😍😍বাংলা সিনেমা"শ্রাবণ মেঘের দিন"রিভিউ(১০%পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)🦊🦊😍😍
- ১৬মাঘ
- ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
- রবিবার
- শ্রাবণ মেঘের দিন সিনেমা রিভিউ
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করছি সবাই ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি। বন্ধুরা চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আজকের ব্লগটি খুব সুন্দর একটি জনপ্রিয় সিনেমা রিভিউ নিয়ে করবো।সিনেমাটির নাম "শ্রাবণ মেঘের দিন"১৯৯৯ সালে নির্মিত এই সিনেমাটি এখনো দর্শক প্রিয় হয়ে আছে বিশেষ করে এই সিনেমার কিছু গান তার মধ্যে উল্লেখ্য "একটা ছিলো সোনার কন্যা"তাহলে চলুন শুরু করি।
★ সিনেমাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
সিনেমা | রিভিউ |
---|---|
সিনেমা | শ্রাবণ মেঘের দিন |
অভিনয়ে | জাহিদ হাসান,মাহফুজ আহমেদ,মেহের আফরোজ শাওন,মুক্তি, আনোয়ারা,গোলাম মোস্তাফা,সালেহ আহমেদ |
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
পরিচালক | হুমায়ূন আহমেদ |
প্রোডিউসার | নুহাস চলচিত্র |
মুভি টাইম | ২ ঘন্টা ৩১ মিনিট |
রিলিজড | ১৯৯৯ |
১৯৯৯ সালে মুক্তি পাপ্ত এই সিনেমাটি লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর শ্রাবণ মেঘের দিন উপন্যাস থেকে করা হয়।তার এই উপন্যাস টি যেমন জনপ্রিয় ছিল তেমনি তার পরিচালিত এই সিনেমাটিও।
★ নাটক লিংক:
★ কাহিনী সংক্ষেপ:
একদিন শহর থেকে গ্রামের জমিদার এর দুই নাতনি আসছে।কোনো গাড়ির ব্যবস্থা নেই আর জমিদারি বাড়িটা নদীর মাঝে প্রায় তাই নৌকা করে যেতে হয়।নাতনি শাহানা এবং তার ছোট বোন নৌকাতে উঠে যাচ্ছে সাথে আবার এলাকার গায়ক মতি মিয়া সেও উঠেছে শাহানার বোন জিগায় আমাদের নৌকাতে ওঠার কারণ সে উত্তরে বলে যে আমার কাছে টাকা পয়শা নাই তাই অন্যের নৌকাতে উঠি।এভাবে মাঝ নদীতে এসে গায়ক মতি গান শোনাতে চাইলে শাহানার বোন বলে আমরা আপনার গান শুনবো না কিন্তু মতি অই ভাবেই গান গাইতে শুরু করে এবং তা শুনে শাহানা ও তার বোন অবাক হয়ে যায়।এরপরে তারা তার গানের প্রেমে পড়ে যায়।এক সময় নৌকা পারে ভিরে।
এলাকার আরেক গায়েনের মেয়ে কুসুম সে মতি মিয়াকে ভালোবাসে কিন্তু মতি মিয়া তাকে বাসে না।কুসুম এর বাবা সে উজানে চইলা গেছে সবাই বলাবলি করে উজানে নাকি সে বিয়ে করে সংসার করছে।এদিকে জমিদার তার নাতনিদের পেয়ে বেজায় খুশি এবং আমত ফুরতি করছে।মতি মিয়া সারা রাত বৈঠা মারার কারনে জ্বরে কাপছে শুয়ে আছে তার ঘরে।নদীর পারেই তার কুরেঘর।
মতি মিয়াকে শাহানা একজন ভালো মানুষ হিসাবে সম্মান করে এবং পছন্দ করে কিন্তু মতি মিয়া ভাবে শাহানা তাকে ভালোবাসে তাই সে কুসুম এর ভালোবাসা কে অবহেলা করে।একদিন কুসুম এর বাবা উজান থেকে ফিরে আসে এবং সাথে সুরুজ নামের একটা ছেলে কে ধরে নিয়ে আসে দেখতে শুনতে ভালো এবং সেও একজন গায়ক তাই তার বাবা ঠিক করে কুসুম এর সাথে তার বিবাহ দিবে।
কুসুম এর মন পরে আছে সেই মতি মিয়ার কাছে।এদিকে জমিদার এর নাতিরা গ্রামের মানুষ এর সাথে খুব সুন্দর মিলেমিশে দিন পার করছে। যদিও গ্রামের মানুষ তার দাদাকে দেখতে পারে না এর কারণ একাত্তর এর যুদ্ধের সময় তার দাদা পাক বাহিনিদের কে সাহায্য করেছিল।তাই গ্রামের মানুষ এর চোখের কাটা হয়ে আছে তার দাদা।
একদিন গ্রামের এক মেয়ের বাচ্চা হবে কিন্তু বাচ্চা পেটের মধ্যে উলটো হয়ে ছিল শাহানা একজন ডাক্তার তবে সে এমন কেস কখুনো দেখে নাই সাহস নিয়ে সে নরমালি ডেলিভারি করে এবং বাচ্চা মা দুজনেই বেছে যাই।গ্রামে কোনো হাসপাতাল নেই।শাহানা তার দাদুকে বলে তাদের জমিদারি বাড়িটা হাসপাতাল বানাতে এবং গ্রামের মানুষ এর কাছে ক্ষমা চাইতে।কিন্তু তার দাদু রাজি হয় না।
