জেনারেল রাইটিং):- শৈশবের খেলাধুলার মজার স্মৃতি।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। আমি @asadul-islam ঢাকা বাংলাদেশ থেকে। প্রতিদিনের মতো আজকেও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো):-জেনারেল রাইটিং):- শৈশবের খেলাধুলার মজার স্মৃতি। আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
আজকে শুক্রবার আমাদের অফিস ছুটি থাকায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া শেষ করে। আমাদের বাসার সামনে একটি বালুর মাঠ রয়েছে। সেখানে গেলাম রোদ পোহাতে। এবং মাঠের আশেপাশে আমি ফটোগ্রাফি করার জন্য কিছু খুঁজতে ছিলাম। ফটোগ্রাফি করার মতো তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না। তার পর আমি কিছুক্ষন রোদে দাড়িয়ে রইলাম। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে আমি দেখতে পেলাম দুইজন ছোট ছেলে একটি পুকুরের পাশে বালুর মধ্যে হাত দিয়ে গর্ত করে কি যেন তৈরি করার চেষ্টা করতেছে। এরপর আমি একটু ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।
তারপর দেখি গর্ত করা হয়ে গেলে দেখলাম একটি ছোট পাইপ দিয়ে তারা মেশিন তৈরি করার চেষ্টা করলো। ওদের এই খেলাধুলার মুহূর্তটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিলো। এরপর আমি দাঁড়িয়ে ওদের এই খেলাধুলার মুহুর্তটা উপভোগ করেছিলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিলো।
এর ওদের এই মেশিন তৈরি হয়ে গেল। একজন পলিথিনের ব্যাগে করে পুকুর থেকে পানি উঠিয়ে নিয়ে এলো। এবং গর্তের ভিতরে পানি ঢেলে দিলো আর সামনেদিয়ে পানি বেড় হয়ে যাচ্ছে। দেখে ওরা দুজনে ভীষণ মজা করে খেলা করছিলো। আসলে ছোট বেলায় আমিও এইভাবে বালুর মধ্যে গর্ত করে অনেক খেলাধুলা করতাম। ওদের এই খেলাধুলা দেখে মনে হয়ে ছিলো যদি আবার সেই ছোট বয়েসে ফিরে যেতে পারতাম। কিন্তু সেইটা আর সম্ভব হবে না। তাই আমি দাঁড়িয়ে ওদের খুনসুটির মুহূর্তটি ক্যামারা বন্ধি করে নিলাম।
অনেক ক্ষন ওদের খেলাধুলা উপভোগ করলাম। ভীষণ ভালো লাগলো। এর কিছুক্ষণ পর আমি বাসায় চলে আসলাম। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আবারও খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
বিভাগ: | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
ডিভাইজ: | রেডমি নোট ৭। |
বিষয়: | শৈশবের খেলাধুলার মজার স্মৃতি। |
লোকেশন: | ঢাকা বাংলাদেশ। |
ফটোগ্রাফার: | @asadul-islam |
![1700215247961.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmS9QZdt2dRoaTMnajuttnkSpNQjJHj4NvjGLXudz8G7mW/1700215247961.jpg)
আমি আসাদুল ইসলাম। আমার স্টিমিট একাউন্ট হচ্ছে @asadul-islam. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি বর্তমান চাকরির পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করছি। নিজের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার জন্য। আমি বর্তমান ঢাকা উত্তরাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমি বিবাহিত আমার দু'টো ছোট ছোট মেয়ে আছে। নিজের সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছি। আশাকরি এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ ❣️
https://steemitwallet.com/~witnesses VOTE @bangla.witness as witness
