বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যা
শুভ সন্ধ্যা
আমি মোঃ আলমগীর কবির
আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় ভালো আছেন ।আজকে আমি আমারএক সুন্দর অনুভূতি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। সত্যি কথা বলতে এই মুহূর্তটা আপনাদের সকলের কাছে অনেক প্রিয়।
অনুভুতির খেয়াল দিয়ে অনেক্ষণ বৃষ্টির সঙ্গে কথপোকথন করলাম। মেঘের দিকে তাকিয়ে ভাবলাম মেঘ আমাদের অঝোর বারি বর্ষণ করে যাচ্ছে কোন সার্থ ছাড়াই।আকাশ ঝড়া বিন্দুগুলোর ভালোবাসা সকল সৃষ্টির প্রতিই সমান। যদি এমন ভাবে মানুষের পরিবর্তন আসতো তাহলে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে পরিচয় সার্থক হতো।
আমি পাঁচটার সময় টিউশনি থেকেই মেসে ফিরে আসলাম। পরিশ্রান্ত মন নিয়ে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে একটু শুইলাম কিন্তু কিছুতেই মনে শান্তি আসছিল না একটু পর জানালার দিকে তাকালাম। জানালা দিয়ে দেখতে পেলাম আঁকাশটা গভীষণ রেগে আছে কখন যেন আমার ভালো লাগার দৃশ্য নিয়ে ঝম ঝমিয়ে আমার মনের মাঝে আসবে।তাই জানালা দিয়ে অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম যে, হয়তো আমার মনটা ভাল হয়ে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। কিছুক্ষণের মধ্যে ঝমঝমিয়ে নেমে আসলো আকাশের অনল, এসে আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল।ভারী বর্ষণে মনে হচ্ছিল আমার হৃদয়ের আঙ্গিনা দিয়ে কেউ একজন মিটমিট করে হাসছে এবং হেটে যাচ্ছে। সত্যিই একটু মধ্যে বৃষ্টির দেওয়া আনন্দে আমার মন ছুঁয়ে গেছে।
আমি যখন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম বৃষ্টি মাঝের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার ছিল ডাল-খিচুড়ি যা অত্যন্ত ভাল লাগত বৃষ্টির মাঝে রান্না করে খেতে। কিন্তু মেসে তা সম্ভব হচ্ছে না।তবে মেসে একটা জিনিস খুব হয় সেটা হচ্ছে মুড়ি মাখা খাওয়া ।সকলে একসঙ্গে মুড়ি মেখে খাওয়া অনেক আনন্দের।
যেদিন আমাদের মানসিকতা বৃষ্টির পানির মত স্বচ্ছ এবং কাচের নেই ভঙ্গুর হবে সেদিন আমরা আমাদের জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবো এবং মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবো। এবং অপরের কান্নাই নিজেকে জড়াতে পারব। জীবনে সার্থকতা আমরা সেই দিনই খুঁজে পাবো, যেদিন আমাদের মাঝে মানবিকতা জাগ্রত হবে নতুন করে। মানসিকতা তৈরি হবে কঠোর ভাবে আমরা সেই দিনই ফিরে পাব আমাদের সোনালী ভবিষ্যৎ।
বৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। বৃষ্টি মানেই আল্লাহর রহমত
বুঝতে পারার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ সকলের মন উজার করে দিক। আমিন