🗓️📌 তারিখ : ২৫.০৭.২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।

সুপ্রিয় পাঠক ও বন্ধুগণ,

আপনাদের সবাইকে আবারো আরেকবার আমার এই বাংলা ভাষায় নিবেদিত বিশেষ ব্লগটিতে স্বাগতম জানাই। সবাই সুস্থ, সুন্দর ও ভালো আছেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে অভূতপূর্ব কিছু ঘটনাপ্রবাহ ও দুর্যোগের ঘনঘটা ভর করেছে, যা ইতোপূর্বে শুরু হয়ে অদ্যাবধি চলমান আছে। বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় বাঙালি বন্ধুুরা ও লেখকগণ আপনারা সবাই কমবেশি সে অবস্থা সম্পর্কে অবগত আছেন।

দ্রুতই অচলাবস্থার একটি কার্যকর ও সময়োপযোগী সমাধান নির্বাহ হবে, তার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করি। গত এক সপ্তাহ জুড়ে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বিঘ্নিত ছিল, যার ফলশ্রুতিতে থমকে গিয়েছিল জনজীবন আর স্বাভাবিক ব্লগিং কার্যক্রম । এমতাবস্থায়, আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত কার্যক্রমে যে অংশগ্রহণ তার অচলাবস্থা তৈরি হয়, ৯৮ শতাংশ ব্যবহারকারী যার ভুক্তভোগী হয়।

যা হোক, এখনো পুরোপুরি ইন্টারনেট সংযোগ পুনঃস্থাপন কার্যক্রম চালু হয় নি, বিষম অসুবিধার মধ্যে থেকেও আজকের পোস্টটি লিখছি। জানিনা ঠিক কোন সময় আবার নেটওয়ার্কের বাইরে চলে যেতে হয়, সে শঙ্কার মধ্যে পড়ে রয়েছি। অদ্য জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এবিবি স্কুলের লেভেল-৩ এর ক্লাস। যথারীতি বিজ্ঞ প্রফেসরগণ তাদের বিচক্ষণতা ও মেধার সমন্বয় করে দারুণ একটি ক্লাস নিয়েছেন।

উক্ত ক্লাসে অংশ নিয়ে লেভেল -৩ এ যেসব বিষয় পড়ানো হয় যেমন, মার্কডাউন ও এর ব্যবহার, কিউরেশনের খুৃঁটিনাটি, কনটেন্ট নির্বাচন ও বাছাইকরণ মোটাদাগে এ তিনটি বিষয় সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা অর্জন করেছি। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মাঝামাঝি ভাইবা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, তাতে অংশ নিয়ে লিখিত পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা বাকি রয়ে যায়। দেশীয় একটি সামগ্রিক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে নিরূপায় হয়ে বিলম্বে আজ লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন করছি।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ, আর প্রার্থনা করি সবাই নিরাপদে থাকবেন, এমন দুর্দিনে অটল মনোবল নিয়ে আশু ভবিষ্যতের নির্মাণে ভূমিকা রেখে যাবেন। দোয়া ও আশীর্বাদ রইলো ।

প্রশ্ন-১: মার্কডাউন কি ?

উত্তর: মার্কডাউন হলো তথ্য প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি পরিভাষাগত শব্দ যার দ্বারা ব্যবহারিকভাবে কিছু কোড কিংবা সাংকেতিক চিহ্নকে নির্দেশ করে যেসব বিভিন্ন লেখা, টেক্সট, কিংবা তথ্য জ্ঞাপক ইমেজকে প্রতিফলিত করা বা সজ্জাময় রূপায়নে ভূমিকা রাখে।

কোডগুলো কোন পোস্ট বা লেখা সম্পাদনের ক্ষেত্রে ড্রাফট হিসেবে কাজ করে, যা পরবর্তীতে প্রসেস হয়ে বিভিন্ন ডিজাইন, টেক্সটের স্টাইল পরিবর্তন করা, কিংবা নানানভাবে সাজানো ও রূপ পরিবর্তন, কনটেন্টের গাঠনিক কাঠামো প্রদানে সাহায্য করে।

মার্কডাউন কোড ব্যবহার করেই পূর্ণাঙ্গভাবে কোন লেখা বা কন্টেন্টকে দৃষ্টিনন্দন, মনোহরি বা সাজসজ্জাময় রূপে প্রদর্শন করা যায়। এই কোডগুলো সংরক্ষিত থাকে এবং সবক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হয়ে থাকে কম বেশি ।

