নাটক রিভিউ : বউ হলো স্বামীর আমানত।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি.........
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বউ হলো স্বামীর আমানত এই নাটকটি রিভিউ করতে চলেছি। এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ঈগল টিমের নাটক গুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আসলে এই নাটকগুলা সমাজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে দেখতে বেশি ভালো লাগে। এর মধ্যে অল্প কিছু হলেও শিক্ষানীয় কিছু ব্যাপার থাকে। এই নাটকগুলা পরিবাবের সবাই মিলে একসাথে বসে এই নাটক নির্দ্বিধায় দেখা যায়। নাটকটি সুন্দর করে আপনাদের মাঝে রিভিউ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্টের ধরন | নাটক রিভিউ |
---|---|
নাটকের নাম | বউ হলো স্বামীর আমানত |
পরিচালক | আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও মো: ইয়াসিন। |
অভিনয়ে | রাফি ইসলাম, জান্নাতুল মাওয়া, সুমন, মৌসুমি আরও অনেকেই। |
দৈর্ঘ | ৪২ মিনিট ৪০ সেকেন্ড |
মুক্তির সময় | ০১ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিঃ |
নাটকের প্রথমে দেখা যায় নায়ক ও নায়িকা বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে এমন সময় পথে মধ্যে নায়িকার মায়ের সাথে দেখা হয়ে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে নানা রকম কথাবার্তা চলতে থাকে। নায়িকার মা নায়িকাকে বলে বড় লোক ঘরের ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়াটা তার জন্য ঠিক হচ্ছে না কারণ তারা তোকে মেনে নেবে না কিন্তু নায়ক তার মাকে আশ্বস্ত করে যে তার মেয়েকে সে কখনো ছেড়ে দেবে না। এই কথা শোনার পর নায়িকার মা নায়িকার হাতে নায়িকাকে তুলে দেয়।
নায়ক নায়িকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসলে নায়কের বাবা তাদেরকে মেনে না নিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। নায়ক নায়িকার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে।
এরপর নায়ক ওই গ্রামের একটি ছোট টিনের বাড়ি ভাড়া করে সেখানে থাকার জন্য।
গ্রামের কোন কাজ না পাওয়ায় নিজের সংসার চালানোর জন্য নায়ক মুচির কাজ শুরু করে সে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের বুট পালিশ করে বেড়ায়। এতে করে যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে নায়ক এবং নায়িকা সংসার চালায়।
একদিন নায়ক গ্রামের ভেতরে বুট পালিশ করে বাড়ছিল। এমন সময় তার বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। তার বড় ভাই বলে তুই এতটা ছোটলোক কবে থেকে হয়েছিস। এত বড় ঘরের ছেলে হয়ে তুই আজকে বুট পালিশ করে বেড়াচ্ছিস তোর কোন লজ্জা নাই। এই কথার জবাবের নায়ক তখন বলে কোন কাজে ছোট নয় আর আমি এখন বড় ঘরের ছেলে নয় তাই আমাকে যে কোন একটি কাজ করে সংসার চালাতেই হবে।
এদিকে নায়েক এবং নায়িকা জীবনে বেশ ভালোই সুখের সংসার করছিলো। ডাল ভাত খেয়ে তারা দিন পার করছিল কিন্তু তাদের ভিতর অনেক সুখ শান্তি ছিলো।
এদিকে নায়ক জানতে পারবে তার ছোট বোনের বিবাহ ঠিক হয়েছে। তখন সে নায়িকাকে বলে আমার ছোট বোনের বিয়েতে আমি কি নিয়ে যাবো। তখন নায়িকা তার তুলে রাখে একটা নতুন শাড়ি তার হাতে দিয়ে বলে এটা নিয়ে তোমার বোনকে দেখে আসো। সে অনেক খুশি হয়ে সেই শাড়িটা নিয়ে যায় বোনকে দেখতে কিন্তু বোন তারে শাড়ি দেখে নানা রকম বাজে কথা বলে শাড়ি তার মুখে ছুড়ে মেরে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে।
এদিকে বাড়িওয়ালা নায়ককে বলে তুমি আমার বাড়ি ছেড়ে দাও। এর কারণ জানতে চাইলে বাড়িওয়ালা বলে তোমার বাবা আমাকে বলেছে যে করেই হোক তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হবে।
কোন কিছু করতে না পেরে নায়ক বাড়ি ছেড়ে দেয় এবং তারা তখন নায়িকার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয় যদিও তারা সেখানে থাকার উদ্দেশ্যে যায়নি শুধুমাত্র দেখা করার জন্য নায়িকার বাবার বাড়িতে গিয়েছিল। এরপর তারা সেখান থেকে ঢাকায় তার বন্ধুর সাথে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নায়ক আবার বাড়িতে ফিরে আসে। পথের মধ্যে আসার সময় সে তার বাবার জমি দেখে ভ্যান থেকে নেমে তার বউকে বলে দেখো এগুলো সব আমার বাবার জমি। কথা শুনে ভ্যানওয়ালা বলে এখন আর এই জমিগুলো তোমাদের নেই। এই কথা শোনার পর নায়ক জিজ্ঞাসা করে কেন কি হয়েছে বলোতো এই গুলা তো আমাদেরই জমি। তখন রিক্সাওয়ালা তাদেরকে সব ঘটনা খুলে বলেন।
মূলত তার ভাই ব্যবসায় লস করে এরপর তারা লোন নেয় সেই লোন পরিশোধ করতে না পারায় জমি বিক্রি করে দেয়। তারপর তাদের দোকানে আগুন লেগে যায়। এই সংবাদ পেয়ে তার বড় ভাই স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে পড়ে। তার ভাবি তার ভাইকে ছেড়ে চলে যায়।
এই সব শুনে নায়ক সেখান থেকে চলে যাই তার বাবার জমি এবং বাড়ি ফেরত নিয়ে আসার জন্য। কারণ এই পাঁচ বছরের সে ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে। যার কারণে তার বাবা যার যার কাছে জমি বন্ধক রেখেছিল তাদের কাছে গিয়ে আবার সেই জমিগুলো ফেরত নিয়ে আসে।
