আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করছি সবাই ভালো আছো।বন্ধুরা আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি।বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে একটি বাংলাদেশি নাটক নিয়ে আলোচনা করবো আশা করছি এটা আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক টির নাম "গুপ্ত বিদ্যা"নামটি দেখে হয়তো আপনার মনে খটকা লেগেছে।হা আমার মনেও লেগেছিলো নাটকটি দেখার পরে বুঝেছি।আমাদের আশে পাশে অনেকেই আছে যারা ভাল কিছু জিনিস জানেন যা অন্যর উপকারে কাজ করে। তবে যে জানেন তিনি ছাড়া সেই গুপ্তবিদ্যা আর কাউকে জানাতে ইচ্ছুক হোন।ফলে আমাদের আশে পাশে উপকারি গুপ্ত বিদ্যাগুলো গুপ্তই থেকে যায়।তা আর প্রকাশ পায় না মানুষ এর মাঝে।সাধরনত এই কাহিনি নিয়েই নাটক টি করা।
গুপ্ত বিদ্যা
ছবি সংগ্রহ
★ সার সংক্ষেপ
নাটকটির প্রথমে দেখা যাবে একজন মেয়ে কলশী ভরে পানি আনছে।মেয়েটির বাবা একটা চারা গাচ রোপন করার পরে মেয়েটর কাছে বললো মা একটু পানি দে,মেয়েটি বললো বাবা এটা টিউবওয়েল এর পানি অনেক দূর থেকে এনেছি। বাবা বললো একটু দে মেয়েটি রাগ করে পুরো কলশী ঢেলে দিয়ে চলে গেলো।এখান থেকেই নাটক এর শুরু।
মেয়েটি একটি বাগানে গিয়ে লুকিয়ে বিড়ি খাচ্ছে,আর তার বোন তা দেখে ফেলে এবং সেটা সে তার বাবাকে বলে দেয়।বলে রাখি মেয়েটির বাবা একজন হাকিম আর তাকে নিয়েই গল্প।মেয়েটির ছোট বন এবং বাবা দুজনে চুলায় হারি বসিয়ে কি একটা ওষুধ বানাচ্ছে।কোথা থেকে যেনো হেকিম সাহেব এর বড় মেয়ে এসে বলছে বাবা একজন মাইয়া আসছিলো সে টাকা দিয়া গেসে ওষুধ লাগবো তার পেটের বাচ্চা মাইরা ফেলানোর লাইগা।
বাবা তওবা বলতে বলতে বললো এটা আমি কখুনোই করবো না।মেয়েটি চলে গেলো।হেকিম সাহেব এর বাসায় একজন নতুন অথিতি এলেন এবং বললেন সে হেকিম সাহেব এর ওষুধ এর ফরমুলা গুলো জানতে চান।কিন্তু হেকিম সাহেব সাফ বলে দিলেন। এটা সে বলতে পারবেন না কারন এটা তার গুপ্ত বিদ্যা। মেয়ে বসে থেকে বললো আমি আপনার গুপ্ত বিদ্যা জেনেই এখান থেকে জাবো।নতুন অথিতী হেকিম সাহেব এর বাসায় থাকলেন।
হেকিম সাহেব এর মেয়ে অন্য পাড়ার একটি ছেলের ভাব করেন। ছেলেটি তার সর্বনাশ করেছে এখন বিবাহ করতে রাজি নয়।তায় সে বার বার তার বাবার কাছে গিয়ে অন্য মেয়ের নাম করে বাচ্চা মারার ওষুধ নিতে চায় তবে বাবা দেন না।একদিন বাবা নামাজ পরে বসে আছেন পাশে বড় মেয়ে এসে বসলো এবং হেকিম বাবা বললো দেখি তোমার নারি । নারী দেখে হেকিম বললো তোমার কি বাচ্চা হইবো।মেয়ে বললো বিয়ের আগে কারো বাচ্চা হয় নাকি। হেকিম উত্তরে বললো হয় কিছু খারাপ মেয়েদের হয়।
হেকিম এর বাসায় একদিন একজন পা পচা রুগি আসলেন। হেকিম সাহেব দেখে বললেন এটা ঠিক করা যাবে।নতুন অথিতী বললো এটা ডাক্তার ছাড়া কেউ পারবে না তবে হেকিম এর ওষুধে আসলেই সেটা ঠিক হয়ে যায়।নতুন অথিতী এই সব এর ফরমুলা জানতে চাইলে সে বলে না। শুধু বলে এটা গুপ্ত বিদ্যা। নতুন অথিতী বলে আপনার মতো অনেক গুপ্ত বিদ্যা মারা জাবার পরে হারিয়ে গেছে। জা বিজ্ঞানিদের আবিষ্কার করতে অনেক সময় লেগে যায়।
আপনি কেনো বলবেন না এটাতে তো আপনি মানুষ কে উপকার করবেন।আর আপনি মারা যাবার পরে অন্যর দারা উপকৃত হবে মানুষ। হেকিম কোনো কথা শুনলেন ন।একদিন হেকিম এর বড় মেয়ে তার প্রেমিক এর সাথে দেখা করতে গিয়ে বলে তাকে জদি সে বিবাহ না করে তাহলে সে বিশ পাতার গাছ খেয়ে মারা যাবে।ছেলেটি কোনো তুয়াক্বা না করে সে বলো বাসায় যায়ে খা। মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরে বিশ পাতা খায়।এটা ছোট বন দেখে বাবাকে বলে বাবা এবং নতুন অথিতী ছুটে আসেন এবং এটা দেখেন।
হেকিম বললো আমি এই বিশ নষ্ট করার ওষুধ জানি।মেয়েটি বললো আমি তোমার বানানো ওষুধ খাবো না।হেকিম বললো আমি নতুন অথিতীকে সব ফরমুলা বললবো তারা দোরে বাসায় যায় এবং নতুন অথিতী কে ফরমুলা বলে ওষুধ বানাতে শুরু করে।ওষুধ বানানোর পরে সময় ফুরিয়ে যায় মেয়েটি মারা যায়।তখনি হেকিম বাবা নিজের ভুল বুঝতে পারেন।
আসলে আপনি যেটুকুই ভালো কাজের ফরমুলা জানেন সেটা মানুষ এর উপকারে ব্যাবহার করুন নতূবা নিজে যখন বিপদে পরবেন সেদিন আর রক্ষা নেই।হেকিম সাহেব যদি নতুন অথিতী কে যদি তার গুপ্ত বিদ্যা শেখাতেন তাহলে হয়তো এই দিন আসতে না হেকিম সাহেব এর।
বন্ধুরা আশা করছি এটা আপনাদের ভালো লাগবে। নাটক আমার অনেক ভালো লেগেছিলো।ধন্যবাদ সবাইকে আপনাদের সাথে আবারো দেখা হবে নতুন কনো গল্পে ভালো থাকবেন সবাই।
Cc:
@rme
@rex-sumon
ভালো লিখেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ
আপনাকে বাংলা বানানের প্রতি আরো যত্নশীল হতে হবে, প্রচুর বানান ভুল হচ্ছে ।
ওকে দাদা সামনের পোস্ট গুলোতে ঠিক রাখার চেষ্টা করবো