ক্রিয়েটিভ রাইটিং: অন্ধকারে রহস্যময় শহর পর্ব-১।

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago
আসসালামু আলাইকুম

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ১৮ জুলাই ২০২৪ ইং: রোজ বৃহস্পতিবার ।

বাংলায় ০৩ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।

1000001501.webp

Source

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অদ্ভুত ও রহস্যে ঘেরা একটি গল্প কাহিনি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। এই ধরনের গল্প কাহিনি গুলা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার লেখা গল্পটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় যাওয়া যাক।

অন্ধকারে রহস্যময় শহর।


অজানা একটি শহরের পুরনো অংশে যেখানে ভবনগুলি সময়ের সাথে সাথে ম্লান হয়ে গেছে। চারিকে দিকে ঘন বন জংগল আর অদ্ভুত ধরনের পাখিদের কোলাহল। তার তার পাশেই ছিল একটি ছোট্ট দোকান নাম রহস্যের জগৎ। দোকানটি ছিল অনেক দিনের পুরাতন তেমন একটা যত্ন না নেওয়ার কারনে চারিদিকের পরিবেশ খুওই নেয়াজে অবস্থা জয়ে ছিল। তবে এর বাহিরের থেকে দোকানের ভেতরের অবস্থা ছিল আরও অদ্ভুত। কারন সেই দোকনে নানা রকম অদ্ভুত আর রহস্যময় জিনিসপত্রে ভরপুর ছিলো। কেউ বলে এখানে আসলেই রহস্যময় কিছু ঘটে, আর কেউ বলে এটা স্রেফ গল্প। কিমতু এই দোকানটি দে বহু বছরের পুরনো তা বেশ ভালো ভাবেই অনুভব করা যায়। কারন সেখানে গেলেই কেমন যানি গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। কিন্তু সত্যি ঘটনা কী তা কেউ জানত না।

একদিন সন্ধ্যায় এক কলেজ থেকে ফেরার পথে দেরি করে ফেলে তানিম। তানিম তার মতো করে পথ দিয়ে হেটে হেটে আসছিলো। তানিম এই স্থানে নতুন সে এই জায়গা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতো না। হাটতে হাটতে একসময় তানিম খেয়াল করে কেমন জানি ঠান্ডা বাতাসের সাথে তার গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে। প্রথমে সে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। স্বাভাবিক ভাবেই হেটে চলে যাচ্চিলো সে। কিন্তু একপর্যায়ে লক্ষ্য করে তার পথ শেষ হচ্চিলো না। হঠাৎ করে তার চোখে সামনে পড়ে সেই অদ্ভুত দোকানটি। নিজের অজান্তেই তানিম সেই দোকানে প্রবেশ করে। সে কিভাবে এই দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে সে নিজেও জানে না। এরপর দোকানের ভেতরে ঢুকে সে দেখল পুরনো বই, প্রাচীন মুদ্রা, অদ্ভুত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সব কিছুইতেই যেনো রহস্যে ঘেরা। তানিম ভয় পাওয়ার সাথে সাথে একটু কৌতূহলী হয়ে পড়েছিল। তানিম যে কোন বিষয় নিয়ে জানতে অনেক আগ্রহী।

দোকানে বসা ছিলেন এক বৃদ্ধ যার চোখে ছিল অদ্ভুত এক ঝলকানি। চোখের দিকে তাকালে যেনো মনে হচ্ছে চোখের ভেতর কোন ভয়ংকর কিছু লুকিয়ে আছে। তানিম সেই বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে দোকানের বইপত্র দেখতে থাকে। দেখতে দেখতে একসময় সে একটি পুরনো বই খুঁজে পায়। বইটা অনেক দিনের পুরাতন যার কারনে বইয়ের উপর ধুলো জমে আছে আর ভেতর অবস্থা খুবই খারাপ লেখাগুলো কেমন জানি অস্পষ্ট হয়ে গেছে। ভালো ভাবে দেখে সে বইয়ের নাম দেখে অন্ধকারের রহস্য। নামটা পড়ে সে অনেক কৌতুহলী হয়ে পড়ে। কারন নতুন কিছু জানার প্রতি তার অনেক আগ্রহ ছিলো।

বইটি খুলতেই তানিম দেখল ভেতরে একটি মানচিত্র রয়েছে, যা একটি নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছে। মানচিত্রটি সেই শহরেরই এক পুরোনো কোন অংশের, কিন্তু সেই স্থানটি আজও অজানা। তানিম কৌতূহলী হয়ে উঠে এবং সিদ্ধান্ত নেয় সেই মানচিত্র অনুযায়ী যাত্রা শুরু করার। তবে সে লক্ষ্য করে সেই দোকানে দোকানী নেয় সে অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ে।

তানিম মানচিত্র অনুযায়ী চলতে থাকে এবং এক পরিত্যক্ত ভবনের সামনে পৌঁছে। ভবনটি দেখতে বেশ ভীতিকর চারদিকে আগাছায় ভরা এবং জানালাগুলি ভাঙ্গা। তানিম ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে এবং সে দেখতে পায় একটি পুরনো বাক্স। বাক্সটি খুলতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় কারণ সেখানে ছিল এক ধরণের ক্রিপ্টিক নোট। সে নোটটি বের করে খুলে পড়তে থাকে নোটটিতে লেখা ছিল

যদি জানতে চাও সত্যি রহস্য, তবে সন্ধ্যা সাতটায় দ্বিতীয় তলায় আসবে

তানিম ভাবতে থাকে এই নোটটি কে রেখে যেতে পারে এবং কেন? সে কি এই রহস্যের সন্ধান করবে, নাকি এখানে থেমে যাবে? রহস্য উদঘাটনের নেশায় সে সিদ্ধান্ত নেয় নোটের নির্দেশনা অনুসরণ করবে।

রাতের অন্ধকার নামার সাথে সাথে তানিম দ্বিতীয় তলায় ওঠে এবং দেখতে পায় একটি ছোট কক্ষ। কক্ষের মধ্যখানে একটি পুরনো টেবিল এবং একটি মোমবাতি জ্বলছে। টেবিলের উপর ছিল আরেকটি নোট যেখানে লেখা ছিল:

রহস্য শুরু হচ্ছে এখান থেকে, প্রস্তুত হও!

এই বাক্য পড়ে তানিনের মনে হাজারও প্রশ্ন জাগে। সে কি এই রহস্যের সমাধান করতে পারবে? তার সামনে কি বিপদ অপেক্ষা করছে? নাকি তার জীবনের সব থেকে অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হতে চলেছে?

চলমান..................


পোস্টের ধরনক্রিয়েটিভ রাইটিং।
লেখামো: আশিকুর রহমান।
ডিভাইসগ্যালাক্সি এ ১৫
লোকেশনপাবনা।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়


আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


Logo.png

Banner_New.png

Sort:  
 4 days ago 

এমন রহস্যময় গল্প পড়তে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে এসব গল্প একবারে পড়ে শেষ করতে মন চায় কেমন রহস্যময় শেষটা কি হবে জানার বড় ইচ্ছে জাগে। গল্পটির পরবর্তী পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটা অন্ধকার রহস্যময় গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 67467.65
ETH 3470.01
USDT 1.00
SBD 2.71