"নয়টি ফুলের গাছের রেনডম ফটোগ্রাফি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৬ ই সেপ্টেম্বর, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি নয়টি ফুলের গাছের রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে অ্যালবাম পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ফটোগ্রাফি করতে কম-বেশি সবারই ভালো লাগে তাই আমিও ব্যতিক্রমী নই। ফুল কিংবা ফুলের গাছ দেখলেই ইচ্ছা করে মোবাইলে সেটা ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে কারণ ফুলের থেকে সুন্দর কিছু হয়তো হতে পারে না, যেকোনো ফুলই হোক না কেন সব সময়ই দেখতে সুন্দরই হয়। তাহলে দেরি না করে চলুন আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
কয়েকটি ফটোগ্রাফিকে একত্রিত করে কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমার প্রথম ফটোগ্রাফি টি হলো একটি ক্যাকটাস গাছ। ক্যাকটাস কাজগুলো দেখতে ভীষণ কিউট হয়। বর্তমানে অনেকেরই বাসায় বা বাড়িতে শখের এই গাছগুলো দেখা যায়। ক্যাকটাস গাছের প্রায় দুই হাজার জাত আছে। আর এই ক্যাকটাস গাছ দশ বছর থেকে প্রায় চল্লিশ বছর অব্দি বেঁচে থাকতে পারে।
আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি হলো সবচেয়ে পরিচিত গাছটি অ্যালো। এই গাছ গুলো ঘন এবং মাংসল, এগুলির ভিতরে প্রচুর আর্দ্রতা থাকে। এই গাছের ফুল সুগন্ধযুক্ত হয়।
আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটিও হাওরথিয়া লিমিফোলিয়া গাছের। এই গাছ দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় গাছ। এটি বসন্ত এবং গ্রীস্মের শুরুতে পুষ্পঠিত হয়।
আমার চতুর্থ ফটোগ্রাফির ক্রাসুলা ওভাটা। এই গাছ প্রায় একশ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। সুন্দর এই গাছগুলোর পাতা দিয়ে আবার নতুন গাছের জন্ম হয়। এই কাজগুলো এক কথায় আমাদের দেশীয় জাতের পাথরকুচি গাছের মতো। পাথরকুচি গাছের পাতা থেকেও আবার নতুন করে গাছ তৈরি হয়। পাতা থেকে নতুন করে গাছ তৈরি হওয়ার বিষয়টা সত্যি দারুন।
আমার পঞ্চম ফটোগ্রাফির ক্যাকটাসটির নাম হলো অ্যাকান্থোসেরিয়াস টেট্রাগনাস। এই ফুলের গাছটি দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছিলো। সম্পূর্ণ গাছ ছোট ছোট কাটা দিয়ে ভরা।
আমার ষষ্ঠ ফটোগ্রাফিটি হল কলানছো তোমেটোসা এটি একটি ক্র্যাস বা নন-ক্যাকটাস সুচকুল উদ্ভিদ। এই ফুলের গাছের পাতা চারপাশে হালকা গোলাপি আর মাঝে সবুজ দেখতে বেশ কিউট লাগছিলো।
আমার সপ্তম ফটোগ্রাফি হলো মনোট্রিট প্রজাতির গাছ। ছোট এই টব জুড়ে পুরো এই গাছটা ভরে গেছিলো। এই গাছের পাতার রং হালকা লাল হালকা সবুজ সত্যি ই দারুণ একটি গাছ। এই ফুলের গাছগুলো অনেক বছর বেঁচে থাকতে পারে।
এই ক্যাকটাসটির নাম হল ইচিনোপসিস টিউবিফ্লোরা।এটি বেশ অদ্ভুত একটি গাছ। পুরো গাছ জুড়ে বড় বড় কাটায় ভরা। এই গাছগুলো হাত দিয়ে ধরাটা বেশ বিপদজনক।
এই ক্যাকটাসটির নাম হলো অপ-অনতিয়া ক্যাকটাস। এই গাছকে বাংলাতে ফনীমনসা বলা হয়। এইটা ক্যাকটাস এর সারা গায়ে ছোট ছোট কাটা থাকে। কাটা থাকলেও ক্যাকটাস গুলো দেখতে অনেক সুন্দর।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৭ অক্টোবর |
লোকেশন | মিরপুর, ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার সাতটি ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে অ্যালবাম ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
এ ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় গাছ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার কাছে শুধু দুই ধরনের ক্যাকটাস গাছ আছে। আপনার শেয়ার করা নবম যে ক্যাকটাস গাছ সেটা মনে হয় প্রাপ্তবয়স্ক হলে ফল দেয়। আমার ইচ্ছা আছে এই ধরেন বেশ কিছু ক্যাকটাস গাছ সংগ্রহ করা।
ভাইয়া আজকে আপনি খুব চমৎকার কিছু ক্যাকটাস গাছের ছবি শেয়ার করেছেন।ক্যাকটাস গাছতো দেখা হয় কিন্তু এদের নাম জানতাম না। এত কঠিন কঠিন নাম জেনেও কোন লাভ নেই। মনে রাখতে পারতাম না।। কিন্তু ক্যাকটাস গাছগুলো ঘরে রাখলে ঘরের সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায়। ভালো লাগলো নাম গুলো জেনে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
