১০০ বছরেরও বেশি পুরাতন হার্ডিং ব্রিজ দেখতে যাওয়ার 🌉 ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ashikur50 বাংলাদেশের নাগরিক।

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।


GridArt_20220806_123154950.jpg


২২শ্রাবণ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
৬আগষ্ট , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৭মহররম , ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার ।
বর্ষাকাল ।


তাহলে চলুন শুরু করা যাক


সবাই কেমন আছেন? আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি আমার ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম আশা করি আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লাগবে। তাহলে দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা কোম বেশী সবাই জানেন আমি ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমি যেখানেই যাই আমার প্রধান সঙ্গী থাকে আমার পছন্দের বাইকটি। সকাল থেকে মনটা খুবই খারাপ ছিল। কেমন যেন একাকীত্ব বোধ করছিলাম। ঠিক তখনই ফোন এলো আমার ফোনে ফোনের দিক তাকিয়ে দেখি আমার বন্ধু সম্রাট ফোন দিয়েছে।সম্রাট যখনই আমার কাছে ফোন দিয়েছে তখনই আমি প্লান করি সম্রাট কে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাব। এইজন্য আমি সম্রাট কে তাড়াতাড়ি আমার বাসায় আসতে বলি। তেমনি সম্রাট ঝটপট রেডি হয়ে আমার বাসায় চলে আসলো। আমি আগে থেকে কিছুই বলেছিলাম না সম্রাট কে যে আমরা ঘুরতে যাব। আসলে সম্রাটকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আমি আগেই বলিনি। যাইহোক ও আসার পর আমাকে বলছে বন্ধু কোথায় যাবি এত তাড়াহুড়া করে আসতে বললি। আমি সম্রাটকে আর তেমন কিছু বললাম না ওকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি অজানার উদ্দেশ্যে। কুষ্টিয়া মজমপুর গেটে গিয়ে ভাবছি কোথায় যাওয়া যায়। তখনই ভাবলাম অনেকদিন তো হার্ডিং ব্রিজ এবং লালন সেতু দেখতে যাওয়া হয় না। এই কথা ভাবতে ভাবতেই রওনা দিলাম ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে। হার্ডিং ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতু পাবনা এবং কুষ্টিয়ার সীমানায় অবস্থিত। অনেকেই বলে পাবনার মধ্যে আবার অনেকেই বলে কুষ্টিয়ার মধ্যে। যাইহোক অল্প একটু যেতে না যেতেই দেখা হলো পুলিশ মামার সঙ্গে তাদের সেই একই ডায়লগ গাড়ির পেপারস গুলো দেখাও। আর আমি যখনই কোথায় যাই সেজেগুজেই বের হই আমার কাগজ তো সব কমপ্লিট। তারপরে আমার বাইকের পেপারসগুলো পুলিশ মামাকে দেখালাম সে আমাদের ছেড়ে দিল। আবার শুরু হলো আমাদের যাত্রা। কুষ্টিয়া বাইপাস সড়ক পার হতেই দীর্ঘ ছয় কিলোমিটার যেতে খুবই কষ্ট হয়েছে কারণ রাস্তা ছিল অনেক ভাঙ্গা রাস্তার কাজ চলছিল। কিছুটা বৃষ্টি হওয়ার জন্য রাস্তায় অনেক কাদা ছিল এবং বড় বড় গাড়ির চাকা থেকে কাদা ছুটে গায়ে এসে পড়ছিল। কিছু করার নেই বাইকারদের এটা মেনে নিতেই হবে। কুষ্টিয়া থেকে লালন শাহ সেতু আনুমানিক ২৯ কিলোমিটার।


IMG_5416-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5418-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5420-01.jpeg


এক সময় পৌঁছে গেলাম সেতুর টোল কেটে। টোল কেটে ১০ টাকা টোল দিয়ে ওয়েলকাম জানিয়ে উঠে পড়লাম সেতুর উপর। রাস্তা ভাঙ্গা থাকার জন্য এত কষ্ট নিজেই দূর হয়ে গেল সে তো দেখে। আপনারা হয়তোবা অনেকেই এই সেতুর উপর দিয়ে গিয়েছেন। লালন সেতুর পাশেই রয়েছে ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো হার্ডিং ব্রিজ। হার্ডিং ব্রিজ দেখে এখনো মনে হয় এই তো কিছুদিন আগে হয়তোবা তৈরি হয়েছে।


IMG_5422-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5423-01.jpeg

Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5426-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5427-01.jpeg


যাইহোক সেতুর উপর দাঁড়িয়ে অনেক সময় চারিদিকে দৃশ্য উপভোগ করলাম এবং আপনাদের জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। সেতুর উপর দাঁড়ানো নিষেধ এই জন্য বেশি সময় দাঁড়াতে পারলাম না। পার হয়ে গেলাম ওপারে তারপরে আমরা কিছু সময় হার্ডিং ব্রিজের নিচে গিয়ে চারিদিকে দৃশ্য দেখি এবং দুই বন্ধু একটু আড্ডা দিলাম।


