"অনেকদিন পর বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৭ ই জুলাই, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন যে, আমি ঈদের ছুটিতে ঢাকা হতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে যাওয়ার পরে বাড়ির কাজ এবং আমার চোখের সমস্যার কারণে বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে দেশ দেরি হয়ে গেলো। আসলে বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে আমার কখনোই মন চায় না। কারণ ঢাকার আবহাওয়া আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা। আর বর্তমানে ঢাকাতে যে, পরিমাণ ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে তাতে করে ঢাকাতে ঢাকা পুরাই রিস্ক। তারপরেও পড়াশোনার খাতিরে ঢাকায় আসতেই হয়। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে বাড়িতে গিয়েছিলাম আবার একসাথে আজকে ঢাকায় এসেছি।
কয়েকদিন আগেই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দিন ঠিক করে রেখেছিলাম যে, আজকে সকালে দুজনে একসাথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে সকালের খাবার খেয়ে সকাল দশটার দিকে রওনা দিলাম। বৃষ্টির দিন হিসেবে আজকের আবহাওয়াটা বেশ দুর্দান্ত ছিল। আশার সাথে অবশ্য বৃষ্টি পাইনি বললেই চলে। কারণ আসার পথে এক জায়গায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো তাতে কোন সমস্যা হয়নি।
আমরা যখনই কোথাও যাই দুই বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে যাই। আর কোথাও ভালো পরিবেশ অথবা সুন্দর জায়গা পেলে দাঁড়িয়ে একটু রেস্ট নিয়ে থাকি। এইতো আজকে আসার পথে দৌলতদিয়া ঘাট পাওয়ার একটু আগেই হাই রোডের সাইডের একটি রাস্তাতে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালাম। এই রাস্তাটি সবুজ গাছপালাতে ঘেরা বেশ মনোরম পরিবেশ। আমরা দুজনে এই রাস্তাতে আগেও গিয়েছি বেশ ভালো লাগে আমাদের।
এ রাস্তা থেকে একটু রেস্ট নিয়ে আবার পথ চলা শুরু করলাম। তারপর দেড় ঘন্টার ভিতরেই ফেরিঘাটে পৌঁছে গেলাম। ফেরিঘাটে আসার পরে বেশ সুন্দর লাগছিল নদীর পরিবেশ দেখে। আসলে নদী ভরা জল দেখতে কার না ভালো লাগে ! আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে।
ফেরিতে উঠার পরে আমাদের মোটরসাইকেল নিচে রেখে আমি আর আমার বন্ধু রাহুল ফেরির একদম উপরের তালায় চলে গেলাম। ফেরির উপর তালায় প্রচন্ড পরিমাণে বাতাস হয় আর নদীর অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য একদম পারফেক্ট। আজকে পাড়া নদীতে মাত্র ৩০ মিনিটের ভিতরেই পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে গেলাম।
তারপর পাটুরিয়া ঘাট থেকে আবার চলা শুরু করলাম।পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা ৮০ কিলোমিটার মতো। আজকে সকালে খেয়ে এসেছিলাম তার পরেও পথের মাঝে বেশ ক্ষুধা অনুভব করছিলাম দুজনেই। তাইতো হাই রোডের পাশে একটি খাবার হোটেল থেকে দুজনেই ভোজন করে নিলাম। আজকে আসার পথে অবশ্য মানিকগঞ্জের ভেতরের যে, রোড আছে সেটা দিয়ে এসেছিলাম।
আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার পথ চলা শুরু করলাম। ঢাকাতে আসার পথে হেমায়েতপুরের ভেতরে একটি নদী আছে আর সেই নদীর পাড়ের পরিবেশ বেশ সুন্দর। এই নদীর পাড়ের চায়ের দোকানে দুজনেই একটু রিফ্রেশ হওয়ার জন্য চা খেয়ে নিলাম। নদীর বাতাস গায়ে লাগানো আর চা খাওয়ার মজাই আলাদা। আসলে আজকে ঢাকায় আসার পথে বেশ মজা হয়েছে। মোটামুটি পাটুরিয়া ঘাট হতে দুই ঘণ্টার ভিতরেই আমাদের বাসায় চলে আসি। আসলে মোটর সাইকেলে আসলে বাড়ি থেকে বেশ টেনশন করে। তাই ঢাকাতে বাসায় আসার পরে বাড়িতে ফোন করে মা-বাবাকে জানিয়ে দিলাম যে, বেশ ভালোভাবেই চলে এসেছি।