রক্তদান
রক্তদান
সকালে ঘুম থেকে উঠেই গুনগুন পাখির আওয়াজ যদিও সেটা শহরে শোনা সম্ভব হয় না।পাখির গুনগুন আওয়াজের মধ্যেই কেমন জানি একটা কল্যাণে ঘ্রাণ পেয়েছিলাম। সেই কল্যাণকামী আমাকে নিয়ে গিয়েছিল একটা মাকে রক্ত দিয়ে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য।তো সারাদিন আমার কর্ম এবং ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে সারাদিনের পরিশ্রন্ত মন নিয়ে কীভাবে যে বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেলাম তা কল্পনাতীত। বন্ধুদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প ভাগাভাগি এবং পড়াশুনার ব্যাপারে কথাবার্তায় সময় গুলো ভালই কাটছিল একসঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ আমি আমার ডান পাশে শুনতে পেলাম এক মায়ের বয়সী মা'র ভগ্ন কন্ঠে অনুরোধ। আমি কান পেতে কিছুক্ষণ শুনলাম লোকটির আর্তনাদ। বন্ধুদের কথায় আমি এরিয়ে চললাম। অন্যের ব্যথায় ব্যথিত লোকটি হচ্ছে আমি।আমি অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ্য করতে ছিলাম যে তারপর মা বয়সী লোকটি কোথায় যায়?. এদিকে ওদিকে ঘোরাফেরা করতেছিল আমি তার দিকেই তাকিয়ে ছিলাম একটুপর দেখলাম আমাদের গ্রুপের দিকেই আসতেছে এবং আমি আগ্রহ সহকারে উঠলাম কারন আমি ওনার সব কথা শুনতে পেয়েছিলাম। তখন বন্ধুরা আমাকে বললো তুমি উঠলা কেন উনি চান নাকে রক্ত দেয়ার কোন?
আমি বন্ধুদের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম আমার কথা বলাতে তারা একটু বিরক্ত বোধ করছে কিন্তু তাদের দিকে আমি কান না দিয়ে আমার কর্তব্য আমি পালন করে যেতে শুরু করলাম এবং একসময় আমি কথা বলতে বলতে আমার মোবাইল নাম্বার এবং নামটি লিখে দিলাম। উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলো আমি দুদিন পর অর্থাৎ আজকে গিয়ে ওনাকে রক্ত দিয়ে আসলাম। এবং মাকে কিছু খাবার কিনে নিয়ে আসলাম। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আজকে কারণ আমি নিঃস্বার্থভাবে একজন মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছিলাম। এভাবেই বেঁচে থাকুক মানবতা এবং অন্যের প্রতি ভালোবাসা।
মহৎ একটি কাজ করেছেন ভাই।ধন্যবাদ
বেঁচে থাকুক পৃথিবীতে মানবতা। সুন্দর হোক পৃথিবীর মানুষগুলো আপনার মত।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রক্তদান কর্মসূচীতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য।।
সত্যি ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য অনেক অনেক অনেক