"বন্ধুর সাথে কোল্ড কফি খাওয়া"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই মার্চ, বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি দিনে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি ততক্ষণ পর্যন্ত মনে হয় প্রতিদিনের রুটিনে কোন কিছু মিচিং রয়েছে। যখন থেকে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত হয়েছি তখন থেকে এই নিয়মিত কাজ করার অভ্যাস করেছি। মনে আছে আমি যখন ভেরিফাইড মেম্বার হলাম তখন আমাদের শ্রদ্ধেয় এডমিন সুমন ভাই বলেছিল যে, অংকন তুমি প্রতিনিয়ত কাজ করবা এবং সুপার অ্যাক্টিভ লিস্টে থাকার চেষ্টা করবা। সত্যি বলতে সুমন ভাইয়ের অনুপ্রেরনায় আমার এই অভ্যাসটা গড়ে উঠেছে। যাইহোক আসল কথায় আসি গত মাসে বন্ধু রাহুলের সাথে বাইকে করে কেরানীগঞ্জে একটি কাজে গিয়েছিলাম। তারপর সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় দুপুরের দুই বন্ধু গরমের ভিতরে কোল্ড কফি খেয়েছিলাম। আমি এখন আপনাদের সাথে কোল্ড কফি খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো
আমরা মেস থেকে বের হয়েছিলাম মোটামুটি সকাল ১০:০০ টার দিকে। আমাদের ম্যাচ থেকে এ কেরানীগঞ্জ যাইতে প্রায় ঘন্টাখানেক মত সময় লেগেছিলো। যদিও কেরানীগঞ্জ পথ খুব একটা বেশি না তারপরেও ঢাকা যানজট পার করে যেতে অনেক সময় লেগে যায়। এর আগে অবশ্য শীতকালীন ফটোগ্রাফির উদ্দেশ্যে এক দিন আমরা কেরানীগঞ্জে গিয়েছিলাম। তবে তখন শহরে শীত কম থাকায় শীতের ফটোগ্রাফি আমরা করতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।
আমরা কেরানীগঞ্জে পৌঁছে আমাদের কাজ সেরে মোটামুটি বারোটার দিকে যেখান থেকে রওনা দিই। কেরানীগঞ্জে যাওয়ার সময় একটু কম যানজট থাকলেও আসার সময় নেই প্রচন্ড যানজটের সাক্ষী হয়েছিলাম শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট অফ প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের সামনে। ওই জায়গাতে ট্রাফিক পুলিশ না থাকার কারণে যানজটটা হয়েছিল আমাদের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মতো এখানকার যানজটে কাটাতে হয়েছিল। আমরা যেদিন কেরানীগঞ্জ গিয়েছিলাম সেদিন বিশে ফেব্রুয়ারি ছিল তারপরের দিনে ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আর কে ঘিরে ঢাকার জাতীয় শহীদ মিনারের পাশে রাস্তার সাজ সজ্জার কাজ চলছিলো।
আমরা বাসায় ফেরার সময় বন্ধু রাহুলকে বললাম যে, কোল্ড কফি খেতে ইচ্ছা করছে। কারণ দুপুর হয়ে যাওয়াতে বেশ গরম আর বিরক্ত লাগছিল ঠান্ডা কিছু খেতে মন চাচ্ছিলো। তারপর পিলখানার পাশের ফুটপাতের ফ্রুট জুস কর্নারের সামনে গাড়ি রেখে দুইটা কোল্ড কফির অর্ডার করলাম। এর আগেও অবশ্য একদিন এই দোকানে এসে আমি বন্ধু রাহুল আর আমাদের এক বড় ভাই লাচ্ছি খেয়েছিলাম। সত্যি এখানকার খাবারগুলো দারুন লাগে আমার কাছে।
আমরা কোল্ড কফি অর্ডার করার পরে কোল্ড কফি বানানোর মাঝেই হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেল। তখন দোকানদার বলল যে কোল্ড কফি বানানো তো অর্ধেক হয়ে গেছে আপনারা একটু বসুন কারেন্ট আসুক তারপরে বানিয়ে দিচ্ছি। তারপর কারেন্টের অপেক্ষায় কিছু সময় বসে থাকলাম। আমরা বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পরে কারেন্ট আসলো তারপর দোকানদার আমাদেরকে দুইটা কোল্ড কফি বানিয়ে দিলো। এর আগে অবশ্য কখনো কোল্ড কফি খেয়েছিলাম না কোল্ড কফির প্রতি আলাদা একটি আকর্ষণ কাজ করছিলো।