এক সময় গ্রামের সমস্থ মানুষ কে জরো করা হয় শুধু কুসুম এর পরিবার আসে না কারণ সেদিন কুসুম এর বিবাহ ওইদিন জমিদার এবং তার নাতিরা চলে যাবে।জমিদার সবার কাছে কান্না করে ক্ষমা চাই এবং নিজের জমিদারি বাড়িটা হাসপাতাল বানিয়ে দেয়।কুসুম মতিকে না পাওয়ার শোকে বিষ পান করে তার মা তা দেখে ফেলে এবং চিৎকার করতে শুরু করে দেয়।এরপরে সুরুজ এবং মতি দুজনে নৌকা বাইতে থাকে কিন্তু মাঝ পথে যেতেই দেখা যায় কুসুম আর বেচে নেই।
তখন মতি এটা দেখে চিৎকার দিয়ে গান শুরু করে দেয় শোয়া চান পাখি ,,,, শেষের এই সিন দেখে এমন কেউ নেই যে সে কাদে নাই।
★ নিজের মতামত:
পুরো সিনেমাটিই প্রাচিন গ্রামিন সমাজের ইতিহাস নিয়ে করা কতো কষ্ট সহ্য করে নদীর পারের মানুষ গুলো দিন কাটিয়েছে।কি ছিল না এই সিনেমাতে, ভালোবাসা,অভিমান,দায়িত্ব, ন্যয়, নীতি সব কিছু মিলিয়েই ছিল।সিনেমাটি ১৯৯৯ সালে অর্থাৎ ২৩ বছর আগে নির্মিত হলেও এর জনপ্রিয় তা এখনো কমে নাই।আর ভালো জিনিসের কদর কখুনো কমে না।আপনারা যারা দেখেন নাই লিংক দিয়েছি দেখে নিয়েন আশা করছি ভালো লাগবে।সবার অভিনয় ছিলো একদম ন্যাচারাল ফলে সিনেমাটি আরো বেশি সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
★ ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটিকে আমি আমার কাছে সেরা স্থান দিব আমি ১০/০৯ দিলাম
বন্ধুরা নিজের মতো করে সিনেমাটির গল্প সংক্ষেপে উপস্থাপন করেছি আশা করছি আপনারা বুঝতে পারবেন। আর সিনেমাটি দেখলে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।সবাই ভাল থাকবেন আবারো দেখা হবে নতুন কোনো পোস্টে।
শ্রাবণ মেঘের দিন এই মুভিটি কখনো দেখা হয়নি । তবে আপনার রিভিউ টি পড়ে অনেক কিছু শিখতে পারলাম । আপনি অনেক সুন্দর হবে মুভি দিয়ে সাজিয়ে গুজিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন । তাছাড়া আপনার সংক্ষিপ্ত মতামতে অনেক সুন্দর ভাবে মুভিটির আসল বিষয়বস্তু গুলো তুলে ধরেছেন । আপনার জন্য শুভকামনা রইল
শ্রাবণ মেঘের দিন।
অসাধারণ একটা মুভি রিভিউ করেছেন ভাই। একদম গ্রামীণ গল্প এবং অসাধারণ কাহিনী সম্বলিত শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিটি যাকে বলে একদম অসাধারণ।
ছবিটি আমি দেখেছিলাম প্রায় দুই বছর আগে। ছবিটিতে যে একটি গান সংযুক্ত করা হয়েছে এটা কিন্তু খুবই জনপ্রিয় গান।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
এগুলা ছিল মূলত উনিশ শতকের ছবি এসব ছবি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি দিক থেকে অনেক সুন্দর একটি ছবি এবং পরিবারের সবাই মিলে দেখার মতো ছবি। আমিও অনেক আগে ছবিটা দেখেছিলাম। আপনার আজকে রিভিউ পোস্টটি দেখে ছবিটির পুরো কাহিনী টা আবার মনে পড়ে গেল। এসব ছবি সত্যিকার অর্থে যতই দেখি ততই দেখতে মন চায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি সামাজিক ছবির রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলতে পারবে আমাদের একজন হুমায়ুন আহমেদ ছিল। হুমায়ূন আহমেদের সব নাটক সিনেমা আমার দেখা। অনেক প্রতিভাবান একজন লেখক এবং পরিচালক ছিলেন। শ্রাবণ মেঘের দিন এই নাটক টা আমি অনেকবার দেখেছি।
এবং এই ছবির
এক যে ছিল সোনার কন্যা
মেঘ বরণ কেশ
ভাটি অঞ্চলে ছিল সেই
কন্যার দেশ
এটা আমার অনেক পছন্দের একটি গান। ভালো ছিল মুভি রিভিউ টা।
তার সৃষ্টি, বাকের ভাই,হিমু, মিছির আলি অমর হয়ে থাকবে।ধন্যবাদ বোঝাই যায় তুমিও আমার মতো হুমায়ুন ভক্ত😍😍😍