স্ট্রিট ফুড রিভিউ|কাশ্মীরি টেস্ট বাটি চাট ও দই বড়া

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২০শে ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। যেকোনো ধরনের খাওয়া-দাওয়া করতে কার না ভালো লাগে না! আর যদি সেটা হয় কোন স্ট্রিট ফুড তাহলে তো কথাই নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন স্টুডেন্ট ট্রাভেলার এবং ভজন রসিক মানুষ। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমি একদম সোজাসুজি।‌ চোখের সামনে যে কোন খাবার ভালো লাগলে বা মন চাইলে সেটা পকেটের অবস্থা বুঝে খাওয়ার চেষ্টা করি।

কয়েক মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধু রাহুল স্ট্রিট ফুডের কাশ্মীরি টেস্ট বাটি চাট ও দইবড়ার একটি দোকানের সন্ধান পায়। এই দোকানের সন্ধান পাওয়ার কয়েক দিন পরে আমরা সেখানে গিয়ে বাটি চাট খেয়েছিলাম। সেদিনেই অনেক ভালো লেগেছিল খাবারটি কিন্তু ফোনে চার্জ না থাকার কারণে ছবি তুলতে পারছিলাম না তাই এই ইউনিক খাবারটির রিভিউ শেয়ার করতে পারছিলাম না। কয়েকদিন আগে আবারও গিয়েছিলাম কাশ্মীর টেস্টে বাটি চাট ও দই বড়া খেয়ে এসেছি তাই এখন আমি আপনাদের সাথে এই দুটি খাবারের রিভিউ শেয়ার করবো।

অবস্থান

ক্যাপশন: কাশ্মীরি টেস্ট দোকান
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

কাশ্মীরি টেস্টে বাটি চাট ও দইবড়ার এই দোকানটি ঢাকার মোহাম্মদপুরের টাউন হলের পাশে সলিমুল্লাহ রোড এবং তাজমহল রোডের সংযোগস্থলের মোড়ের উপর দোকানটি অবস্থিত। এই ছোট দোকানটি একটি অবস্থান ভ্যানের উপরে।

ক্যাপশন: পে ফাস্ট
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

আমি আর আমার বন্ধু রাহুল এখানে যাওয়ার পরে প্রথমেই একটি বাটি চাট ও একটি দই বড়া, অর্ডার দিয়ে টাকা পরিশোধ করে দিলাম। প্রতিটি বাটি চাটের দাম ৭০ টাকা এবং প্রতিটি দইবড়া দাম ৫০ টাকা। এই দোকানে একটি নিয়ম আছে সেটা হলো প্রথমেই অর্ডার দিয়ে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ নিয়মটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

কাশ্মীরি টেস্ট বাটি চাট ও দই বড়া

ক্যাপশন: কাশ্মীরি টেস্ট বাটি চাট
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

কাশ্মীরি টেস্টে বাটি চাট ও দই বড়া অর্ডার দেওয়ার ৫ মিনিটের ভেতরে আমরা এ দুটি খাবার হাতে পেয়ে গিয়েছিলাম।কাশ্মীরি টেস্টের ছোট এই দোকানে বেশ নিরাপদ ভাবে খাবার তৈরি করা হয়। যদিও এই দোকানটি ফুটপাতের তার পরেও কাঁচে ঘেরা এই দোকানে যত্ন সহকারেই খাবার তৈরি করা হয়। আমার কাছে এই খাবারটি আমাদের খাবার উপযুক্ত এবং নিরাপদ মনে হয়েছে।

ক্যাপশন: কাশ্মীরি টেস্ট দই বড়া
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

আমরা যেহেতু দুজন গিয়েছিলাম তাই দুইজন একই খাবার না নিয়ে দুই ধরনের খাবার অর্ডার দিয়েছিলাম যাতে দুইজন মিলে এই দুই ধরনের খাবারের টেস্ট করতে পারি। এর আগে একদিন অবশ্য দুজন মিলেই বাটি চাট খাবারের টেস্ট নিয়েছিলাম। তবে আজকের নিয়মটা একটু বদলে ফেলেছিলাম আলাদা আলাদা খাবারের টেস্ট নেয়ার জন্য।

ক্যাপশন: কাশ্মীরি টেস্ট বাটি চাট
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

এই বাটি চাট খাবারটি হাতে পাবার পরেই বেশ ভালো লাগছিলো। কারণ প্রথমবার খাওয়ার পরেই অনেকদিন ধরেই খেতে ইচ্ছা করছিল। তাইতো আবার দুই বন্ধু মিলে চলে এসেছিলাম কাশ্মীর টেস্টে বাটি চাট খাওয়ার জন্য। খাবারের কালারটা জোস এবং আমাদের কাছে অনেক ইউনিক একটি খাবার।

ক্যাপশন: বাটি চাট খাওয়া শুরু
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

আমরা বেশি সময় লেট না করে খাবার হাতে পাওয়ার পরেই কয়েকটি ছবি তুলে খাওয়া শুরু করে দিলাম। আহ্ মুখে দিতেই আলাদ একটি ফ্লেভার আর আলাদা একটি স্বাদ পালাম বেশ ভালো লাগলো।এই দোকানে অবশ্য বসে খাওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে মাত্র দুই তিনটা টুল রয়েছে সেই তুলনায় কাস্টমারের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে এ ধরনের খাবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবার ভেতরে আলাদা একটি মজা আছে।

