জেনারেল রাইটিংঃ আসুন একটু আগুন সম্পর্কে নিজের ভেতর ধরনা রাখি।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে অল্প পরিসরে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো। জানি না আমার এই পোস্ট টি আপনাদের কোন উপকারে আসবে কিনা। তারপরও নিজের থেকে মনে হলো এই সম্পর্কে সবার জানা দরকার তাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আবার এই পোস্টটি করার কারন আপনারা এর পরের পোস্ট দেখলে হয়তো আপনারা বুঝতে পারবেন৷ চলুন তাহলে মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আসুন জেনে নেই আগুন সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
আজকে আমি শুধু একটা বিষয় নিয়ে কথা বলবো। আমার কথা গুলা আপনারা একটু গুরুত্ব সহ কারে পড়বেন বলে আমি আশা রাখছি।
যে বিষয় গুলা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে সংক্ষিপ্ত আকার আলোচনা করব। আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে আগুন সম্পর্কে জেনে আমাদের কি লাভ। কিন্তু আমি বলব লাভ আছে আগুন যেনো খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতনতা হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগুন লাগার সাথে সাথেই বিরাট আকার ধারণ করে না। ছোট ছোট আগুন থেকে একসময় বড় আগুনে সৃষ্টি হয়। আপনি নিজেকে কতটুকু সেভ করতে পারবেন তা নির্ভর করে আপনি কতটুকু সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
তার থেকে যেটা বড় কথা শুধু অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কাছে থাকলেই হবে না কোন ধরনের আগুনে কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের ধারণার রাখতে হবে। আর সবার কাছে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র থাকে এমনও নয়। আমাদের হাতের কাছে যা কিছু থাকে সেই জিনিস গুলার সঠিক ব্যবহার জেনে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে আগুন সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করব। এবং পরে অন্য একটি পোস্টে এক্সটিংগুইসার ব্যবহারের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
★আগুন কি?
★আগুন কাকে বলে?
★আগুন কত প্রকার ও কি কি?
★ প্রথমে আসি আগুন কি ও আগুন কাকে বলে?
আগুন হলো রাসায়নিক বিক্রিয়া। দাহ্য বস্তু অক্সিজেন ও পরিমিত তাপ এই তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে বিরতিহীন রাসায়নিক বিক্রিয়ার একটি অবিচ্ছন্ন প্রজ্বলন প্রক্রিয়ায় হলো আগুন।
আমারা সবাই কম বেশি এই তিনটি উপাদান সম্পর্কে জানি। দাহ্য বস্তু কি অক্সিজেন কি আর তাপ কি? এখানে একটি কথা বলা হয়েছে পরিমিত তাপ। অন্য দুইটি তে কিন্তু এই কথা বলা হয় নাই। দেখুন যদি কোন দাহ্য বস্তুতে অগ্নি সংযোগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই পরিমিত তাপ লাগবে। পরিমিত তাপ বলতে বোঝানো হয়েছে নির্দিষ্ট পরিমান তাপ। আমি যদি একটি পাটকাঠি তে আগুন লাগাতে চাই তাহলে তার জন্য একটি ম্যাচের কাঠি যথেষ্ট। ঠিক তেমনি আমি যদি একটি মোটা কাঠে আগুন লাগাতে চাই তাহলে আপনি একটি ম্যাচের কাঠি দিয়ে সেটা জ্বলাতে পারবেন না। কারন একটি ম্যাচের কাঠি দিয়ে আপনি কাঠ জ্বালানোর মত পরিমিত তাপ উৎপাদন করতে পারবেন না। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে এর থেকে বেশি তাপ সৃষ্টিকারী কোন কিছু ব্যাবহার করতে হবে।
আর রাসায়নিক বিক্রিয়া সৃষ্টি হয় যখন আগুন ধরে। আগুনের ধোঁয়াতে বেশি রাসায়নিক থাকে। যার কারনে কোন আবদ্ধ ঘরে যদি আগুন লাগে আর সেই ঘরের ভেতরে যদি মানুষ থাকে এবং তারা যদি সঠিক সময়ে সেই ঘর থেকে বের হতে না পারে তাহলে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
বেইলি রোডে যে অগ্নি কান্ডটি ঘটেছিল সেখানে অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল আপনারা সবাই জানেন। আগুনে পুড়ে যত জনের মৃত্যু হয় তার থেকে বেশি মৃত্যু হয় বিষাক্ত রাসায়নিক ধোঁয়ার কারনে। যখন একটি ঘরের ভেতরে ধোয়া সৃষ্টি হয় তখন সেখানে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। যার কারনে মানুষ ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিবর্তে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। এর ফলে ফুসফুস খুব দ্রুত অকেজো হয়ে যায় এবং এর ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটে।
এই অবস্থা থেকে বাঁচার তেমন কোন উপায় নেই যদি না আপনি কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ না করতে পারেন। কৃত্রিমভাবে শ্বাসন গ্রহণ করা বলতে আমি ব্রিদিং এ্যাপারেটাসের কথা বলছি। কিন্তু এটার সাপোর্ট আমি সেখানে পাবেন না।
কিন্তু একটা উপায় আছে যেটা অফিসিয়াল না। খুব যে কাজে দেবে সেটা কিন্তু না তবে একটু হলেও আপনি সময় পাবেন রাস্তা খুজে বের করার। উপায় টা হলো আপনার কাছে যদি গামছা, ওড়না, রুমাল বা আপনার গায়ের শার্ট অথাবা টি-শার্ট যাই হোক না কেনো সেটা যদি আপনি খুব দ্রুত খুলে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে আপনি কিছু সময় পেতে পারেন বাঁচার জন্য।
কিভাবে ব্যাবহার করবেন সেটা আমি পরের পোস্টের মাধ্যমে দেখিয়ে দেবো।
★ আগুন কত প্রকার ও কি কি?
আগুন সাধারণত ৪ ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১. কঠিন পদার্থের আগুন।
২. তরল পদার্থের আগুন।
৩.বায়বীয় পদার্থের আগুন।
৪.ধাতব পদার্থের আগুন।
★ কঠিন পদার্থের আগুন হলো বাঁশ,কাঠ, পাটকাঠি, তুলা ও পাট ইত্যাদি।
★★ তরল পদার্থের আগুন হলো তেল জাতীয়। ডিজেল, পেট্রোল অকটেন মবিল, কেরোসিন, সয়াবিন ও সরিষা তেল সহ নানা রকম তেল ইত্যাদি।
★★★ বায়বীয় পদার্থের আগুন হলো গ্যাস জাতীয়। অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, লিথিয়াম, এলপিজি ও বিউটেন ইত্যাদি।
★★★★ ধাতব পদার্থের আগুন হলো লোহা, টিন, অ্যালুমিনিয়াম, নিকেল তামা ও দস্তা ইত্যাদি।
পোস্টর ধরন | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
লেখা | মো: আশিকুর রহমান। |
উদ্দেশ্য | সবাইকে একটু সচেতন করার চেষ্টা। |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
বর্তমান সময়ে প্রচণ্ড গরম পরছে। আর এই গরমে যদি আগুন কোথাও ধরে তাহলে নেভানো কষ্টসাধ্য। আপনি আজকে খুবই চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আগুন সম্পর্কে আপনি খুবই মূল্যবান কথা লিখেছেন আপনি। লেখাগুলো পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য। লেখার ভেতর একটু ভুল হয়ে গেছে ভাই আশা করি দেখে ঠিক করে নিবেন।