এরপর সে সেখান থেকে বাড়ি চলে আসে। এমন সময় দেখা দেয় তার বাবা তার অসুস্থ ভাইকে নিয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে আসছে। নায়কের মা জিজ্ঞাসা করে ডাক্তার কি বললো? তখন তার বাবা বলে এভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে আর কিছুই করার নেই।
এমন সময় নায়কের মা নায়কে দেখতে পাই। তখন সে তাকে বলে তুই এতদিন কোথায় ছিলে আমাদের একটিবার খোঁজ করার প্রয়োজন মনে করিসনি। এরপর নায়ক তার বাবাকে বাড়ি সহ সকল সম্পত্তির দলিল তার হাত তুলে দেয়। এটা দেখে তার বাবা অনেক খুশি হয়ে যায় এবং তাকে বুকে টেনে নেয়। এবং সে তার ভুল বুঝতে পারে।
এরপর সেখানে নায়িকার পরিবার চলে আসে নায়কের বাবা তখন সবার কাছে ক্ষমা চাই সবাই তখন নায়কের বাবাকে ক্ষমা করে দেয়। এরপর নায়কের মা বলে আমি আমার ছেলের বিয়ে আবার নতুন করে দেবো। আমি আমার ছেলের বউকে সুন্দর করে বরণ করতে চাই।
এরপর নাটকটি শেষ হয়ে যায়.............
পোস্টের বিষয় | নাটক |
---|---|
পোস্টকারী | মোহাঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
আজ আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন। আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।যদি ও নাটকটি দেখা হয়নি তারপরও আপনার রিভিউ পড়ে নাটকটির সম্পর্কে সব বুঝতে পারলাম। খুব সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ করেছেন। সময় পেলে অবশ্যই একদিন নাটকটি দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করার জন্য।
জ্বি নাটকটি অনেক সুন্দর আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর করে নাটকটি রিভিউ করেছেন।
অনেক সুন্দর একটি নাটক আজকে আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা এই নাটকটা দেখে। বেশ দারুণভাবে নাটক গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রিভিউ করেছেন। নাটকটার মধ্যে বেশ শিক্ষনীয় বিষয় রয়েছে। এমন নাটকগুলো আমি খুবই পছন্দ করি।
আমিও এই ধরনের নাটক অনেক পছন্দ করি ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে গঠন মূলক অভিমত শেয়ার করার জন্য।
খুবই দারুন একটি নাটক আপনি আজ আমাদের মাঝে রিভিউ করেছেন। আসলেই বউ হলো সামির আমানত এই আমানত রক্ষার্থে যেকোনো কিছু করা যায়।সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
জ্বি ভাই সব স্বামীদের এমনটাই হওয়া উচিৎ তাহলে সব মেয়েরা একটা ভরসার জায়গা পাবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আসলে কাছের মানুষ সাপোর্ট না দিলে বাইরে কোথাও যাওয়া সম্ভব না। হয়তো নায়িকা এখানে নায়ককে সাপোর্ট দিয়ে সে বাইরে যেতে পারছে।যাই হোক সব সময় ঈগল টিমের নাটক গুলো অনেক ভালো হবে । আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবার থেকে সাপোর্ট পাওয়াটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। কাছের মানুষের দেওয়া একটু সহযোগিতা একজন পুরুষকে অনেক দূর দিয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাই।
ঈগল টিমের নাটকগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও সময় পেলে দেখার চেষ্টা করি। তবে এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সময় পেলে দেখার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি কয়েকদিন আগেই বের হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
এই নাটকটা যখনই মুক্তি পেয়েছিল তখনই আমি নাটকটা দেখেছিলাম। আর আমার কাছে এই নাটকটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। একটা মানুষ সফলতা অর্জন করার জন্য কাছের মানুষের সাপোর্ট থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়। কাছের মানুষ সাপোর্ট করলে সে ভালোভাবে সফলতা অর্জন করতে পারবে। নায়কের পরিবার তাদের বিয়েটা মেনে নেয়নি। তাকে সবাই অনেক ভাবে অপমান করেছিল। বিশেষ করে নায়িকাকে। কিন্তু দিনশেষে তারাই সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। অন্যদিকে নায়কের বাবা নিজের সবকিছুই হারিয়ে ফেলেছে। সব শেষে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে দেখেই ভালো লাগলো।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু একমাত্র নায়িকার সাপোর্ট এর কারনে নায়ক এত দূর যেতে পেরেছে। নায়কের বাবার অভিনয়টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ আপু
বেশ সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া।আপনার করা নাটক রিভিউ টি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।যদিও নাটক টি দেখা হয় নি তবে নাটকের গল্পটি দারুন লেগেছে আমার কাছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু নাটকের কাহিনি অনেক সুন্দর আমার কাছেও অনেক ভালো লাগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।
নাটকটি বেশ চমৎকার তো।আপনার রিভিউয়ের মাধ্যমে পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো। তবে আমি নিজেও ইদানিং একটু একটু করে নাটক দেখি। যেহেতু নাটক রিভিউ শেয়ার করতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
জ্বি আপু নাটক রিভিউ করার জন্য আমিও এখন নাটক দেখি। নাটকটি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।