😍😍"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী ভ্রমন-২০২১ "(২য় পর্ব)(১০%পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)😍😍
আসসালামু আলাইকুম
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী ভ্রমন
সবাই কেমন আছেন আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি, বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কুঠিবাড়ী ভ্রমনের মুহুর্ত ভাগ করবো। আগের পর্বে আমি কুঠিবাড়ী আসা নিয়ে পোস্ট লিখেছিলাম।এই পোস্টে আমি কুঠিবাড়ীর ভেতরের দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করবো।
কুঠিবাড়ীর ভেতরে
এই চিত্রটি কুঠিবাড়ী দ্বিতীয় তলা থেকে তোলা
কুঠিবাড়ী
কুল্ফি খেয়ে মাথা ঠান্ডা করে আমরা ৩ টা টিকিট কাটলাম ভেতরে প্রবেশ এর জন্য। প্রতিটা টিকিট এর মূল্য ২০ টাকা বিদেশ থেকে কেউ এলে তাদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে রাখা হয়।এটাই হলো এই পর্যটন কেন্দ্রের কমিটিদের নিয়ম এবং অনেক আগে থেকেই এখানে এই নিয়ম চলে আসছে। ভেতরে প্রবেশ করলাম খুবই মনোরম পরিবেশ অনেক শান্ত আর ঠান্ডা।আমি এখানে অনেকবার এসেছি আমদের বাসার পাশেই এটা আমার পছন্দের জায়গা গুলো মধ্যে একটি।এখানে অনেক পুরাতন আম গাছ,মেহগনি গাছ পদ্মা বোট।পুরাতন পুকুর সহ কবি গুরুর ব্যাবহিত প্রায় সব কিছু রয়েছে।
কুঠিবাড়ীর মধ্যে আমি এবং বন্ধুরা সাথে প্রকৃতি
ভেতরে দুইটা দোলনা ছিল আমি আগে এখনে এসে কখুনো দোলনা খালি পাইনাই। কেউ না কেউ দুলছেই এবার এসে দেখলাম কেউ নাই সেখানে শুধু শিশুরা বসে সাথে অনেক বড় মানুষ ও বসে।আমি এবং আমার বন্ধু তিনজন সেখানে বসলাম এবং দোল খাচ্ছিলাম।দোল খাওয়া শেষ করে আমরা চারিদিকে ঘুরছি আর যে যার মতো ছবি উঠতেছি।আগে মানুষ নতুন কিছু দেখার জন্য ঘুরতে যেতো আর এখুন মানুষ ছবি উঠার জন্য যায়।যুগ অনেক পাল্টাইছে।
দোল খাওয়ার সময়ে
আমরা ভেতরের চারপাশ ঘুরে এবার বাড়ির মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।টিকিট দেখালেই ঢুকতে দিবে কুঠিবাড়ীর মধ্যে।ভেতরে কবি গুরুর জমিদারি আমলের যাবতিয় কিছু রয়েছে।দুইটা পালকি, ঘাস কাটার যন্ত্র,খাট -পালংক,খাজনা আদায়ের টেবিল ইত্যাদি। যা প্রতিটা পর্যটকের মন কেরে নেয়।এছাড়াও রয়েছে কবি গুরুর আমলের বিভিন্ন ধরনের গাছ।
কুঠিবাড়ীর মধ্যে কবি গুরুর সৃতিময় কিছু চিত্র
আরেকটি বিশেষ জিনিষ রয়েছে সেটি হলো পদ্মায় ঘুরে বেড়ানোর জন্য কবি গুরুর ছিলো একটি বোট যেটাতে করে কবি পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়াতেন।,তখন কার সময়ের বেশ আধুনিক রান্না ঘর, কুয়া,বাথটব ও আছে সেখানে।প্রায় ১০০ বছরের পুরাতন এই কুঠিবাড়ী যেখানে ছিলো আধুনিক সমস্থ কিছু।
এখানে প্রতিবছর লাখ পর্যটক ঘুরতে আসেন।আমরা আমাদের ঘুরাঘুরি শেষ করে কুঠিবাড়ী থেকে বিদায় হলাম।আবার আসবো এখানে ঘুরতে। বন্ধুরা আপনারা চাইলেও আসতে পারেন অনেক সুন্দর শান্ত পরিবেশ এখানে এবং এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। সবাই ভালো থাকবেন অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্ট পড়ার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।
বন্ধুরা আমি আপনাদের আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে কুঠি বাড়ি নির্মাণ এর ইতিহাস লিখবো।সেখানে কুঠিবাড়ী কতো সালে এবং কিভাবে তৈরি হয়েছিলো সে সম্পর্কে জানাবো।সবাই ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
সমস্ত ছবির | তথ্য |
---|---|
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ক্যামেরা | অপু এ৫এস |
ক্যামেরাম্যান | @ashik333 |
w3words | https://w3w.co/refraining.unjust.incarnated |
আপনার ছোট্ট ভ্রমণকাহিনী আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন. অপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে যে কেউ আপনার ফটোগ্রাফি দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাবে আপনার জন্য শুভকামনা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর মন্তব্যর জন্য।শুভ কামনা রইলো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি আমাদের জেলার ঐতিহ্য। আমার এখনো যাওয়া হয়নি। তোমার ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগল। এবং উপস্থাপনা টাও খুব ভালো ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ইমন।একদিন দিন ঠিক করো যাবনে আবার রাসেল কে নিয়ে🤩
আচ্ছা ঠিক আছে।।
অনেক বেশি ধন্যবাদ কারণ এর আগে আমি কখনো কুঠিবাড়িটি দেখিনি।তবে আজকে আপনার জন্য দেখে নিলাম।
আমার যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই কারণ অন্য জেলায়।
খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু।যদি কখুনো সুযোগ হয় তাহলে আসবেন এখানে। খুবই সুন্দর একটি যায়গা।অসংখ্য ধন্যবাদ 💖
অনেক সুন্দর ভ্রমনকাহিনি। আপনার লেখাটি পড়ে বোঝা যাচ্ছে খুব দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু🤩
আমার খুব ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার ভ্রমণ কাহানী পড়ে। ছবি গুলো দারুণ হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।