IMG_5425-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/jolt.prepaid.motorists

IMG_5424-01.jpeg


কিছু পরেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা চলে আসছিল। আমরাও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কারণ আমাদের অনেকটা পথ আসতে হবে আর মাঝপথে তো ৬ কিলোমিটার ভাঙ্গা আছেই। এই ৬ কিলোমিটার যেতে আমাদের প্রায় এক ঘন্টা লেগে যায়। যাইহোক বন্ধুর সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি সময় পার করেছি এবং সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে। আমার হাটিং ব্রিজ দেখতে যাওয়ার গল্পটি এখানেই শেষ দেখা হবে আবার অন্য কোন গল্প নিয়ে অন্য কোন পোস্টে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।


আমার পোস্টে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাই কে আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য।



20201128165947_IMG_0479.jpg

আমি মোঃ আশিকুর রহমান সোহাগ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ashikur50। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

আপনার এই স্বল্প পরিমাণ ভোটের সাপোর্ট আমার খুবই উপকৃত করে।

 2 years ago 

কুষ্টিয়া থেকে লালন শাহ সেতু আনুমানিক ২৯ কিলোমিটার।

আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন কুষ্টিয়া থেকে লালন সেতু আনুমানিক ২৯ কিলোমিটার হতে পারে। সারা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সেতু লালনশা সেতু। আসলে এই সেতু অনেক নাম ডাক রয়েছে রয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

একদম ঠিকই বলেছেন আপনি সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বন্ধুকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য হার্ডিং ব্রীজ বাহ দারুণ। আমি গেছিলাম গতবছরে। বেশ দারুণ ছিল আমার এবং আমার বন্ধুর ভ্রমণটা। বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

 2 years ago 

কুষ্টিয়ার আশেপাশে সব জায়গায় ঘোরা হয়ে গেছে কিন্তু হাডিং ব্রিজে একটু কম আসা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হার্ডিং ব্রিজ এবং লালনশা সেতু পাশাপাশি দুটি দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। এটি আমাদের কুষ্টিয়ার একটি ঐতিহ্য যেটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। এই জায়গাটাতে আমিও কয়েকবার করে গিয়েছি আমারও খুব ভালো লাগে ‌। আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন খুবই ভালো লাগলো।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভাই হার্ডিং ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতু পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

দারুন ব্যাপার আপনার বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিয়েছেন ।হার্ডিং ব্রিজে যাওয়ার মুহূর্তের দৃশ্যপটভূমি দেখে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকদিন আগে গিয়েছিলাম নদীপথে যাইহোক আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আমাদের সাথে এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

মাঝে মাঝে বন্ধু এবং ভাই ব্রাদারের এইভাবে সারপ্রাইজ দিতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ঘোরাঘুরির মুহূর্তটা দারুন ছিল সত্যি ই।

 2 years ago 

তুমি তো এমনিতেই জানো আমরা কি পরিমান ঘোরাঘুরি করি। তেলের যে দাম আর হয়তো আগের মতো হবে না।

 2 years ago 

আসলে তেলের দাম বেড়ে গিয়েছে তাতে কি হয়েছে আমরা হেঁটে চলাচল করব।

 2 years ago 

হেঁটে আর কতদূর যাওয়া যায় রে ভাই।

 2 years ago 

তাহলে সাইকেল নিয়ে ঘুরাঘুরি করব

 2 years ago 

আমার তো বাইসাইকেল নেই তাহলে কেমনে কি হবে।

 2 years ago 

আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ।১০০ বছরের পুরোনো হার্ডিং ব্রিজ দেখতে যাওয়ার এই মুহূর্তটা সত্যিই অনেক বেশি রোমাঞ্চকর ছিল যেটা আপনার পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। সুন্দর এই মুহূর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হার্ডিং ব্রিজ অনেক পুরাতন একটা ব্রিজ। বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে। সারপ্রাইজ এর মূহূর্ত টা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। ব্রিজ এর ছবি গুলো দারুন হয়েছে। পানি থাকলে অবশ্যই অনেক সুন্দর দেখায় জায়গাটা।।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন হার্ডিং ব্রিজ অনেক পুরাতন একটি ব্রিজ আমি অনেকবার গিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক পুরাতন একটি ব্রিজ সম্পর্কে জানতে পারলাম এবং ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে ব্রিজ বাস্তবে দেখলাম। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

আমার পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কিছু জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হার্ডিং ব্রিজ এবং লালন শাহ সেতু পাবনা এবং কুষ্টিয়ার সীমানায় অবস্থিত।

এই ব্রিজটি আমাদের পাশের জেলাতে হবার কারণে ঢাকাতে যাবার পথে অনেকবার এটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ১০০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে তারপরও এই ব্রিজটি এখন পর্যন্ত আগের মতই রয়েছে। আজকে আবার এই ব্রিজটির ফটোগ্রাফি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি ১০০ বছরের বেশি পুরাতন হওয়ার পরেও এখনো আগের মতনই আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 69076.52
ETH 2742.00
USDT 1.00
SBD 2.72