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১৭ ই জুলাই |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনি এবং আপনার বন্ধু রাহুল একসাথে ঈদের সময় বাড়িতে গেলেন। এখন আবার একসাথে ঢাকাও আসলেন। গ্রামে ঈদের সময় গিয়ে অনেক দিন ছিলেন। আপনার একটি পোষ্টের মধ্যে পরে জানতে পারলাম আপনার চোখের সমস্যার কারণে চোখের জন্য চশমা বানিয়েছেন। বিশেষ করে ভাইয়া যারা শহরে থাকে তারা গ্রামে গেলে গ্রামের পরিবেশ তাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। যাহোক ঢাকা আসতে দুই বন্ধু মিলে ভালো করে খাওয়া খেলেন। এবং সুন্দর মতে ঢাকা আসলেন ভালোই করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি আর আমার বন্ধু রাহুল একসাথে বাড়িতে গিয়েছিলাম আবার একসাথে ঢাকায় ফিরলাম অনেক মজা করে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঢাকা ফেরার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ঢাকায় আসতে আসতে বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। নিরাপদে ঢাকা আসতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই নিরাপদে ঢাকায় আসতে পেরেছি। আর ঢাকায় আসার সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঢাকা ফেরার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ঢাকায় আসতে আসতে বেশ সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। নিরাপদে ঢাকা আসতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া কি বলবো আপনার মতো আমারও ঢাকা একদমই ভালো লাগে না। জীবিকার তাগিদে শুধু ঢাকায় থাকা।ঢাকা থেকে গ্রামে গেলে আর আসতে মন চায় না। বাড়িতে যতো থাকা যায় মনে হয় গতকাল তো আসলাম মাএ।আর মনে হচ্ছে বাইক এ আসছেন। দুজনে বাইক এ আসলে বেশ মজা হয়।আর ফেরিঘাট এর ছবি গুলো দারুন লেগেছে।
হ্যাঁ ভাই ঢাকা আমারো ভালো লাগে না। আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই বাইকে জার্নি করলে আমিও বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো দেখে ফটোগ্রাফি করি এবং চা খেয়ে কিছুটা রেস্ট নিয়ে আবার জার্নি শুরু করি। অনেকদিন পর বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে আপনিও দেখছি ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। আর এসব ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি আপনার জার্নিটা খুব ভালোভাবেই পার করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, অনেকদিন পর বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরা নিয়ে আপনার সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আজকে ঢাকায় ফেরার পথে বেশ সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করেছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার বন্ধু রাহুল এবং আপনি ঈদের সময় বাড়িতে গিয়েছেন। ঈদ কাটিয়ে আবার দুই বন্ধু একসাথে ঢাকা আসলেন। আসলে এরকম প্রিয় বন্ধু একসাথে থাকলে কোথাও গেলে অনেক ভালোই লাগে। আর বিশেষ করে যারা ঢাকা থাকে তারা বাড়িতে গেলে তাদের কাছে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। যাইহোক দুই বন্ধু মিলে ভালো করে খাওয়া দাওয়া করলেন। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দুজনেই একসাথে বাড়ি যাই আবার একসাথে বাড়ি থেকে ঢাকাতে ফেরত আসি। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরতে পথে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আজকের এই সুন্দর পোস্টের মধ্যে। আপনার এই অসাধারণ একটি পোস্ট দেখে মুগ্ধ হয়েছি নতুন স্থান ও চিনতে পেরেছি বা দেখতে পেরেছি এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। পাশাপাশি খুব সুন্দর ভাবে আপনি বর্ণনা করেছেন অনেক কিছু ভালো লাগলো। জার্নির দিনে ওয়েদারটা বেশ চমৎকার ছিল
হ্যাঁ ভাই ঢাকাতে আসার দিন একটা বেশ সুন্দর ছিলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।