শৈশবের খেলাধুলার মজার স্মৃতি বাহ্ দারুন। এধরনের খেলা গুলো আমিও খেলেছি। এভাবে মাটির মধ্যে গর্ত খুঁড়ে। তার পরে পেঁপে গাছের ডাল দিয়ে পাইপ বানিয়েছিলাম। আর পানি দিলে পাইপ দিয়ে বের হতো। ছোটদের খেলাধুলার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আমাদের শৈশবে জীবনে এই ভাবে আমরা অনেক খেলেছি। অনেক দিন পর এই ছেলে দুইটার এইরকম খেলা দেখে। সত্যিই আমি ও মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/asadul_md24334/status/1750845417871557096?t=458UCkhyntzccOtSYdqgUA&s=19
ছোটবেলায় আমিও এভাবে খেলা করেছি। আসলে সেই স্মৃতিগুলো মনে পরলে ভিন্নরকম অনুভূতি হয়। বাচ্চাদের খেলাধুলার দৃশ্য আর তোমার গোছানো উপস্থাপনা বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ তোমাকে চমৎকার পোস্ট করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ছোট বেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়েলে অন্যরকম একটা অনুভুতি কাজ করে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য আপনাকে।
এই শিশু দুটির শৈশব অনেক আনন্দময় শৈশব। শহরের শিশুদের এরকম মাটির সাথে মিশে খেলাধুলা করে বেড়ে উঠার স্মৃতি খুব কম। আমাদের প্রজন্মের সবার কমবেশি এরকম মাটি দিয়ে খেলাধুলা করার অনেক স্মৃতি আছে। পোস্টের ছবি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া, পোস্টটি শেয়ার দেয়ার জন্য।
জি আপু আমাদের প্রজন্মের সবাই কমবেশি মাটি দিয়ে খেলাধুলা করেছি। কিন্তু বর্তমানে প্রজন্মের এই গুলো খেলাধুলা চিনেই না। এখন কার বাচ্চারা মোবাইল ফোন বেশি আসক্ত। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পোস্টে পড়ে শৈশবে হারিয়ে গেছি।এইরকম ভাবে ঠিক আমিও বালুর মধ্যে খেলতাম। তবে আমি পুকুর পাড়ে গর্ত করে মেশিন বানিয়ে খেলতাম।যাইহোক এগুলো স্মৃতি মনে পড়লে খুবই ভালো লাগে আর হাসি পায়।আপনার মজার স্মৃতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আপনার এই শৈশবের স্মৃতি পোস্টটি পড়ে আমিও যেন আমার শৈশবে ফিরে গেলাম৷ সেই সময় যে সকল স্মৃতিগুলো ছিলো তা এখনো মনে পড়ে৷ আর যেভাবে এই শিশু দুইটি খেলা করছে আমিও ছোটবেলায় এরকম বালুর মধ্যে খেলা করতাম। আরো অনেক ধরনের খেলা রয়েছে সেগুলো এখনও মনে পড়ে গেল। অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর পোস্টটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় এরকম বালির মধ্যে গর্ত করে আমরাও পানি দিয়ে খেলতাম বাচ্চা দুটি সেরকমই খেলার চেষ্টা করছিল এবং কিছু একটা বানাতে চাচ্ছিল। আপনি রোদ পোহাতে গিয়ে বাচ্চাদের খেলা বেশ ভালই উপভোগ করেছেন দেখছি। সেই সাথে তাদের আবার ফটোগ্রাফি করেছেন। যাইহোক আপনার মত ওদের দেখে আমারও ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
ছোট বাচ্চা দুটো অনেক সুন্দর ভাবে ভালো নিয়ে খেলাধুলা করতেছিল। আমরা ছোটবেলায় এরকম অনেক খেলাধুলা করতাম ভালো নিয়ে। এটা কি বলেছেন ছোটবেলা যদি আগের মত ফিরে যেতাম তাহলে বেশ মজা। কিন্তু সেটা আর সম্ভব না। আপনি ফটোগ্রাফি করার জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কিছু খোঁজার চেষ্টা করলেন কিন্তু পেলাম না। অবশেষে ছেলে দুটির খেলাধুলা করার মুহূর্তটা আপনার ক্যামেরায় বন্দি করে নিলেন। আমার নিজের কাছেও এরকম কিছু তৈরি করে খেলাধুলা করতে বেশ ভালো লাগতো ছোটবেলায়। আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আরো ভালো লাগলো। খুবই দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।