উদ্যোগ ও পরিশ্রম
উদ্যোগ ও পরিশ্রম
জীবনে বেঁচে থাকতে হলে কাজ করতে হবে।তবে কোনো কাজই যেন মনের স্বাধীনতাকে ধ্বংস না করে, কারন যেকোনো কাজেই মনের স্বাধীনতাটা অত্যন্ত প্রয়োজন।যেকোনো কাজের নিপুণতার পেছনে মনোবল এবং মৌন সম্মতি তা অত্যন্ত প্রয়োজন।কারন বেচে থাকার উদ্দেশ্যে মানুষ অর্থ উপার্জন করে দুটি মাধ্যমকে অবলম্বন করেঃ একটি হচ্ছে দেহ অর্থাৎ কায়িক শ্রম অন্যটি হচ্ছে জ্ঞান অর্থাৎ মেধাশ্রম। তাই যেকোনো কাজে মনোনিবেশ করতে হলে মনের সম্মতি অবশ্যই প্রয়োজন। তবে একটা কথা চিরন্তন সত্য সেটা হচ্ছে জীবনধারণের জন্য কাজ করতেই হবে, তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে কাজ করতে গিয়ে সার্থক বুদ্ধি বা অন্যায় যেন স্পর্শ না করে।কোন কাজ যদি ছোট হয় তাতেও কোনো আপত্তি নেই, তবে কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তি যেন সত্তার মর্যাদা না হারায়।পৃথিবীতে এমন উদাহরন আছে যে মানুষ একসময় ছোটখাটো কাজ করতেন কিন্তু তার লক্ষ্য স্থির করে সামনের দিকে এগিয়ে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।তাই কখনই মনবল হারাতে নেই। মনবল মানুষকে অনেক দূরে পৌঁছাতে পারে।তবে নিজের উন্নতির জন্য উদ্দাম এবং পরিশ্রম অপরিহার্য।মানুষের নিজ সত্তার মহিমা প্রকাশিত হয় তার কর্মের মাধ্যমে। মানুষের মাঝে অফুরন্ত শক্তিরও প্রকাশ মেলে,কিন্তু একটা দুঃখ তখনি নাড়া দিয়ে ওঠে যখন যুবকদের মনবল ও আঠারোত্ব থাকা সত্ত্বেও নিজে কিছু না করে। তাদের মাঝে পৃথিবী জয় করারও শক্তি থাকে কিন্তু হাত গিটিয়ে বসে থাকে।
স্লোগান হবে নিজে কিছু করি,
অন্যদের কিছু করার সুযোগ করিয়ে দেই।
পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাক কর্মের মহিমা।
শেষের ৩টি লাইন অত্যান্ত চমৎকার হয়েছে।
ধন্যবাদ কথাগুলো ভালো লেগেছে, কারন এগুলো সবাই বাস্তব সত্য আর কিছু করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা কিংবা স্বকিয়তা বজায় রাখা বেশী জরুরী।