"বিভিন্ন সবজি দিয়ে ডিমের রেসিপি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৩ ই নভেম্বর, রবিবার, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমি আজকে আলু, পটল এবং চাল কুমড়ো দিয়ে ডিমের রেসিপি তৈরি করেছি। বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে ডিম রান্না করলে বেশ ভালই লাগে আমার কাছে। আমি ব্যাচেলর ঢাকাতে থেকে লেখাপড়া করি এবং নিজেই রান্না করে খাই। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার আলু, পটল ও চালকুমড়ো দিয়ে ডিমের রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
রেসিপি তৈরির জন্য উপকরণ:
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ডিম | তিনটি |
২ | আলু | তিনটি |
৩ | পটল | পাঁচটি |
৪ | পেঁয়াজ | চারটি |
৫ | মরিচ | পনেরোটি |
৬ | রসুন | দুইটি |
৭ | হলুদ | তিন টেবিল চামচ |
৮ | লবণ | চার টেবিল চাম |
৯ | ধুনে গুড়া | দুই টেবিল চামচ |
১০ | জিরা | তিন টেবিল চামচ |
১১ | আদা | পরিমাণ মতো |
১২ | গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
১৩ | তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
আলু, পটল, চালকুমড়া, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং মরিচ পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে। আমি পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, আদা কাটার পর হামাল দিস্তা দিয়ে সুন্দরভাবে বেটে নিয়েছি সাথে জিরা এবং গরম মসলা ও আলাদা করে বেটে নিয়েছি।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেল হালকা গরম হয়ে আসলে ডিম ভেজে নিতে হবে।ভাজা হয়ে গেলে ডিম পাত্রে উঠিয়ে রাখবো।
দ্বিতীয় ধাপে কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে আলু, চালকুমড়া এবং পটলে হালকা হলুদ আর লবণ মিশিয়ে ভাজি করে নিয়ে পাত্রে উঠিয়ে রাখতে হবে।
তৃতীয় ধাপে কড়াইতে তেল দিতে হবে, তেল হালকা গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, জিরা সকল বাটা এবং পরিমাণ মতো হলুদ,ধুনে গুড়া একসাথে তেলে দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। তবে চুলায় আগুন এর পরিমাণ হালকা রাখতে হবে যাতে পুড়ে না যায়।
চতুর্থ ধাপে মশলা হালকা লাল হয়ে আসলে হালকা পানি দিয়ে মসলা কষিয়ে নিতে হবে। মসলা কষানো হয়ে গেলে তারপর আলু, পটল চাল কুমড়া ভাজি কড়াইতে দিয়ে একসাথে আস্তে আস্তে নড়াচাড়া করতে হবে।
পঞ্চম ধাপে আলু, পটল এবং চাল কুমড়া মসলার সাথে ভালোভাবে মিশ্রণ হয়ে গেলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে তারপর ঢাকনা দিয়ে কড়াই ঢেকে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপে ডিমের ঝোল গরম হয়ে গেলে ঢাকনা উঠিয়ে ডিম দিয়ে দিতে হবে এবং কিছু সময় পর পরিমাণ মতো লবণ ও গরম মসলা বাটা দিতে হবে।
সপ্তম ধাপে ডিমের রেসিপি খাবারের উপযোগী হয়ে গেলে রান্না বন্ধ করে দিতে হবে এবং চুলার আগুন নিভিয়ে চুলা থেকে রেসিপি নামিয়ে ফেলতে হবে।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই স্বাদ হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | মোহাম্মদপুর, ঢাকা |
উপরোক্ত রন্ধন পদ্ধতি অবলম্বন করে, এভাবে খুব সহজে এবং সুন্দর করে আমরা আলু, পটল এবং চালকুমড়া দিয়ে ডিমের রেসিপি তৈরি করতে পারি। আমি নিজে নিজে রান্না করতে খুবই পছন্দ করি নিজে নিজে রান্না করার একটা আলাদা মজাও আছে বটে। আসল কথা হল নিজের রান্না নিজে খাওয়ার একটা শান্তি আছে। আমার তৈরি ডিমের মজাদার রেসিপিটা খেতেও বেশ মজাই হয়েছিল।
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। ডিম দিয়ে সবজিকে এভাবে রান্না করা যায় আমার জানা ছিল না। পটল এমনিতেই আমার অনেক প্রিয় একটি সবজি। আর সবগুলো মসলা আপনি হামাল দিস্তার মধ্যে বেটে নিয়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই ভালো লেগেছে রেসিপিটি।
বিভিন্ন সবজি দিয়ে এভাবে ডিম রান্না করলে বেশ ভালই লাগে। সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। এভাবে বিভিন্ন সবজি দিয়ে ডিমের রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় এই রেসিপিটি তৈরি করব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আসলে আমার রেসিপিটা ইউনিক কিনা জানিনা তবে কয়েক রকম সবজি দিয়ে এভাবে ডিম রান্না করার চেষ্টা করলাম। সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ব্যাচেলর বলেন আর যাই বলেন,আমাদের সকলের উচিত রান্না শেখা,কারন বিপদে আপদে সব সময়ই কাজ লাগে। যাই হোক এভাবে পটল, আলু ও চাল কুমড়া দিয়ে ডিমের রেসিপি খাওয়া হয়নি।তবে এভাবে ভেজে রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
হ্যাঁ আপু আমাদের প্রত্যেকেরই রান্না শেখা উচিত। এই রেসিপিটা খেতেও বেশ দারুন হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ব্যাচলর হিসেবে আপনি দারুণ রান্না করেছেন। আমি ও ডিম সবজি দিয়ে রান্না করি, তবে আপনার মতো এতো গুলো সবজি দিয়ে নয়।যাইহোক আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আশাকরি সামনে আরো রেসিপি দিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দিদি অবশ্যই আমি মাঝে মাঝে রেসিপি, পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করব। আমার বাংলা ব্লগে আপনার ব্লগিং জার্নি শুভ হোক।
বিভিন্ন সবজি দিয়ে আপনি দারুন ডিমের রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া।রেসিপি দেখতে লোভনীয় লাগছে। খুব সুন্দর ভাবে রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আলু পটল চাল কুমড়ার মিশ্রনের ডিমের লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এভাবে রেসিপি প্রস্তুত করলে খেতে সত্যি অনেক মজাদার হয়ে থাকে আমার কাছে কিন্তু খুবই ভালো লাগে। আপাতত দৃষ্টিতে দেখতে গেলে ডিম খাবারটাই মানুষের হাতের নাগালে আছে তারপরেও মাঝে মাঝে ট্রিপল সেঞ্চুরিতে উঠে যায়।।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন ডিম হাতের নাগালে আছে কিন্তু মাঝে মাঝে ঠিকই নাগালের বাইরেও চলে যায়। অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে ডিমের রেসিপি এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। আমি একদিন এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখব। রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালই হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে এর রেসিপি সঙ্গে আমরা সবাই অনেক পরিচিত। ডিম পোছ করে যে কোনো সবজি দিয়ে রান্না করলে আসলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ঠিক বলেছেন নিজের রান্না নিজে খাওয়া একটু শান্তি আছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই নিজের রান্না নিজে খেতে বেশ ভালই লাগে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।