শৈশব এর ভুতুরে স্বৃতি (১০% পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🦊🦊
- ৩কার্তিক
- ১৪২৯বঙ্গাব্দ।
- সোমবার
- শৈশব এর দারুন স্বৃতি
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে।আমার আজকের ব্লগে থাকছে আমার শৈশবে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা চলুন তাহলে শুরু করি আমার আজকের ব্লগ আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
আমার বয়স তখন ৭-৮ হবে আমি ক্লাস থ্রী তে পরি তখন।অই সময়ে আমাদের কাকার বাসায় এবং আমাদের বাসায় দুই বাড়িতে দুটো সাদা কালো টেলিভিশন ছিল।আমাদের টেলিভিশন এর ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়াতে চলছিল না।তাই আমি গিয়েছিলাম আমার কাকাদের বাসায় টিভি দেখতে।কারণ অই সময়ে টিভি না দেখলে ভাল লাগতো না।নেশা হয়ে গিয়েছিলো।আর না ছিল মোবাইল না ছিল এইসব সোস্যাল দুনিয়া সবাই একসাথে বসে গল্প করতাম আর টিভি দেখতাম।
ঘটনার দিন রাতে আমি কাকাদের বাসায় গেছি টেলিভিশন দেখতে সেদিন ছিল শুক্রবারের রাত। আর প্রতি শুক্রবার শনিবার আলিফ লাইলা হতো।এটা খুবই জনপ্রিয় একটা টিভি সিরিজ। প্রতি শুক্রবার আমাদের বাসায় লোকজন ভরে জেতো এটা দেখার জন্য তবে সেদিন কাকাদের বাসায় গিয়েছিলাম রাত ৮ টায় শুরু হয়ে যায় আলিফ লাইলা।সবাই খুব মনোযোগ দিয়ে আলিফ লাইলা দেখছিলাম।এই সিরিজে একটা চরিত্র ছিল সিনবাদ নাম।সে ছিল মুলত নায়ক শয়তানদের ধ্বংস করতো।
সেদিন রাত্রে একটা খুলির স্কেন দেখে আমি সব লোকদের মধ্যে চেচিয়ে উঠি এবং দোরায়ে আমাদের পাট কাঠির একটা গেইট দেওয়া ছিল সেটা ভেঙ্গে চলে আসি আব্বুর কোলে। সবাই তারা হুরো শুরু করে দেয় কি হলো আমার।এরপরে পানি পরায়ে খাইয়ে বললাম অই স্কেন দেখে এমন হয়েছে সেদিন আমি জীবনের সব থেকে বড় ভয় পেয়েছিলাম যেটা এখন মনে হলে হাসি পাই।
সত্যি বলতে তখনকার সময় আলিফ লায়লা দেখার জন্য অনেক অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম, কখন আলিফ লায়লা শুরু হবে। আর অনেক মজা লাগলো, আপনি মাথার খুলির স্ক্যান দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে আপনাকে পানি পড়া খাইয়ে ছিলো এর জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
আপনাকেউ ধন্যবাদ তখনের দিন গুলো অনেক মজাদার ছিল।
আসলেই ভাই তখনকার জীবনের সাথে এখনকার জীবন অনেক তফাৎ। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেয়ার জন্য।
আসলে সেই দিনগুলোর কথা অনেক মনে পড়ে এখনো ভাইয়া। শুক্রবার রাত আটটা হলেই সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে যেত আলিফ লায়লা দেখার জন্য। আলিফ লায়লার মধ্যে সিনবাদের চরিত্রের দৃশ্য গুলো সব থেকে বেশি ভালো লাগতো আমার কাছেও। খুলির স্কেন দেখে আপনি সে সময় ভয় পেয়েছিলেন কিন্তু এখন হলে আর ভয় পেতেন না।
এখন হলে ভয় পাবার প্রশ্নই আশে না হাহাহা ধন্যবাদ ভাই
আসলেই একটা সময় ছিলো যখন ছিলো না মোবাইল কিংবা কোনো সোস্যাল দুনিয়া ৷ তখন সাদা কালো টিভিই ছিলো সবার বিনোদনের জায়গায় ৷ আসলে আমিও আলিফ লায়লা দেখতাম , সেসময় প্রচুর ভালো লাগতো এই টিভি সিরিজ ৷ আপনি মাথার খুলির স্ক্যান দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন বিষয়টা বেশ মজা ছিলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর একটি গল্প শেয়ার কবা জন্য
আপনাকেউ ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত এর জন্য।
আমার জীবনেও শৈশবে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আপনার গল্পটি পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। শৈশবের কিছু কথা জানতে পারলাম। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই।
আসলে সে সময়টা অনেক ভালো ছিল ।যখন সাদাকালো টেলিভিশনে সবাই একসাথে বসে আলিফ লায়লা দেখতাম অনেক মজা হতো। আপনি আবার সেই পুরানো অনুভূতি জাগিয়ে দিলেন।
পুরানো দিন গুলোই অনেক ভাল ছিল।ধন্যবাদ ভাই।
আসলে শৈশবে ভূতের নানা রকম গল্প শুনেছিলাম বড়দের কাছ থেকে। কিন্তু এখন বাস্তবে আমরাই ভূত। বেশ ভালো লাগলো আপনার শৈশবের ভুতের গল্প শুনে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।
পুনরায় মনে করে দিলেন শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো। শুক্রবার সন্ধ্যা লাগলে আলিফ লায়লা দেখার জন্য পাড়া প্রতিবেশীদের বাড়িতে দৌড়াদৌড়ি করতাম। আর এখন ভুল করে একদিনের জন্য ইচ্ছে হয় না। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের এই গল্পটা পড়ে।
ধন্যবাদ ভাই পুরানো দিনের কথা আসলেই মনে পরলে অনেক খারাপ লাগে।