"লিওনেল মেসির হাতে অষ্টম ব্যালন ডি'অর"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩১ শে অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বেশ ভালো লাগে আমার। পূজার আগে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ ভালই লাগছে। গ্রামে অলরেডি শীতের আমেজ শুরু হয়ে গেছে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমি খেলাধুলা অনেক বেশি পছন্দ করি। আর বিশেষ করে ফুটবল খেলা তো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর ফুটবলে আমার পছন্দের খেলোয়াড় হলো লিওনেল মেসি। লিওনেল মেসি গতকালকে অষ্টম বারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতলো। সত্যি বলতে এই অর্জনটা বেশ দারুণ একটি অর্জন লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে।
ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
সোর্স: Pixabay
তারিখ: ৩১ শে অক্টোবর ২০২৩
ফ্রান্স ম্যাগাজিনের দেওয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পুরস্কার ব্যালন ডি'অর। ব্যালন ডি'অর ব্যক্তিত্ব ও পর্যায়ে ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য সবথেকে প্রাচীন পুরস্কার গুলোর ভেতরে অন্যতম। ব্যালন ডি'অর ১৯৫৬ সাল থেকে প্রদান করা শুরু হয়। প্রথমে এই পুরস্কারটি শুধুমাত্র ইউরোপের খেলোয়ারদের জন্য দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে সমগ্র বিশ্বের এক সিজনের সেরা খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়। তবে ব্যালন ডি'অর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক আর অধিনায়কদের ভোটাভুটির মাধ্যমে সঠিক প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রন সংস্থা ফিফার সাথে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চুক্তিতে ব্যালন ডি'অর এক বছরের সেরা পারফরমেন্স করা ফুটবলারকে দেয়া হতো। তারপর ২০১৬ সাল থেকে আবার ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন ফুটবল এটা এককভাবে দিতে শুরু করে। এর আগে অনেক বড় বড় ফুটবলার এই পুরস্কারে স্বাদ গ্রহণ করেছে। ফ্রান্স ম্যাগাজিনের দেওয়া ব্যালন ডি'অর শুধুমাত্র একটি পুরস্কার না এটা সম্মান।
লিওলন মেসি ২০০৯ সাল থেকে ব্যালন ডি'অর পাওয়া শুরু করে। লিওলেন মেসির ব্যালন ডিয়ার পাওয়ার সালগুলো হলো, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১, ২০২৩ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ব্যালন ডি'অরের মালিক ফুটবলের সম্রাট লিওনেল মেসি। তর্ক সাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয় লিওলেন মেসিকে। তবে আমি যেহেতু মেসির ভক্ত তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে লিওনেল মেসিকে সর্বকালের সেরা মনে করি।
এবারের ব্যালন ডি'অরের সেরা তিনজনের নাম হলো লিওনেল মেসি, আরলিং হল্যান্ড ও ক্লিয়ান এমবাপে। এদের তিনজনের ভেতর থেকে এই সাংবাদিক আর বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের ফুটবল অধিনায়কদের ভোটে লিওলেন মেসি ২০২৩ ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের দেওয়া ব্যালন ডি'অর পুরস্কার লাভ করে। লিওনেল মেসি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে বেশ দারুন কাটিয়েছে।
লিওনেল মেসি ফিফা ফুটবল ২০২২ বিশ্বকাপে হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট সাথে বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে, আবার এদিকে ফ্রান্স ফুটবলের লীগ ওয়ান শিরোপার পাশাপাশি ইন্টার মিয়ামীতে এসে লীগ কাপ জিতেছে। এক কথায় বলা যায় গত মৌসুমী ব্যক্তিগত এবং দলীয় সাফল্যের ভিত্তিতে লিওনেল মেসি সেরা খেলোয়াড় ছিলো।ফ্রান্স ম্যাগাজিনের দেওয়া ব্যালন ডি'অরের সর্বোচ্চ পুরস্কারের তালিকায় পাঁচটি ব্যালন ডি'অর পেয়ে দুইয়ে আছে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
তবে এখন মেসি আর রোনালদোর যে বয়স হয়েছে এরপর থেকে আর হয়তো এই দুই খেলোয়াড় ব্যালন ডি'অর ছুঁয়ে দেখতে পারবেনা। একজন ফুটবলারের স্বপ্ন যেখানে পুরো ক্যারিয়ার একটি ব্যালন ডি'অর লাভ করা সেখানে মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দুজন মিলে জিতেছেন ১৩ টি ব্যালন ডি'অর। এর ভিতর লিওনেল মেসি একাই জিতেছেন সর্বোচ্চ আটটি ব্যালন ডি'অর। আসলে লিওনেল মেসি বলেই এতো কিছু সম্ভব।
যতদিন ফুটবল খেলা পৃথিবীতে থাকবে ততদিন লিওনেল মেসির নাম ফুটবলের সাথে মিশে থাকবে। মিশে থাকবে এই খুদে জাদুকরের বা পায়ের চোখ জুড়ানো ড্রিবলিং। আমিতো লিওনেল মেসির খেলা দেখার সময় অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। ফুটবলে হয়তো অনেক অনেক ভালো খেলোয়ার আসবে যাবে কিন্তু লিওলেন মেসির নাম নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলতে থাকবে। কারন আমার কাছে লিওনেল মেসি ভালোর থেকেও বেশি ভালো খেলোয়াড়। যাহার তুলনা আমি অন্য কোন খেলোয়াড়ের সাথে করি না। কারন আমি জানি যে, লিওনেল মেসি একমাত্রই মেসি।
গতকালকে রাতে লিওনেল মেসির হাতে অষ্টম ব্যালন ডি'অর পুরস্কার দেখে মনের ভেতর বেশ ভালো লাগছিলো। লিওনেল মেসি সহ তার পরিবার,তার সতীর্থ আর তার ভক্তদের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
আসলেই গ্রামে আগে থেকেই শীত অনুভব করা যায়।আর আপনার মতই আমার ও ফুটবল খেলা অনেক বেশি পছন্দের।মনে হচ্ছে আপনি লিওনেল মেসির অনেক বড় ফ্যান।লিওনেল মেসির অর্জন নিয়ে সুন্দর পোষ্ট করেছেন।আপনার পোষ্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ দাদা।
হ্যাঁ দিদি আমি লিওনেল মেসির ফ্যান। আসলে লিওনেল মেসি কিছু অর্জন করলে সেটা অনেক ভালো লাগে আমার মনের কাছে তাই আর কি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সুন্দর মতামত প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
ছবিটা চেঞ্জ করো কপিরাইট ফ্রি ছবি ছাড়া ইউজ করা যাবে না।
হুম ভাই চেঞ্জ করে দিয়েছি ছবি।