প্রশ্ন-২ : মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

উত্তর: লেখা বা কন্টেন্টের সাজসজ্জা নির্মাণ বা শৈল্পিক উপস্থাপনের জন্য এসব কোডের ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। ব্যক্তিবিশেষে প্রয়োজন ও অভিরুচির সমন্বয় করে তার ব্যবহার নির্ধারণ হয়ে থাকে। সাধারণভাবে, মার্কডাউন গুরুত্বপূর্ণ কেননা সাধারন বা প্লেইন টেক্সট কিংবা ছবি তুলে ধরলে তা যেমন সাধারণ ও চাকচিক্যতা হারায়, তাছাড়া পাঠকের জন্য তা দৃষ্টিনন্দন ও উপস্থাপন উপযোগী হয় না। দৃশ্যত মার্কডাউন কোডের এমন ধরনের গুরুত্ব থাকলেও ব্যবহারিক প্রয়োগবাচকতা বৈচিত্র্যময়।
ব্যবহারিক নানা গুরুত্ব ও প্রয়োগের মধ্যে যেসব উল্লেখযোগ্য তা হলো -

• ক। কোন লেখা বা শিরোনাম বা পয়েন্ট হাইলাইট করতে চাইলে,
• খ। নির্দিষ্ট কিছু লেখাকে বোল্ড/ইটালিসাইজ্ড /কাট-থ্রু / সোজা কিংবা বাঁকানো করে সাজানো, এলফাবেটিক নানারূপ প্রদান করা ;
• গ। কোন একটি লেখার হেডলাইন বা শিরোনাম বড় করার প্রয়োজন পড়লে ;
• ঘ। কোন লেখার মাঝে ফটো বা ছবি যুক্ত করতে চাইলে, ছবিগুলোকে বামে ডানে সাজানো, ওপরে নিচে কিংবা সোর্স লিঙ্ক যুক্ত করতে হলে মার্কডাউন কোডের ব্যবহার হয়ে থাকে ;
• ঙ। টেবিল, লেখাগুলো সারিবদ্ধ করা, ফরম্যাট টেক্সট ও জাস্টিফাই করে প্যারাগ্রাফ তুলে ধরতে হলে মার্কডাউনের অন্য কোন বিকল্প নেই।

Src

প্রশ্ন-৩: পোস্টের মধ্যে মার্কডাউন কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায়?

উত্তর- স্টিমিটের জন্য নির্ধারিত যে সফটওয়্যার তাতে ড্রাফট প্যাডে মার্কডাউন লেখামাত্র তা প্রিভিউ সেকশনে প্রতিফলিত হয়ে দৃশ্যমান হয়ে যায়। এর ব্যত্যয় ঘটানোর জন্য ও মার্কডাউন কোডকে প্রতিফলিত না করে দৃশ্যমান করার জন্য প্রথমেই লেখার শুরুতে চারটি স্পেস একটানা বসাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ -

★প্রতিফলিত -

This is an h1 tag

★ প্রতিফলিত নয়- [ চারটা স্পেস প্রথমে বসিয়ে ]

#### This is an h1  tag 

প্রশ্ন-৪ : নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে ? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন ।

উত্তর- প্রশ্নে প্রদত্ত টেবিলটির দৃশ্যায়িত রূপ -

User	Posts	Steem Power
User1	10	500
User2	20	9000

উক্ত টেবিলটির মূল গাঠনিক কাঠামো নিম্নরূপ -

👉 | User | Posts | Steem Power |
|----|----|----|
| User1| 10 | 500 |
| User2 | 20 | 9000 |

প্রশ্ন-৫ : সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি ?

উত্তর- সাধারণত কোন লেখা বা ছবির মূল ঠিকানা কিংবা ওয়েবসাইট এড্রেসের লোকেশান উল্লেখ করার বা রেফারেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্কসহ একটি হাইপারলিঙ্ক উপস্থাপন করার প্রয়োজন পড়ে। আমরা প্রায়শই বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ছবি কিংবা লেখা যোগ করি। তখন মূল লেখা কিংবা ছবির উৎস উপস্থাপনের জন্য যে নিয়মে সোর্স উল্লেখ করতে হয় তা নিম্নরূপ -

