আমার কলেজ জীবন
প্রাইমারি এবং মাধ্যমিক এর সময়কাল আমার গ্রামেই কেটেছে। আমার নিজ গ্রাম থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়ে,পাশের এলাকার একটি হাই স্কুলে মাধ্যমিকে ভর্তি হয়।
ওই হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে পাড়ি জমায় বগুড়া শহরে। উদ্দেশ্য ছিল উচ্চমাধ্যমিকে যাতে একটি ভালো কলেজে পড়তে পারি। বগুড়ায় আসার পর সবকিছু অচেনা লাগতে শুরু করলো। কোন চেনা নেই-জানা নেই, পরিচিতি ও নেই কারো সাথে তেমন একটা। সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশ। বগুড়ায় এসে প্রথমে একটি মেস ঠিক করলাম।
এর পর এলো সেই কাঙ্খিত কলেজ জীবনের প্রথম দিন। প্রথম দিনে সবাই সবার পরিচয় দিয়ে সমাপনী ক্লাস শুরু করলাম। এদিন কলেজ থেকে ফুল দিয়ে আমাদের কে বরণ করে নেওয়া হলো। আস্তে আস্তে সবার সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করলাম। পরিচিত হতে বেশ সময় লাগলেও, সবার সঙ্গে ভালো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলো। কলেজের সবাই খুবই মিশুক ছিল। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেও ভালো একটা ভাব জমে উঠলো। তারা খুব স্নেহ করতেন। কলেজে যাওয়া ও আসা ছিল আমার নিত্যদিনের রুটিন। কলেজ থেকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করছিল। পহেলা বৈশাখ, খেলাধুলা, পিকনিক ও বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো। সকল আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হতো। রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ তো আছেই। সবমিলে কলেজ জীবন ভালোই চলছিল। ঠিক তার মধ্যে না দিল করোনাভাইরাস। বন্ধ হয়ে গেল দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফিরে আসলাম গ্রামের বাসায়। এরপর আর কলেজ যাওয়া হয়নি।
কলেজ বন্ধ থাকলেও স্মৃতি গুলো এখনো মনের ভেতর নাড়া দিয়ে ওঠে। স্মৃতিগুলো টানে মাঝে মাঝে কলেজে গিয়ে ঘুরে আসি কিন্তু আগের মত আবেগ-অনুভুতি আসে না। কলেজ জীবনের স্মৃতি গুলো এখন পড়ে রয়েছে স্মৃতির পাতায়।
সুন্দরভাবে নিজের কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করেছেন। আপনার প্রতি আমার কিছু পরামর্শ। আপনি মারকডাউনের ব্যবহারটা ভালো ভাবে শিখে নিন। তাহলে আপনার এই পোস্টটি আরো অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। আর আপনি যদি নিউকামার্স কমিউনিটিতে অ্যাচিভমেন্ট ফোর পর্যন্ত কমপ্লিট করেন তাহলে আপনি স্টিমিট এর অনেককিছু খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন। আর চেষ্টা করবেন এই ধরনের পোস্টে আরো বেশি ছবি এড করার জন্য। আর লোকেশন লিংকটা দিতে ভুলবেন না। আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কলেজ জীবনটাও অনেকটা এইরকমই শুরু হয়েছিল। কিন্তু ছয়মাস ক্লাস করার পর সব বন্ধ হয়ে গেল এখন পযর্ন্ত আর খুলল না। কলেজের সেই দিনগুলো খুব মিস করি। খুব ভালো লিখেছেন।