আহ্ মুখে নিতে আলাদা একটি তৃপ্তি। গরমের ভেতরে কোল্ড কফি খাওয়ার মজাই আলাদা। তারপর দুই বন্ধু মিলে খুব মজা করে কোল্ড কফি খেলাম। আমরা যে, কোল্ড কফি খেয়েছিলাম পঞ্চাশ টাকা কাপ নিয়েছিল দামের সাথে টেস্টের অনুপাতটা একদম ঠিকঠাক। তারপর দোকানদারকে কোল্ড কফির টাকা পেমেন্ট করে বাসায় চলে আসলাম। দুই বন্ধু মিলে কোল্ড কফি খাওয়ার অনুভূতি সত্যিই দারুন ছিলো
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২০ শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
রাহুল ভায়ের কফি খাওয়ার দৃশ্য অসাধারণ লাগছে হাহা ভাই এই রমজান মাসে আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে খাচ্ছে।খুবই সুন্দর একটি ব্লগ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব ভাল লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টা শেয়ার করার জন্য।
রাহুল ভাই অবশ্য প্রতিদিন রোজা থাকেন । আমরা রোজার আগে ঘুরতে গিয়েছিলাম আর তখন ওই কোল্ড কফি খেয়েছিলাম সেই মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।
আসলেই বন্ধু গরমের দিনে কোল্ড কফি খেতে অনেক বেশি মজা লাগে। সেদিনের ঘোরাঘুরিটা এবং শেষে কোল্ড কফি খাওয়ার সব মিলিয়ে দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গরমের ভেতরে ঘোরাঘুরি শেষে কোল্ড কফি খাওয়ার মজাই আলাদা বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সব খাবার এখন যেহেতু খেয়ে নিচ্ছেন সব হয়তো বিয়ের পরে আর খাওয়ার সুযোগ থাকবে না। কারণ তখন খাওয়ার আগ্রহটাও কমে যাবে হি হি হি। এখন থেকে আস্তে আস্তে খাওয়ার পরিমাণটা একটু কমায় দেন। আসলে আমাদের এডমিন মডারেটর ভাই বোনেরা অনেক বেশি উৎসাহ দেন আমাদেরকে। আপনাকে এক্টিভ লিস্টে থাকার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দিলো ভাইয়া। আর আপনি খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্তটি বেশ ভালই উপভোগ করলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন আপু আমাদের এডমিন মডারেটর ভাইয়েরা আমাদেরকে একটিভ লিস্টে থাকার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। আসলে যাবো বিয়ের পরে হয়তো এরকম মজা করে খাওয়ার আর সুযোগ থাকবে না তাই আগে আগে খেয়ে নিচ্ছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বর্তমানে যে পরিমাণ গরম পড়ছে ঠান্ডা কিছু না খেলে হয়। আপনি আপনার বন্ধুর সাথে কোল্ড কফি খেয়েছেন এবং সেই গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। কোল্ড কফি আপনাদের কাছে পাওনা থাকলো। সময় হলে আমাকে কিন্তু খাওয়াতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বন্ধু বর্তমানে যে পরিমাণ গরম পড়ছে ঠান্ডা কিছু না খাইলে ভালো লাগেনা। অবশ্যই বন্ধু তুমি আবার আমাদের মেসে আসো কোল্ড কফি খাওয়া হবে একসাথে মজা করে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বন্ধুর সাথে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বন্ধুদের সাথে থাকলে যেন একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করতে থাকে৷ তাদের সাথে চলাফেরা করতে করতে আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় যা কখনো ভুলা যায় না৷ আজকে আপনি আপনার বন্ধুর সাথে কোল্ড কফি খেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ খুব সময় অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব খুশি হলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
সেদিনে বন্ধুর সাথে অতিবাহিত করার সময় অনেক সুন্দর ও সুমধুর ছিল। দুই বন্ধু মিলে বেশ মজা করে কোল্ড কফি খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।