প্রথমে ছবি কিংবা টেক্সটের ওয়েব এড্রেসে গিয়ে তার "লিঙ্ক এড্রেস" কপি করতে হবে। তা নিজের লেখায় বা ড্রাফটে বসিয়ে তা প্রথম বন্ধনীচিহ্নের মধ্যে ক্লোজ করে দিতে হবে মূল লেখা বা ছবির নিচে। লিঙ্ক এড্রেসের বন্ধনীচিহ্নের বামে তৃতীয় বন্ধনীচিহ্নদ্বয়ের মাঝখানে সোর্স কথাটি বসালে সোর্স হাইপারলিঙ্ক ক্রিয়েট হয়ে যাবে।

যেমন :
টেকস্ট /ছবি
[সোর্স](লিঙ্ক এড্রেস)

প্রশ্ন-৬ : বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র - ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত Header গুলোর কোড লিখুন ।

উত্তর- হ্যাশট্যাগ চিহ্ন (#) এর ক্রমানুসারের ব্যবহারের মাধ্যমে বড় থেকে ছোট ফন্ট সাইজের হেডলাইন বা শিরোনামের লেখা প্রতিফলিত হবে। যেমন :

Src

★ কোড ইনপুট -

# Header1 
## Header2
### Header3 
#### Header4 
##### Header5 
###### Header6 

★ কোড আউটপুট -

Header1

Header2

Header3

Header4

Header5

Header6

প্রশ্ন-৭ : টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোডটি লিখুন ।

উত্তর- কোন লেখা বা প্যারাগ্রাফকে জাস্টিফাই করার জন্য অর্থাৎ প্যারাগ্রাফের মধ্যে থাকা বাক্যগুলো সমান্তরালে বরাবর আনার জন্য উক্ত কোডের ব্যবহার হয়। কোডটি নিম্নোক্ত উপায়ে লিখতে হয় -
< div class = "text-justify" >
মাঝখানে নির্দিষ্ট প্যারাগ্রাফটি বসবে
তারপর < /div > দিয়ে শেষ হবে।

প্রশ্ন-৮ : কনটেন্টের টপিক্স নির্বাচনে কোন বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত ?

উত্তর- যেহেতু স্টিমিট ও এবিবি প্লাটফর্ম একটি ব্যক্তি কিংবা ইউজারের সামগ্রিক গঠনমূলক সৃজনশীলতা ও মেধা -মননের সমন্বয় ঘটানোর জন্য একটি অনবদ্য উপায়, তাই ধীরে ধীরে কেউ চাইলেই তাঁর দক্ষতার উন্নয়ন করতে পারেন। পোস্ট বা কনটেন্ট লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই দেখতে হবে নানা রকম টপিক কিংবা বিষয়বস্তু, টপিক সম্পর্কিত ধরণ কিংবা জেনরা নির্ধারণে কতটুকু পারঙ্গমতা রয়েছে।

কোন ব্যক্তি সাহিত্যে, সাধারণ রাইটিং, ফটোগ্রাফি, রেসিপি, ছড়া -কবিতা, সমালোচনা, টিউটোরিয়াল সম্পাদনা, বর্ণনাত্নক লেখা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের টপিকে পারদর্শী হতে পারেন। বস্তুত, আমরা যা লিখি তা পূর্বের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সমন্বয় করে তারপর উপস্থাপন করি। সর্বোপরি, ভালো টপিক্স নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি ব্যক্তি নিম্নোক্ত বিষয়ের ওপর অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত -

১| জ্ঞান,
২।অভিজ্ঞতালব্ধ দিক,
৩|দক্ষতা,
৪| সৃজনশীলতা প্রয়োগের পরিসর।

প্রশ্ন-৯ : কোন টপিক্স এর ওপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিক্স এর ওপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি কেন ?

উত্তর- জ্ঞান হলো একটি ব্যক্তির জাগতিক পার্থিব ও অপার্থিব বিষয়ের ওপর জানাশোনা কতটুকু রয়েছে। জ্ঞান ছাড়া কেউ কোন কিছু করতে পারে না। আর একজন ব্লগার যখন পোস্ট করেন বা ব্লগ রচনা করেন, তখন তিনি শুধু তার পূর্বের ধারণা ও জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লিখে চলেন। অজ্ঞাত বিষয়ের ওপর লেখা বা সম্পাদনা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।

যেমন : জ্যোতির্বিদ্যা কিংবা রকেট সাইন্সের ওপর কোন ব্যক্তিকে লিখতে দেয়া হলে যদি কোন ব্যক্তি বিষয়টি সম্পর্কে নূন্যতম কোন ধারণা না রাখেন, তাহলে তিনি তা কিভাবে লিখবেন?
তেমনি একজন রন্ধনশিল্পীকে একটি সহজ বিষয় সম্পর্কে লিখতে দিলে তিনি খুব সহজেই সহজ বিষয়টি সম্পর্কে রেসিপি পোস্ট লিখতে পারবেন। কারণ সে বিষয়ে তার যথেষ্ট ধারণা আছে।

Src

সুতরাং, জ্ঞানই হলো সর্বপ্রথম বিষয় যার ওপর ভিত্তি করে টপিক্স নির্ধারণ ও স্বতঃলব্ধজ্ঞান দিয়ে পোস্ট বা ব্লগ রচনা করতে পারবেন।

প্রশ্ন -১০ : ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50। আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $USD কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবেন ?

