জেনারেল রাইটিংঃ জীবনের প্রথম কাঁকড়া খাওয়ার অনূভুতি।

in আমার বাংলা ব্লগ7 months ago
আসসালামু আলাইকুম

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিম আইডির নাম @ayaan001

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভালো আছি।

আজ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং:।

বাংলায় ১২ পৌষ ১৪৩০খ্রিষ্টাব্দ।

আরবি ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হি:।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি বরাবরের মতো আজকে আমি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলেছি। সবার কাছে এই ধরনের বিষয়টি স্বাভাবিক মনে হলেও আমার কাছে একেবারে স্বাভাবিক নয়। কারণ আমি এই কাজটি জীবনে কোনদিন করিনি। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়ি আমরা আসল কথায় চলে যাই।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে অফিসের অফিসের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হলাম। এই দিন আমার সকাল সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ডিউটি ছিল। আমার বাসা থেকে অফিসে একেবারে কাছেই তাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেখানে কে ডিউটি করার পাশাপাশি ছেলেকে নিয়ে একটু
খেলাধুলা করলাম। তারপর ছেড়ে বলল আব্বু আমি আর এখানে থাকবো না বাসায় যাব। তখন ছেলেকে আমি বাসায় রেখে আবার অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। গিয়ে দেখি আমাদের অফিসের প্রয়োজন স্টাফ এক দায় বসে কি যেন করছে। প্রথমে আমি বিষয়টা ভালোভাবে গুরুত্ব না দিলেও পরে আমার কাছে কেমন জানি মনে হল।

IMG_20231226_103713.jpg

আমি সেখানে গেলাম গিয়ে দেখি সবাই মিলে বসে একসাথে কাঁকড়া নিয়ে নাড়াচাড়া করছে আমি গিয়ে বললাম ভাই এই কাকা আপনারা কি করবেন তখন একজন বলল একা একা রান্না করে খাওয়া হবে। তখন আমি বললাম সমুদ্রের কাকার রান্না করে খাওয়া যায় কিন্তু বেশি কথাটা কিভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। আমার কথা শুনে সবাই এক গালে এসে দিয়ে বলল পাগল ছেলে বলে কি?তুমি কি কোনদিন কাকার রান্না করে খাওনি আমি বললাম না কাঁকড়া রান্না করা তো দূরে কথা কোনদিন কাঁকড়া হাত দিতে ভয়ে ধরি নাই। এই কথা শোনার পর সবাই আবার হাসি দিল।

IMG_20231226_103742.jpg

আমার ওস্তাদ তো খুবই সুন্দরভাবে কাঁকড়া গুলো পরিষ্কার করছিল। তার কাঁকড়া পরিষ্কার করা দেখে আমি তো অবাক। ওস্তাদকে দেখে মনে হচ্ছে সে খুবই দক্ষ এই বিষয়ে।

IMG_20231226_105818.jpg

যাইহোক অল্প সময়ের মধ্যেই কাঁকড়া পরিষ্কার করা হয়ে গেল আমাদের ওস্তাদ দুই এক সিনিয়র বড় ভাই দুজনে মিলে পানি দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে কাঁকড়া পরিষ্কার করা শুরু করে দিল।

IMG_20231226_112416.jpg

প্রথমে পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দরভাবে ধুয়ে নেওয়ার পর দেখলাম বড় ভাই লবণ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে কাঁকড়াগুলো পরিষ্কার করলো

IMG_20231226_112322.jpg

সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করার পর কাকড়া গুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল। এখন আমার কাছে মনে হল কাকড়া গুলো খেতে ভীষণ মজাদার হবে। যাইহোক বড় ভাইয়ের ওই সময় ডিউটি ছিল ভাই বল একটু পরে আমি রান্না করবো তুমি এসে খেয়ে যেও আমি বললাম ভাই ঠিক আছে আমি বাসায় চলে যাচ্ছি রান্না করা শুরু করলে আমাকে হলে আমাকে একটা ফোন দিয়েন।

IMG_20231226_132614.jpg

বেশ কিছুক্ষণ পর সে বড় ভাই আমার ফোনে একটি ফোন দিল আমি ফোন পাওয়া মাত্রই দৌড়ে অফিসে চলে গেলাম গিয়ে দেখি সবাই খাওয়া-দাওয়া শুরু করে দিয়েছে।আমি বললাম ভাই আপনি এটা কি করলেন বড় ভাই বলো কেন কি হয়েছে? আমি বললাম যখন আপনি রান্নার কাজ শুরু করবেন তখন আমাকে ফোন দিবেন। যাইহোক আমাদের দুজনের ভুল বোঝা বুঝি হয়েছে।

IMG_20231226_133007.jpg

যাইহোক আমি বসে বসে সবার কাঁকড়া খাওয়া উপভোগ করছিলাম। আমাকে দেখে সবাই বলছে যে কি ব্যাপার তুমি খাচ্ছ না কেন? আমি বললাম না ভাই আমি কাঁকড়া খাব না এর আমি এর আগে কোনদিন কাকড়া খাইনি কেমন কি হবে না হবে আমি জানিনা। এরপর সবাই জোর করে রিকোয়েস্ট করলো খাওয়ার জন্য কি আর করব জীবনে প্রথম একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেললাম।


পোস্টের ধরনজেনারেল
পোস্টকারীমোঃআশিকুর রহমান।
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


Logo.png

Banner_New.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 7 months ago 

আমি কখনো এরকম ভাবে কাকড়া খাইনি।
তবে আমার ইচ্ছা আছে এরকম ভাবে কাকড়া ভেজে খাওয়ার।
আপনাদের প্রস্তুতি ফটোগ্রাফি এবং খাওয়ার দৃশ্য গুলো দেখে শক্তির লাভ হচ্ছে।
নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছেন সবাই মিলে।

 7 months ago 

কাঁকড়া খেয়েছিলাম ছোট বেলা।স্বাদ ভুলে গেছি এমনটা লাগছে। আর সামুদ্রিক কাঁকড়া খেয়েছিলাম কিছু বছর আগে খুলনায় সুন্দরবন ঘুরতে গিয়ে। আর কক্সবাজার থেকে আমাদের বাড়িতে যে জেঠা কাজ করতো ওনি এনে ছিলো খুব ভালো লেগেছিলো সামুদ্রিক কাঁকড়া খেতে।দেশি কাঁকড়া তো বিলুপ্তির পথে।তবে জীবনে প্রথমবার কাঁকড়া খেয়েছেন জেনে ভালোই লাগলো।

 7 months ago 

কখনো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যাওয়া সৌভাগ্য আমার হয়নি। যদি আল্লাহ কোনদিন সুযোগ করে দেয় অবশ্যই কাঁকড়া খাবো। কাঁকড়া খেতে আর একটা চিংড়ি মাছের মত।

 7 months ago 

কাঁকড়া ভাজা এবং কাঁকড়ার স্যুপ খেতে দারুণ লাগে। আমি অসংখ্যবার কাঁকড়া খেয়েছি বিভিন্নভাবে। যাইহোক আপনার বড় ভাই খুব সুন্দর করে কাঁকড়া গুলো পরিষ্কার করেছে। কাঁকড়া পরিষ্কার করা দেখে মনে হচ্ছে উনি বেশ দক্ষ এই ব্যাপারে। যাইহোক সবার অনুরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত কাঁকড়া খেতে হলো আপনাকে। আসলে সবাই অনুরোধ করলে অনেক সময় সেটা রাখতে হয়। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য। খাওয়া পর বেশ ভালোই লাগছিলো

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44