🦊🦊❤️❤️কবিতা আবৃতি(১০% পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🦊🦊❤️❤️
- ৩জ্যৈষ্ঠ
- ১৪২৯বঙ্গাব্দ।
- মঙ্গলবার
- কবিতা আবৃতি
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করছি সবাই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে আমার আজকের ব্লগে থাকছে একটি কবিতা আবৃতি তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক।
কবি গুরু আমাদের এক গর্বের নাম তার কবিতা সঠিক ভাবে আবৃতি করার সাহস দেখাতে পারিনা কারণ আমার ভুল হয়ে যাই তবুও চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
লিংক
ছোটোবড়ো-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এখনো তো বড়ো হই নি আমি,
ছোটো আছি ছেলেমানুষ ব’লে।
দাদার চেয়ে অনেক মস্ত হব
বড়ো হয়ে বাবার মতো হলে।
দাদা তখন পড়তে যদি না চায়,
পাখির ছানা পোষে কেবল খাঁচায়,
তখন তারে এমনি বকে দেব!
বলব, “তুমি চুপটি ক’রে পড়ো।’
বলব, “তুমি ভারি দুষ্টু ছেলে’ —
যখন হব বাবার মতো বড়ো।
তখন নিয়ে দাদার খাঁচাখানা
ভালো ভালো পুষব পাখির ছানা।
সাড়ে দশটা যখন যাবে বেজে
নাবার জন্যে করব না তো তাড়া।
ছাতা একটা ঘাড়ে ক’রে নিয়ে
চটি পায়ে বেড়িয়ে আসব পাড়া।
গুরুমশায় দাওয়ায় এলে পরে
চৌকি এনে দিতে বলব ঘরে,
তিনি যদি বলেন “সেলেট কোথা?
দেরি হচ্ছে, বসে পড়া করো’
আমি বলব, “খোকা তো আর নেই,
হয়েছি যে বাবার মতো বড়ো।’
গুরুমশায় শুনে তখন কবে,
“বাবুমশায়, আসি এখন তবে।’
খেলা করতে নিয়ে যেতে মাঠে
ভুলু যখন আসবে বিকেল বেলা,
আমি তাকে ধমক দিয়ে কব,
“কাজ করছি, গোল কোরো না মেলা।’
রথের দিনে খুব যদি ভিড় হয়
একলা যাব, করব না তো ভয় —
মামা যদি বলেন ছুটে এসে
“হারিয়ে যাবে, আমার কোলে চড়ো’
বলব আমি, “দেখছ না কি মামা,
হয়েছি যে বাবার মতো বড়ো।’
দেখে দেখে মামা বলবে, “তাই তো,
খোকা আমার সে খোকা আর নাই তো।’
আমি যেদিন প্রথম বড়ো হব
মা সেদিনে গঙ্গাস্নানের পরে
আসবে যখন খিড়কি-দুয়োর দিয়ে
ভাববে “কেন গোল শুনি নে ঘরে।’
তখন আমি চাবি খুলতে শিখে
যত ইচ্ছে টাকা দিচ্ছি ঝিকে,
মা দেখে তাই বলবে তাড়াতাড়ি,
“খোকা, তোমার খেলা কেমনতরো।’
আমি বলব, “মাইনে দিচ্ছি আমি,
হয়েছি যে বাবার মতো বড়ো।
ফুরোয় যদি টাকা, ফুরোয় খাবার,
যত চাই মা, এনে দেব আবার।’
আশ্বিনেতে পুজোর ছুটি হবে,
মেলা বসবে গাজনতলার হাটে,
বাবার নৌকো কত দূরের থেকে
লাগবে এসে বাবুগঞ্জের ঘাটে।
বাবা মনে ভাববে সোজাসুজি,
খোকা তেমনি খোকাই আছে বুঝি,
ছোটো ছোটো রঙিন জামা জুতো
কিনে এনে বলবে আমায় “পরো’।
আমি বলব, “দাদা পরুক এসে,
আমি এখন তোমার মতো বড়ো।
দেখছ না কি যে ছোটো মাপ জামার–
পরতে গেলে আঁট হবে যে আমার।’
ভাইয়া আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতাটি আমি কখনো শুনিনি তবে আপনার কন্ঠে এই প্রথম এই কবিতার আবৃত্তি শুনতে পেলাম। আপনার কন্ঠে এই কবিতা আবৃতি টি খুবি মানিয়েছে। আপনার কবিতা আবৃত্তি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া মঙ্গলবার বানানটা মনে হয় এভাবে হবে।খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
সুন্দর এক কবিতা আবৃত্তি করেছেন। ভালো লাগলো আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে। লাইন গুলো সুন্দর ছিলো অনেক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর এই কবিতায়। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
ভালো লাগলো ভাই আপনার কবিতা আবৃতি। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আপনি। যদি কবিতা আবৃতি আমি ভালোভাবে করতে পারিনা। তবে আপনার কবিতাবৃতি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কবিতা আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনি আসলেই একজন প্রতিভাবান মানুষ। আপনি গান পারন, কবিতা পারেন, সাথে অন্যান্য কাজ ও পারেন। আসলে এমন মানুষের পোস্টে কমেন্ট করতেও ভালো লাগে। আজকের কবিতা খুব সুন্দর হয়েছে।
বাহ আপনার কন্ঠে রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি শুনে খুব ভালো লাগলো । অত্যান্ত অসাধারণ ভাবে আপনি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। এত অসাধারণ কবিতা আবৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাই।
আপনি যে এত সুন্দর কবিতা লিখতে পারেন তা আমার জানা ছিল না। জাস্ট অসাধারণ হয়েছে এভাবে এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক সুন্দর ভাবে কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন। আমি এর আগে ও আপনার একটি গান দেখেছি খুব সুন্দর হয়েছে। আশা করি এভাবে প্রতিনিয়ত শেয়ার করে যাবেন ধন্যবাদ।
তুমি তো খুবই সুন্দর কবিতা আবৃতি করে করতে পারো দেখছি। আর রবীন্দ্রনাথের কবিতা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। শুভকামনা রইল তোমার জন্য।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কবিতাটি আমি আগে কখনো শুনিনি তবে আপনার মুখ থেকে এত সুন্দর করে আবৃত্তি শুনে খুবই ভালো লেগেছে ভাই আমার। আপনার সত্যিই অসাধারণ ক্রিয়েটিভিটি রয়েছে যা আপনার কবিতা বলার মধ্য দিয়ে বুঝতে পারলাম আপনার জন্য শুভকামনা রইল।