিং হিসাবে আমি ০৯/১০ দিলাম।
সত্যি বলতে গেলে সমাজের চোখে একবার যে খারাপ হয়ে যায় বারবার কোন কারণ ছাড়াই তাকে দোষারোপ করা হয়। আপনার রিভিউ করা নাটক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। যদি এর আগে আমি নাটকটি দেখেছিলাম তাই আবার দেখা হয়ে গেল। এত সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সব দোষ হোসেন আলীর নাটকটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনি। এরকম নাটক গুলো আগে দেখা হতো, তবে এখন খুব একটা দেখা হয় না। এই নাটকটার কাহিনী অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আপনি যা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমি সময় পেলে এই নাটকটা দেখে নাও আর চেষ্টা করবো অবশ্যই। কারণ রিভিউটা আমার কাছেও সম্ভব ভালো লেগেছে।
মোশারফ করিমের নাটক গুলো আমার অনেক ভালো লাগে।কিন্তু তার অভিনীত এ নাটকটি এখনো আমার দেখা হয়নি।ব্যস্ত সময়টা শেষ হলেই মোশারফ করিমের এই নাটকটি দেখার জন্য আমি চেষ্টা করব। নাটকটির খুব সুন্দর একটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া কিন্তু এই নাটকটি আজও আমার দেখা হয়নি। বিশেষ করে আখম হাসানের নাটক আমার অনেক ভালো লাগে অনেক হাস্যকর নাটক তিনি করে থাকেন। আশা করি আপনার এই নাটকটি আমি সময় করে দেখে নেব,সব দোষ হোসেন আলীর ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ করেছেন। নাটকটিতে সামাজিক কিছু বিষয় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আর মোশারফ করিমের নাটক আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার অনেক অনেক ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মোশারফ করিমের নাটক মানে হাসি আনন্দ আর তাই আমি তার নাটক গুলো বেশি দেখে থাকি। আজকে আপনি মোশারফ করিমের অসাধারণ একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করেছেন তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ করেছেন আপনি। কখনো এরকম নাটক দেখা হয়নি। আপনার কাছ থেকে এরকম একটি নাটকের রিভিউ দেখতে পেলাম৷ চেষ্টা করব সময় করে এই নাটকটি দেখে নেওয়ার জন্য৷
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে সব দোষ হোসেন আলীর নাটকটি বেশ দারুন ভাবে রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করে নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মোশারফ করিমের অভিনয় আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এই নাটকটি এখনো আমার দেখার সুযোগ হয়নি তবে চেষ্টা করব খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।