কর্মে কোন লজ্জা নেই
তবে শুরুতেই সকলের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা এবং পবিত্র ঈদুল আজহার ঈদ মোবারক।
ব্যস্ততা মানুষের পিচ কখনোই ছাড়বে না, এই ব্যস্তময় পৃথিবীতে।আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুগন আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজকে আপনাদের আমি কিছু ব্যস্ততার গাল্প শোনাবো।
এখন রাত ১.৩৪ মিনিট তারপরেও মানুষ তাদের কর্মে লিপ্ত দু'মুঠো খাবার যোগানের জন্য।সময়ের স্রোত মানুষকে কর্মব্যস্ত রেখেছে। সত্যি কথা বলতে কি আমার কাছে এই সকল শ্রমজীবী মানুষকেই প্রকৃত মানুষ মনে হয়। কারণ তারা সময়ের মূল্য দিতে জানে সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরও নিজের সুখ শান্তি কে নিজের মত করে রাখতে জানে।একটি বিশেষ আকর্ষণ আছে এখানে। যারা এখানে কাজ করছে তাদের কারো বয়সেই ১৮ ওপর না, তারপরেও তারা নিরলশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে।তাদের এই পরিশ্রমের বিশেষ একটি কারণ আছে।করোনা অতিমারির কারণে শহরে থাকা অনেক ছেলে-মেয়েই এখন গ্রামে চলে এসেছে। মেয়েরা বাসার কাজে লিপ্ত হয়েছে মা'কে সাহাজ্য করছে। আর ছেলেরা অন্য কোথাও কর্ম করতে না পেরে তারা রাতের আঁধারে এই কর্মটি কেই খুঁজে নিয়েছে। বিশেষ করে এখানে যারা আছে তারা শহরে পড়াশোনা করেন। তাদের অনেকেরই পরিবারের অত্যন্ত করুণ অবস্থা তারপরও তারা নিজেদের ইচ্ছায় শহরে পড়াশুনা করে। তাদের পরিশ্রম এবং তারা তাদের ভাগ্য কে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
আজকে এখানে কর্মরত ছেলেদের আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা এখানে কাজ করছেন আপনাদের বয়স তাও খুব একটা বেশি না!? কিন্তু তারা কোন সংকোচ না করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিলো।তাদের উত্তরের প্রথম অংশটি এমন ছিল যে, আমরা চারজন বন্ধু আমরা চারজনই শহরে পড়াশোনা করি তাই আমরা চারজন এই রাতের আঁধারে বা দিনেও কাজ করি। যে কোনো ভাবে আমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। সেটা যে কোনোভাবেই হোক! তাদের দ্বিতীয় উত্তর ছিলো যে আমরা পড়াশোনা করি আমাদের কাছে কোন কর্ম ছোটনা আমরা আমাদের পরিবার এবং আমাদের পরিশ্রমকে সম্মান জানায় তাই আমরা এই কাজ করছি।
বাড়িতে এখন বেকার বসে না থেকে কোন কর্মের মাধ্যমে দু পয়সা উপার্জন করে পরিবারের পাশে থাকাই এখন আমাদের উত্তম কাজ।
কর্মই জীবন । বেঁচে থাকুক মানুষ কর্মের মাধ্যমে। শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।
শ্রমজীবী মানুষের মূল্যায়ন সর্বত্র ভাই, জীবন মানেই সংগ্রাম, যে এটাকে সাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারে, সে সকল ক্ষেত্রে বিজয়ী হতে পারে।