নাটক রিভিউ :- বিদেশ জামাই পর্ব:-২ by @ayaan001।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার আইডির নাম @ayaan001।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বিদেশ জামাই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রথম পর্বের মতো আশা করি দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

প্রথম পর্বের ঠিক যেখান থেকে শেষ হয়েছিল দ্বিতীয় পর্ব সেখান থেকেই দেখানো শুরু করে। নায়ক নায়িকা একসাথে যখন তাদের বাড়িতে আসে। এসে দেখে অচেনা একজন লোক বসে আছে সাথে তার বাবা-মা ও বসে আছে। নায়িকা তখন তোর বাবা-মাকে প্রশ্ন করে এই লোকটা কে । তখন নায়িকাকে সবকিছু খুলে বলা হয়। আসলে অপরিচিত লোকটা হলো সেই আসল টুরুল সাহেব যার সাথে নায়িকার বিয়ে হওয়ার কথা। আর আসাদ(নায়ক) কে তার বস( টুটুল সাহেব) পাঠিয়ে ছিলো নায়িকাকে পরীক্ষা করার জন্য আসলে সে কেমন মেয়ে।

সব কিছু বলার পর আসাদকে ঢাকাতে পাঠানো হয় তার বসের জন্য এসি কিনতে। আসাদ গাড়ি নিয়ে ঢাকায় চলে যায়।

রাতে আবার নায়িকার দেখা হয়ে যায়। নায়িকা বলে আমি তোমাকে ভালোদাশি। আর তোমাকেই ভালোবাসবো। নায়ক বোঝাতে গেলে নায়িকা বুঝতে চায় না।

পরের অংশে নায়ক নায়িকাকে ফুলের তোড়া দেয়। সেটা দেখে নায়িকা খুব খুশি হয়। অনেক কথা বলার পর নায়ক যখন বলে এই ফুলের তোড়া টুটুল সাহেব দিতেছে তখন সে ফুল ফেলে দিয় আর অনেক রাগ করে। সেটা টুটুল সাহেব দেখে ফেলে।





পরে টুটুল সাহেব আসাদকে ডেকে বলে সে কেন ফুল ফেলে দিলো। তখন আসাদ বলে ফুলে পোকা ছিল তাই ফেলে দিয়েছে।





পরের অংশে নায়িকা দেখে নায়ক বাইরে বসে নাস্তা খাচ্ছে। তখন তার মাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে এখন নাস্তা খাচ্ছে কেন। তার মা তখন বলে এখন খাবে না তো কখন খাবে। কাজের লোক কাজের লোকের মত থাকাই ভালো।





টুটুল সাহেব আসাদকে নায়িকা জীবন থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য একটি প্ল্যান করে। সে বলে আমি এবং আসাদ একসাথে এখান থেকে বিয়ে করে স্পেনে যাবো।আপনাদের সাথে টুম্পার বিয়ের কথা বলে। এই কথা শুনে নায়িকা খুব বিরক্ত বোধ করে এবং সেখান থেকে ঘুরে চলে যাই।

পরের দিন সকালে টুম্পা নায়িকাদের বাসায় চলে আসে। এবং আসাদের সাথে ভাব করার চেষ্টা করে কিন্তু নায়িকার জন্য সেটা করতে পারে না।

টুটুল সাহেব আসাদকে একা রুমে ডাকে এবং তাকে টাকা দিয়ে বলে তুমি ঢাকায় চলে যাবে এবং সেখানে হোটেল বুক করা আছে সেখানে তুমি দুই রাত থাকবে। কিন্তু নায়ক রাজি হয়না টুটুল সাহেব আসাদকে মারতে যায়। কিন্তু আসাদ তার প্রতিবাদ করে।

ঐদিন রাতে নায়িকার মা আসাদের রুম তালা মেরে দেয়। যার কারনে ঐ রাত আসাদ বাইরে কাটাতে হয়। পরের দিন সকাল বেলায় নায়িকা দেখে আসাদ বাইরে শুয়ে রয়েছে। পরে নায়িকা তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে । আসাদ বিষয়টা খুলে বলে।





কোন এক সময় নায়িকার বাবা এবং আপনাদের সাথে হেঁটে যাচ্ছিল। আসাদ জিজ্ঞাসা করল চাচা আপনি কোথায় যাচ্ছেন। তখন নায়িকা আর বাবা বলে তার মেয়ের গায়ে হলুদের জন্য কেনাকাটা করতে। এই কথা শুনে আসাদ বলে কই আমি তো কিছু জানি না। তখন নায়িকার বাবা তাকে বলে তুমি চাকর মানুষ তোমার এত কিছু জানা দরকার কি?।





গায়ে হলুদের দিন আসাদকে দেখে নায়িকার জিজ্ঞাসা করে তুমি এখানে কেন আছে তখন বলে চাচী বলল তুমি যদি না থাকো তাহলে আমি খুব কষ্ট পাবো তুমি আমার মেয়ের বিয়েতে থেকে যাও। তখন নায়িকা জিজ্ঞাসা করে আমার মা কোথায়?.





এদিকে দেখা যায় টুটুল সাহেব তার হবু শাশুড়ির সাথে কথা বলতে। নায়িকার মা নায়িকা বাংলা নায়িকার বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে পারে। যার কারণে টুটুল সাহেম এর কাছে সে অনুনয় বিনয় করে সব কথা খুলে বলে। এই কথা শুনে টুটুল সাহেমও বিষয়টা বুঝে রাজি হয়ে যায়।

পরের অংশটুক সাহেব আসাদকে সবকিছু খুলে বলে। এবং নায়িকাকে আসাদের হাতে তুলে দিয়ে সে সেখান থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আর বলে তুমি কোন চিন্তা করো না তোমার শিলাকে (নায়িকা) ছয় মাসের মধ্যে স্পেনে নিয়ে আসা ব্যবস্থা করব। তুমি বিয়ে করে ছয় মাস এখানেই থাকবে এই বলে টুটুল সাহেব চলে যাই তারপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

ব্যাক্তিগত ভাবে নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে৷ রেটিং হিসাবে আমি ০৯\১০ দিবো।