ক্যাপশন: বাটি ভেঙে খাওয়া শুরু
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

কাশ্মিরী টেস্ট বাটি চাটের ভেতরের রসালো অংশ মজা করে খেয়ে কমিয়ে নিই। তারপর বাটি প্রথমেই না চেটে বাটি ভেঙে খাওয়া শুরু করি। বাটি ভাঙার পরে সেই ভাঙ্গা অংশ চেটে চেটে খাওয়ার মজাই আলাদা।

ক্যাপশন: বাটি চাট খাওয়া প্রায় শেষ
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা:১০৮ মেগাপিক্সেল
লোকেশন:মোহাম্মদপুর,ঢাকা

আহ্ খাবারটি খেয়ে একদম পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাচ্ছিলাম। এক কথায় অসাধারণ লেগেছে।

আমার মতামত

কাশ্মীরি টেস্ট বাটির চাট এবং দই বড়া দুটি খাবারই অনেক সুন্দর ছিল। তবে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে বাটি চাট খাবারটি। এখানে কাশ্মীরি টেস্টে বাটি চাট দই বড়া খাবারের মানের সাথে দাম একদম ঠিকঠাক। আপনারা যদি ইউনিক একটি খাবারের স্বাদ নিতে চান তাহলে অবশ্যই ইচ্ছা করলে এখানে এসে বাটি চাট ও দই বড়া খাবার খেয়ে যেতে পারেন।

রেটিং
বাটি চাট১০/৯
দই বড়া১০/৭


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

খুবই ভালো লাগলো আমার আপনার পোস্টটি পড়ে। অত্যন্ত চমৎকারভাবে রুচিসম্মত খাবারের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে এ ধরনের খাবারগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে আমি তেমন একটা পছন্দ করি না এ ধরনের খাবারগুলো খেতে।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

এভাবে একা একা স্ট্রিট ফুড গুলো খাওয়া হচ্ছে বন্ধু ।আবার ঢাকায় যখন যাব এই খাবার একসঙ্গে উপভোগ করব। অনেক মজা খেতে সেটা পোস্ট করে বুঝতে পারলাম । খুবই ভালো লাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । তার মাধ্যমে জানতে পারলাম এরকম মুহূর্ত আবার ফিরে আসুক সেটাই কামনা করি।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

বেশ ভাইরাল এই খাবারটি। ফুড লাভাররা প্রতিনিয়ত রিভিউ দিচ্ছে। সেই রিভিউ দেখে আপনারা খেতে চলে গেলেন মোহাম্মদপুরে খাবারটি খেতে। এই খাবার দু'টো খেতে জাস্ট অসাধারন। যারা দই পছন্দ করে তাদের বেশ মজা লাগবে। আর দেখতেও বেশ লোভনীয়। বাটি চাট ও দই বড়া খাওয়ার মজার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

স্ট্রিট ফুড সর্বদাই লোভনীয় হয়ে থাকে।আপনার রিভিউ পোস্টটি পড়ে তো খেতে ইচ্ছে করছে।আইটেম টির নামেই একটা ব্যাপার রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

ব্যাপারটা খুব দারুন প্রথমে অনলাইন থেকে সন্ধান পেলেন। এরপরে খেতে গেলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় ফটোগ্রাফি নিতে পারেননি। আবারও সেইম খাবার খেতে গেলেন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো নিলেন। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই ভালো লেগেছে। সত্যি খাবারের কালার দেখেই বুঝা যায় খাবার কত সুস্বাদু হয়। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল দেখেই তো যেয়ে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করতেছে।

 5 months ago 

আমি কখনো বাটি চাট খাইনি তবে দই বড়া আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। যদিও আপনাদের ওখানে দাম আমার কাছে ঠিকই মনে হয়েছে। আমাদের এখানেও এরকমই দাম, ৫০ থেকে ৭০ টাকার ভিতরে। তবে আপনাদের ওই বুদ্ধিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে, যে দুই বন্ধু মিলে দুই রকম খাবার অর্ডার করেছিলেন, যাতে করে ভিন্ন ভিন্ন টেস্ট পাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ে যতটুক বুঝতে পারলাম যে খাবারগুলো অত্যাধিক টেস্টি ছিল এবং খেয়ে আপনারা দুজনেই অনেক বেশি খুশি হয়েছিলেন।

 5 months ago 

দাদা আপনি দই বাড়া অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আমি দইবড়ার থেকেও বাটি চাট বেশি পছন্দ করি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

স্ট্রিট ফুড গুলো একটু খেতে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও একটু বুঝে শুনে খাওয়া উচিত। এই খাবার টি কখনোই খাইনি আমার কাছে মনে হচ্ছে। চমৎকার একটি খাবারের রিভিউ করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

হ্যাঁ ভাই স্ট্রীট ফুড একটু দেখেশুনে বুঝে খাওয়া উচিত বাইরের খাবার তো। আমিও এই খাবারটি খেয়ে অনেক মজা পেয়েছি ।অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68221.63
ETH 3277.70
USDT 1.00
SBD 2.66