"শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৪ ঠা এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন হল ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি বাড়িতে এসে গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছে। বিশেষ করে বড় ভাই, ছোট ভাই আর বন্ধুবান্ধবদের সাথে বেশ ঘোরাফেরা করা হচ্ছে। গ্রামে এসে সবার সাথে এরকম সুন্দর সময় কাটাতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান হওয়ার কয়েকদিন পরে আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় ৩২ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আমরা কয়েকজন মিলে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় মহানামযজ্ঞ হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়েছিলাম সেটা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশানে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। কারণ কয়েকদিন ধরে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান উপভোগ করার পরে যদি হঠাৎ করে শেষ হয়ে যায় তাহলে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, কুমারখালীর শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় মহানামযজ্ঞ শুনতে যাব। আমাদের খোকসা উপজেলার পাশেই কুমারখালী উপজেলা শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়া আমাদের বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার মতো দূরে। বিকালের দিকে আমরা দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে মোট ছয় জন শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় মহানাম যজ্ঞ শোনার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমরা মোটামুটি ৩০ মিনিটের ভেতরেই কুমারখালীর শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় পৌঁছে গেলাম। আমরা যে, সময়ে গিয়েছিলাম তখন ভক্তবৃন্দের সমাগম খুব একটা ছিল না মোটামুটি ছিল। আমরা অবশ্য আসরের পাশেই দাঁড়িয়ে বেশ কিছু সময় মহানাম যজ্ঞের হরিনাম সংকীর্তন শুনলাম। শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় এই প্রথম আমি মহানামযজ্ঞ শুনতে এসেছি। কয়েক বছর আগেও এখানে এতটা উন্নত ছিল না কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আকরায় বেশ উন্নতি হয়েছে।
আমরা বেশ কিছু সময় মহানাম যজ্ঞের হরিনাম সংকীর্তন শোনার পরে বাইরে একটু ঘুরতে আসলাম। কারণ এই বয়সে এক ভাবে অনেকক্ষণ হরিনাম সংকীর্তন শোনার ধৈর্যটা এখনো আনতে পারিনি। যদিও ধর্ম ধর্ম করা আর কোন বয়স হয় না তার পরেও যতটা সম্ভব চেষ্টা করি ধর্ম করার জন্য। প্রতিটি মানুষের উচিত তার নিজ নিজ ধর্মকে নিজের ভেতরে ধারণ করা। তাহলেই মানুষ সৃষ্টিকর্তার অনেক কাছে যেতে পারবে। আখড়ার ভেতরে ঢুকতে আরসিসির দুটি সুন্দর সুন্দর গেট রয়েছে। এই গেটটির ডিজাইন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
আখড়ার ভেতরে শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর একটি মন্দির আছে। একই মন্দিরে অবশ্য শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণর যুগল মূর্তি ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মূর্তি রয়েছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতার রূপে কলির জীবকে মুক্তি দেওয়ার জন্য শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কারণ এই কলির ঘোর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হরিনাম সংকীর্তন করা। পৃথিবীতে সময়ে প্রচুর অধর্ম বেড়ে যাবে ধর্মকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। আমাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, বর্তমানে পৃথিবীতে তিন ভাগ অধার্মিক থাকবে আর এক ভাগ ধার্মিক থাকবে। শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কলির কলির জীবের জন্য হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে, হরে রাম হরে রাম রাম হরে হরে এই মহামন্ত্র দিয়ে গেছেন।
আমরা বাইরে এসে রাস্তার পাশে মেলায় বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর আমাদের ভেতরে থাকা এক দাদার পিসিমণির বাসা শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ার পাশেই আমরা সবাই তার সাথে তাদের বাসায় বেড়াতে গেলাম। এই পিসিমনির বাসায় অবশ্য আমি অনেকবার এসেছি কুমারখালীতে যে কোন অনুষ্ঠানে আসলেই এখানে বেড়াতে আসি। তারপর আমরা কিছু সময় তাদের বাড়িতে গল্প গুজব করে আবার শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ার দিকে রওনা দিলাম।
এবারে আখড়ার ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখলাম যে, প্রচুর ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটেছে। আসলে শহর অঞ্চলে একটু রাত না হলে ভক্তবৃন্দের সমাগম হয় না। যত বেশি ভক্তবৃন্দ হবে মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান ততই বেশি ভালো হয়। আমরা মোটামুটি রাত ১০ টা পর্যন্ত শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর আখড়ায় মহানামযজ্ঞ হরিনাম সংকীর্তন শুনলাম। রাতের বেলায় হরিনাম সংকীর্তন শুনতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
তারপর আমারা মহানাম যজ্ঞের হরিনাম সংকীর্তন শোনা শেষ করে আনন্দবাজারের দিকে রওনা দিলাম প্রসাদ আহারের জন্য। আনন্দবাজারে এগিয়ে দেখি অনেক ভক্তবৃন্দ একসাথে প্রসাদ আহার করছে। আনন্দবাজারে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমরাও প্রসাদ আহারের সুযোগ পেলাম। দারুন স্বাদের রস রসে খিচুড়ি আর চিপ ভাজি দিয়ে ভক্তি ভরে প্রসাদ আহার করলাম। তারপর আহার আহার শেষে আমরা সবাই বাড়িতে চলে আসলাম। এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে যেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৬ শে মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon