"তীর্থ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মা-বাবার ভারত যাত্রা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩ রা মার্চ, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসার পর গ্রামীণ প্রকৃতির মাঝে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমি ভ্রমণ প্রিয় মানুষ প্রকৃতির মাঝে ভ্রমণ করতে সবথেকে বেশি পছন্দ করি। তাছাড়াও মানুষের সাথে কথা বলতে মিশতে বেশ ভালো লাগে আমার কাছে। আমার আমার মত আমার মা-বাবা ও ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। আমার মা-বাবার অনেক দিনের ইচ্ছা ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোতে ভ্রমণ করা।
আমি বাদে আমার পরিবারের সবারই পাসপোর্ট এবং ভারতের ভিসা রয়েছে। কয়েকদিন পরে অবশ্য সবার একসঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু হঠাৎ করে দাদু অসুস্থ হওয়ার কারণে দাদা মাকে নিয়ে ভারতে গেছে। আর দেশে ছিলাম আমি আর আমার বাবা কয়েক দিন হলো বাড়িতে এসেছি ভালোই ঘোরাফেরা করছি তারপরও দিনশেষে মা এবং দাদাকে মিস করছি। আমার দাদার ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো ঠান্ডা জনিত অসুস্থতার চিকিৎসার জন্য আর আমার মা বাবার ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্য হলো ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলো ভ্রমণ করার জন্য।
ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোতে ভ্রমণ করার জন্য আমার বাবা-মা আমাদেরকে দিয়ে বাসের দুইটা টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছিলো। এই ভিআইপি বাস গুলো ভারতের বড় বড় তীর্থস্থানগুলতে ভ্রমণ করাতে দর্শনার্থী নিয়ে যায়। ভারতের তীর্থস্থান গুলো ভ্রমণের জন্য বাসে করে ঘুরতে হবে ২০ দিন। আমি অবশ্য জানিনা বাসের দুইটা টিকিটের দাম কত নিয়েছে তবে আমার কাছে মনে হয় বেশ ভালো টাকাই নিয়েছে।
আমারও ইচ্ছা আছে ভারতের সকল তীর্থস্থান গুলো ভ্রমন করে দেখার। তাছাড়াও ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানগুলো ভ্রমণ করার খুব ইচ্ছা রয়েছে আমার। আমি জানিনা আমি আমার ইচ্ছা পূরণ করতে পারব কিনা তবে আমি আমার ইচ্ছা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমার মা বাবার মত আমার দাদুও ছিল ভীষণ ভ্রমণ প্রিয় মানুষ। বেঁচে থাকা অবস্থায় বাবার কাছে আবদার ধরেছিল যে, ভারতের তীর্থস্থানগুলো ভ্রমণ করার। আমার বাবা বলেছিল যে, কিছুদিন পরেই আমার চাকরি শেষ হয়ে যাবে তখন আমরা একসাথে ভারতের তীর্থস্থানগুলোতে ভ্রমণ করবো।
আমার বাবা যেহেতু সরকারি চাকরি করতো তাই চাকুরী শেষ হওয়ার আগে এত বড় ভ্রমণ করাটা অসম্ভব ছিলো। কিন্তু এই আবদারের কিছুদিন পরেই দাদু হঠাৎ করে জ্বর আসার পরই স্টক করে মারা যায়। তবে দাদু মারা যাওয়ার আগে বাবাকে বলেছিল যে, আমি তো ভারতের তীর্থস্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারলাম না তুই ভ্রমন করে আসিস। আমার বাবাও ইচ্ছা ছিল যে, চাকরি শেষ হওয়ার পরে দাদুকে সাথে নিয়ে বাবা মা একসাথে ভারতের তীর্থস্থানগুলো ভ্রমণ করবে।
আমার দাদুকে ভারতের তীর্থস্থানগুলোতে না নিয়ে যেতে পেরে আমার বাবা নিজে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছে। এমনকি কালকেও একটি গ্রামের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাবা দাদুর এই আবদার আর ইচ্ছার কথা সবাইকে বলে আক্ষেপ করল যে, দাদুকে তীর্থস্থান ভ্রমণ করাতে না পারায় ভীষণ কষ্টে আছে। আসলে ভগবানের ইচ্ছাতেই পৃথিবীতে সব কিছু ঘটে ভগবান হয়তো চাইনি এমনটা তাই হয়েছে। আজকের দিনে হয়তো দাদু বেঁচে থাকলে সবাই মিলে একসাথে ভারতের তীর্থস্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারতো।