উত্তর- প্রথমত, স্টিমিটে যিনি কেন পোস্টে ভোট দেন তিনি কিউরেটর। এখন তিনি $7 এর ভোট দিলে কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবেন ভোটের মূল্যের অর্ধেক মানে 50%। এক্ষেত্রে $7 এর 50% অর্থাৎ, $3.5 । সুতরাং কিউরেটর পাবেন 3.5 USD। এখন স্টিমের দাম 50 Cent হলে স্টিমে কিউরেশন রিওয়ার্ড দাঁড়ায়, 3.5÷0.5 বা 7 STEEM ।

তাহলে, $7 এর কিউরেশনে পাওয়া যাবে $3.5 USD অথবা তার সমমূল্যের 7 STEEM ।

প্রশ্ন-১১: সর্বোচ্চ কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি ?

উত্তর- কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়ার একটি হিসাব রয়েছে। কোন কিউরেটর যদি পোস্ট করার পর শুরুতেই কিংবা ১সেকেন্ড পর ভোট দেন তাহলে তিনি কোন কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবেন না। পুরোটাই রিওয়ার্ড পুলে জমা হবে। যদি ১মিনিট পর ভোট দেন তাহলে মোট কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়ার ২০% পাবেন, ২ মিনিট পর দিলে, ৪০%, ৩ মিনিট পর ৬০%, ৪ মিনিট পর ৮০%, ৫ মিনিট পর ১০০% কিউরেশন রিওয়ার্ড পাবেন। অর্থাৎ, ৫ মিনিট সময় পর ভোট দিলে কোন রিওয়ার্ডের অংশই রিওয়ার্ড পুলে জমা হবে না।

তাই সর্বোচ্চ কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়ার সর্বোত্তম কৌশল হলো, ৫ মিনিট সময়ের পর এবং পোস্ট করার ৬ দিন ১২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে। শেষ ১২ ঘন্টায় রেড জোন অর্থাৎ, ৭ দিন পে আউট নিয়মের শেষ ১২ ঘন্টায় ভোট দিলে কেন কিউরেশন রিওয়ার্ড পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন -১২ : নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে নাকি প্রজেক্ট @heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে?

উত্তর- কিউরেশনের ব্যাপারটি পুরোপুরি নির্ভর করে স্টিম পাওয়ার টোকেনের ওপর। যার বেশি স্টিম পাওয়ার থাকবে তিনি তত ভালো কিউরেশন আউটপুট বা ভালো আর্ণ করবেন। এখন, স্বল্প স্টিম পাওয়ার নিয়ে কিউরেট করলে কোন লাভ বা আর্ণ হবে না, হলেও তা যৎসামান্য। যদি ২ সেন্টের কম পে আউট হয় তাহলে সে রিওয়ার্ড ডাস্ট হয়ে রিওয়ার্ড পুলে চলে যাবে।

এখন ২০০-৩০০ বা এরকম স্টিম পাওয়ার নিয়ে ভোট দেওয়ার চেয়ে @heroism এ ডেলিগেট করলে, ডেলিগেশন প্রজেক্টটির বিপুল ডেলিগেশন স্টিম পাওয়ার ভেস্ট থেকে বড় ভোট আসবে, আর সামান্য ডেলিগেশনের জন্য আনুপাতিক হারে রিওয়ার্ড বন্টন হবে। তার থেকে অধিকতর ভালো সুবিধা অর্জিত হবে।

তাই এমন অবস্থায়, নিজে কিউরেশন করার চেয়ে উক্ত ডেলিগেশন প্রজেক্টে ডেলিগেশন করলে বেশি সুবিধা ও তথাপি বেশি আর্ন হবে।

পুরো দীর্ঘ পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন আর আমাদের বাংলাদেশবাসী সবার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন, এই প্রত্যাশা রাখি ।

নিজের সম্পর্কে কিছু কথা