"করলা এবং পটল মিক্সার ভাজি রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-৭ নভেম্বর, সোমবার,২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হল করলা এবং পটল একসাথে মিক্স করে ভাজির রেসিপি। আমরা জানি করলা খুবই তেতো স্বাদের সবজি। আমার কাছে শুধু করলা ভাজি অনেক বেশি তেতো লাগে বলে আমি অন্য সবজির সাথে মিক্স করে একসাথে ভাজি করি, যাতে করে এতে তো স্বাদটা কম লাগে। তাহলে চলুন দেরি না করে করলা এবং পটল মিক্সার ভাজি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
রেসিপিটা দেখতে খুবই সুন্দর এবং খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
রেসিপি তৈরির উপকরণ
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | করলা | সাতটি |
২ | পটল | পাঁচটি |
৩ | পেঁয়াজ | দুইটি |
৪ | মরিচ | দশটি |
৫ | জিরে | ২ টেবিল চামচ |
৬ | লবণ | ২ টেবিল চামচ |
৭ | হলুদ | ২ টেবিল চামচ |
৮ | ধুনে গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
৯ | তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমে করলা, পটল, পেঁয়াজ এবং মরিচ সুন্দরভাবে কেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর করলা এবং পটল হলুদ এবং লবণ দিয়ে একসাথে মাখিয়ে নিয়েছি।
রেসিপি রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে তার উপর কড়াই বসিয়ে দিয়ে তারপর কড়াই গরম হওয়ার পরে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নেব।
দ্বিতীয় ধাপে তেল গরম হওয়ার পরে পেঁয়াজ, মরিচ ,ধুনে গুড়া ও জিরে একসাথে দিয়ে নিয়েছি। এই মসলা গুলো পরিমাণ মতো চুলায় আগুন রেখে হালকা ভাজি করে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপে মসলাগুলো হালকা ভাজি হওয়ার পরে হলুদ আর লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখা করলা এবং পটল মিক্সার দিয়ে দিবো।
চতুর্থ ধাপে করলা এবং পটল মিক্সার কড়াইতে দিয়ে দেওয়ার পরে সুন্দরভাবে খুন্তি দিয়ে নেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নেব। এভাবে কড়াইতে পরিমাণ মত আগুন রেখে আস্তে আস্তে খুন্তি দিয়ে নাড়তে হবে।
রেসিপিটা তৈরীর মাঝামাঝি পর্যায়ের একটি ছবি। এখনো রেসিপিটা সম্পূর্ণরূপে ভাজি হয় নাই। যত সময় না পর্যন্ত রেসিপিটা খাওয়ার উপযুক্ত হয় তত সময় পর্যন্ত হালকা আগুন রেখে খুন্তি দিয়ে নাড়তে হবে।
এই ধাপে করলা এবং পটল মিক্সার ভাজি খাবার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে। এখন চুলার আগুন বন্ধ করে দিয়ে গ্যাসের চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে ফেলবো।
উপযুক্ত পাত্রে করলা এবং পটল মিক্সার ভাজি রেসিপিটা পরিবেশনের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে এভাবে আমরা করলা এবং পটল মিক্সার ভাজি রেসিপি খুব সহজে তৈরি করতে পারি। আমার এই করলা এবং পটল মিক্সার ভাজির রেসিপিটা খুবই সুন্দর স্বাদ হয়েছিল। আমি আশা করি এই পদ্ধতিতে করলা এবং পটল ভাজির রেসিপি আপনারা তৈরি করলেও খুব সুন্দর স্বাদ হবে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর, ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার আজকের করলা ও পটল মিক্সার ভাজি রেসিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
করলা তেঁতো হওয়ার কারনে অনেকেই খেতে চায় না, কিন্তু আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। করলা আলু পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা করলে খেতে খুবই পছন্দ করি আমি। আজকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম পটল করলা দিয়ে ভাজা আমি কখনো খাইনি দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ দিদি আপনি ঠিকই বলেছেন করনা তেতো হওয়ার কারণে কম লোকেরাই এটা পছন্দ করে। তবে করলা যদি পটলের সাথে মিক্সড করে ভাজি করা যায় তাহলে এতে তেতো স্বাদ কম লাগে এবং খেতেও হবে সুস্বাদু লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি ।
করল্লা বিভিন্নভাবে রান্না করে খেয়েছি কিন্তু কখনও এভাবে পটল দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। নতুন একটি রেসিপি শিখলাম। একদিন ট্রাই করব। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করর জন্য।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তিত করলা আমার কাছে খুব ভালো লাগে।যদি তিত করলার সাথে অন্যান্য সবজির মিক্স করে ভাজি করা হয় তাহলে খেতে আরো বেশি স্বাদ হয়।তখন করলার তিতা ভাব টা একটু কমে যায়।আপনি দেখছি ঠিক তাই করেছেন। তিত করলার সাথে পটল মিক্স করে ভাজি করেছেন।আপনার তৈরি করা ভাজির কালারটা অনেক লোভনীয় হয়েছে।খেতে অনেক মজার হবে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু করলার সাথে অন্য সবজি দিয়ে ভাজি করলে স্বাদ ভালো হয় এবং করলার তিতো স্বাদ চলে যায়। হ্যাঁ আপু ভাজিটা বেশ ভালই হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
করলা তিতা হওয়ার কারনে গাজর দিয়ে করলা ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে,আবার তিতা ভাবটা কমে যায়।তবে পটল দিয়ে ভাজি করে কখনও খাওয়া হয়নি।তবে পটল দিলেও তিতা ভাবটা কমবে মনে হয়।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, তবে পটল দিয়ে ভাজি করলেও তিতো ভাব অনেক কমে যায়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
করলা এবং পটল ভাজি বলছেন কিন্তু আমি তো দেখলাম এটা কাঁকরোল ও পটল ভাজি। আপনি বোধহয় কাঁকরোল কে করলা বলছেন। যাইহোক ছবি দেখে তো তাই মনে হচ্ছে আমার। এই ধরনের ভাজি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে তেমনি খেতেও মনে হয় অনেক মচমচে হয়েছিল। লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন। এবার থেকে সবজি কেনার সময় দোকানদারকে জিজ্ঞেস করে কিনবো সবজির নামটা কি। এত সবজির নাম মনে রাখাটাই তো কষ্ট ব্যাচেলরদের জন্য। যাইহোক এবার থেকে কাঁকরোল বলেই ডাকবো। আর উস্তে কে করলা বলে ডাকবো। সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।
করলা এবং পটল একত্রিত করে ভাজি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। এ দুটো জিনিস আলাদা আলাদা করে ভাজি খেয়েছি ।কিন্তু একত্রিত করে কোন সময় ভাজি খাওয়া হয়নি। এ ধরনের ভাজি গুলো তৈরি করার ক্ষেত্রে যদি একটু বেশি তেল ব্যবহার করা হয় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাই দুটি সবজি একত্রিত করে ভাজি করলে বেশ সুন্দর স্বাদ হয়। বর্তমান তেলের যে দাম বেশি করে তেল দিয়ে ভাজি করলে ব্যাচেলরদের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে ভাই। তবে কথায় আছে যত গুড়, তত মিষ্টি। সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
করলা ও পটল মিক্সার ভাবে ভাজি করলে খেতে আসলে অনেক ভালো লাগে। কিন্তু প্রত্যেকদিন সকালে পটল না খাওয়া হলেও করলা প্রত্যেকদিন খাওয়া হয়। আসলে রুটি দিয়ে করলা ভাজি খেতে এমনিতেই সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।