মনের জাগরনে ভ্রমন
অনেকদিন পর গতকাল গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। আরও একটা কারণ আছে বাসায় যাওয়ার সেটা হলো মেসের চাল ফুরিয়ে গেছে। বাসায় গিয়ে ঘোরাঘুরি না করলে হয়। গতকাল রাতে বন্ধুদের সঙ্গে প্লান করলাম ঘুরতে যাওয়ার।
সেই উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে উঠলাম সকালবেলায়। উঠে ফ্রেশ হয়ে মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খেলাম। অনেকদিন পর বাসায় যাওয়াই আমার পছন্দের খাবারগুলো মা রান্না করেছিলেন। গোসল করে পরিবারের সকল সদস্যরা মিলে একসঙ্গে খাবার খেলাম। যৌথ পরিবারের হয় সকল আয়োজন হয় সবার সঙ্গে একত্রে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে আলাপ করলাম। আলাপ করে সবাই মিলে একত্রে মিলিত হলাম ইসলামপুর বাজারে। এরপর ইসলামপুর থেকে বন্ধুর বাইকে করে রওনা হলাম মাত্রাই এর উদ্দেশ্যে। আমি সহ আমার বন্ধুরা ছিল মোট চারজন। আমাদের সঙ্গে ছিল দুটো বাইক। বাইক এ করে ঘুরার মজাই আলাদা, সঙ্গে আবার বন্ধু বান্ধব। আনন্দের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। সারাদিন সবাই মিলে ঘোরাফেরা করলাম। রাস্তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মাঝে মাঝে বাইক থাকায় চা কিংবা হালকা নাস্তা সেরে নিলাম। মাত্রায় পৌঁছে ওখানকার স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বললাম। আলাপচারিতায় ওই জায়গার খোঁজ খবর নিলাম। রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরি করা অনেক জরুরী। আড্ডা শেষ করে বন্ধুরা মিলে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সব সময় কাজের ভিতর থাকলে নিজের মধ্যে এক ধরনের একঘেয়েমি তার সৃষ্টি হয়। এজন্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্রাম দরকার। আবার রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য ঘোরাঘুরি খুব জরুরী।
যাইহোক অনেক দিন পর বন্ধু বান্ধবের জন্য তিনটা বেশ ভালই কাটল। দিন শেষে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।