এগুলো ক্যাকটাস গাছ জানতাম কিন্তু এগুলোর একটারও নাম আমিও জানতাম না। কিন্তু আমি গুগল থেকে প্রতিটি ফুলের গাছের নাম সংগ্রহ করেছি। এখানকার প্রতিটি ফুলের গাছের নামে অনেক কঠিন সত্যি এটা মনে রাখা প্রায় অসম্ভব। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ইনডোর প্ল্যান্ট আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।আমার ঘরে বেশ কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট আছে।ক্যাকটাস গাছ ছিলো কিন্তু মারা গিয়েছে। এসব গাছ ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। বেশ ভালো লাগে।সবগুলো গাছের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর হয়েছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপু আপনার মতো আমার কাছেও ইনডোর প্লান্ট অনেক বেশি ভালো লাগে। ক্যাকটাস গাছগুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার তোলা এত সুন্দর সুন্দর গাছের ফটোগ্রাফি দেখে আমি তো অনেক বেশি মুগ্ধ হলাম। এই গাছগুলো দেখেছি অনেকবার তবে ঠিকমতো নাম জানা ছিল না। আর বিভিন্ন রকমের ক্যাকটাস গাছের নাম জানা ছিল না, আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি কয়েকটার নাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি করে এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আসলে আপু নামগুলো আমার অজানা ছিলো, আমি গুগল থেকে জেনে নিয়েছি তবে নামগুলো অনেক কঠিন মনে থাকার মতো নয়। আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আমি এরকম ফটোগ্রাফি গুলো করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আজ আমার কাছে এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতেও অনেক ভালো লাগে। বিভিন্ন রকমের ক্যাকটাস গাছগুলো আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর এই গাছগুলোর সৌন্দর্য বেশ ভালো লাগে। আপনি ৯ টা গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে আমি তো মুগ্ধ হয়েছি।
আসলে এই কাজগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই গাছগুলোর সৌন্দর্য একদম দুচোখে ধরে রাখার মতো। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধরনের ফুলের গাছের চারাগুলো আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফির শেয়ার করার জন্য
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি আপনি খুব চমৎকার ভাবে তুলেছেন। এর মধ্যে খুব গুনবতি একটি গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন সেটা হল পাথরকুচি। এই পাথরকুচি অনেক রোগের ওষুধ। সব মিলিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এজাতীয় গাছগুলো বিভিন্ন নার্সারিতে লক্ষ্য করা যায় কিন্তু ভাই এর নাম গুলো কিন্তু মানুষের মুখে খুব কমিশোনা যায় স্বাভাবিকভাবে অনেকে ক্যাকটাস বলে থাকে। আবার অনেকেই বলে ফুল গাছ কিন্তু কোন সময় ফুল ফুটতে দেখিনা। তবে দারুন কিছু আমাদের মাঝে ক্যামেরাবন্দি করে এনে শেয়ার করেছেন দেখে খুশি হলাম।
আসলে ভাই এই গাছগুলো থেকে ফুল ধরতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর এই ক্যাকটাস গাছের ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার আজকের ফটোগ্রাফি টপিস টা একটু আলাদা ছিল। এইরকম গাছের ফটোগ্রাফি খুব একটা দেখাই যায় না হা হা। প্রথম ক্যাকটাস এর ফটোগ্রাফি টা ব্যতিত আর কোনো গাছ আমি চিনতেই পারিনি। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
হ্যাঁ ভাই এরকম ফুলের গাছের ফটোগ্রাফি খুব একটা দেখা যায় না। কারণ এই গাছগুলো অনেক ইউনিক আমাদের দেশে পাওয়া গেলেও কম পাওয়া যায়। আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এই ধরনের গাছগুলো প্রায়ই দেখার সুযোগ হয় কিন্তু নাম জানতাম না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গাছগুলোর নাম জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। এতগুলো গাছের মধ্যে আমি শুধুমাত্র ক্যাকটাস গাছের নামটাই জানতাম।
আমিও এই গাছগুলো আগে দেখতাম কিন্তু কোনটারই নাম জানতাম না ফটোগ্রাফি গুলো করার পর আমি গুগল থেকে নামগুলো জানতে পেরেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।