আর গতকালকে রাতে ভারতের তীর্থস্থানগুলো ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আমার বাবা বাংলাদেশ থেকে রওনা দিলো। আমি আর আমার কাকাতো ভাই রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বাবাকে খোকসা স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলাম। খোকসা স্টেশন থেকে এরা তিনটায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে দর্শনা স্টেশনে নেমে দর্শনা বর্ডার হয়ে প্রথমে আমার মামাদের বাড়িতে যাবে। তারপর কয়েকদিন পরে বাসে করে ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানগুলোতে মা-বাবা ভ্রমণ করবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যেনো মা-বাবা তীর্থস্থানগুলো খুব ভালোভাবে ভ্রমণ করে আবার আমাদের বাংলাদেশের সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। আপনারাও সবাই আমার মা-বাবার জন্য আশীর্বাদ করবেন।
পোস্টের ছবির বিবরন
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
|---|---|
| ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
| তারিখ | ৩ রা মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ |
| লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আসলে ঘুরাঘুরি করা এমন একটি মজা যারা ঘুরাঘুরি করে তারাই সেটা উপলব্ধি করতে পারে। পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেকটা কষ্ট পেয়েছি কারণ আপনার দাদু ভারতের তীর্থস্থানে ঘোরাঘুরি করার স্বপ্নটা যে ইচ্ছে ছিল সেটা পূরণ হলো না। কি আর করার ভাগ্যে না থাকলে কিছুই করার থাকেনা। আপনার বাবা-মা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে অনেক অনেক শুভকামনা । যেন ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করে আবার দেশে ফিরে আসতে পারে সেই দোয়াই করি।
হ্যাঁ বন্ধু দাদু বেঁচে থাকলে বাবা মায়ের সাথে ভারতে ভ্রমণে যেতে পারতো। সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
পুরো ভারতটাই একটা তীর্থক্ষেত্র ভাই। যেহেতু আপনার বাবা-মা এই বয়সে এসে তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছে, আশা করি তাদের যাত্রা অবশ্যই সফল হবে এবং তারা সুন্দর করে সব জায়গা ঘুরে আবার দেশের মাটিতে ফিরে যেতে পারবে। তবে আপনার দাদু বেঁচে থাকলে হয়তো আরো ভালো হতো। তিনিও সাথে আসতে পারতেন। যাইহোক, আপনার বাবা-মায়ের যাত্রা শুভ হোক, এটাই প্রার্থনা করি।
সত্যি বলেছেন ভাই পুরো ভারত টাই তীর্থক্ষেত্র। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার মা-বাবা তীর্থ ভ্রমণের জন্য ভারত গিয়েছেম শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আসলেই প্রতিনিয়ত এইরকম কথা শুনে আসছি যে তীর্থ স্থানে ভ্রমন জন্য ভারতে যেতে হয়৷ আপনার মা-বাবাও তীর্থ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আশা করি তাদের যাত্রা সফল হবে এবং তাদের যে মনের আশা গুলো রয়েছে তারা সেখানে তা পূরণ করতে পারবেন৷
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আসলে ভাই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছে না থাকলে কোনো কিছুই সম্ভব হয় না। আপনার দাদু বেঁচে থাকলে, আপনার মা বাবার সাথে ভারতে গিয়ে, ভারতের তীর্থস্থানগুলো ভ্রমণ করতে পারতেন। যাইহোক আপনার মা বাবা যেনো ভারত ভ্রমণ শেষে, বাংলাদেশে ঠিকঠাক মতো ফিরে আসতে পারেন সেই কামনা করছি। আশা করি সামনে আপনিও ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন এবং আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। যাইহোক আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
হ্যাঁ ভাই আমার ইচ্ছা আছে ভারতে ভ্রমণ করার। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।