ছোট ভাইয়ের "ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের" ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-১৭ ই জুন, শনিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। এই বছরের শুরুর দিকে আমার কাকাতো ভাই অনিক ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার পদের ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার জন্য ঢাকায় আমার মেসে এসেছিলো। আমি নিজেও ফায়ার সার্ভিসের এই ফায়ার ফাইটার পদে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিয়েছি তবে ভাগ্যক্রমে আসলে চাকরিটা হয়নি। আমার ভাই অনিক পরীক্ষার আগের দিনে এসে আমাদের মেসেই ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার পদের ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষাটি ঢাকার পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে হয়ে থাকে। আর আমার ম্যাচ থেকে যদি খুব সকালে বের হওয়া যায় তাহলে মাত্র দেড় ঘন্টা মতো সময় লাগে। যদি আমি মেসে আসার যে কয়বার ওখানে গিয়েছি পরীক্ষা দিতে তার আগের দিন রাতেই ওখানকার আবাসিক হোটেল ভাড়া করে থাকতাম। কিন্তু আমার ভাই অনেক যেহেতু এবার ওই তার কোন চাকরির জন্য প্রথম পরীক্ষা এবং ঢাকায় আসা ও প্রথমবারের মতো তাই ওর যাতে অসুবিধা না হয় সে কারণে আমি সবসময় ওর সাথেই ছিলাম।
আমাদের মেসে এসে রাতে থাকার পর পরের দিন খুব সকালে বের হয়ে গেলাম পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ।মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বিআরটিসি বাসে উঠে কুড়িল বিশ্বরোড গেলাম। তারপর সেখান থেকে আবারও বিআরটিসি বাসে করে পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর সামনে গিয়ে নামলাম।
খুব সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার কারণে কিছু খেয়ে যাওয়া হয়নি। তাই ওখানে গিয়ে হালকা খাবার কলা এবং পাউরুটি খেয়ে নিলাম দুজনেই। শীতের দিন থাকার কারণে হালকা কুয়াশা ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারপর আমরা যেখান থেকে লাইন করে মাঠে লোক নেওয়া শুরু করে সেখানে গিয়ে লাইলে দাঁড়া করিয়ে দিলাম ভাইকে। তবে লাইনে দাঁড়া করানোর পূর্বে শুধুমাত্র একটি হাফপ্যান্ট এবং একটি স্যান্ডো গেঞ্জি ব্যতীত মাঠের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। তাই ওই দুইটা জিনিস ব্যতীত সবকিছু খুলে আমার কাছে ব্যাগ ছিল সেই ব্যাগে রাখলাম।
এই দিন শুধুমাত্র খুলনা বিভাগের মাঠ ছিল। আর্কুল্লা বিভাগের আটটি জেলার আলাদা আলাদা করে লাইন করা ছিলো। আর প্রতিটি লাইনে এত পরিমাণ লোক এটা দেখলে চাকরি করার আর ইচ্ছা থাকে না।
আর মনে হয় যে, জীবনে হয়তো কখনো কোন চাকরি হবে না। আসলে চাকরির পরীক্ষা না দিলে বোঝা যায় না চাকরি পাওয়াটা কতটা কঠিন। আমি যখন প্রথমে গিয়েছিলাম তখন আমারও খুব ভয় করছিলো যে, এত লোকের ভেতর আমার চাকরি হয়তো আর কোনদিন হবে না।
আমি আগে থেকেই আবার অনেকের কাছে বললাম যে, চাকরি যে পেতেই হবে এমনটা না, তাই বেশি টেনশন করে লাভ নেই। তারপরও লাইনের পাশ দিয়ে অনেক সময় ঘোরাফেরা করার পরে যখন মাঠের ভেতরে ঢুকলো তখন আমি ওখান থেকে চলে এসে মেইন গেটের সামনে ওর জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম ।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের মেইন গেটের সামনে আবার ৩০০ ফুট রাস্তার ফ্লাইওভার হচ্ছে। আমি সহ আরো অনেকেই ৩০০ ফুট ফ্লাইওভারের উপরেই পরীক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম।
প্রায় তিন ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করার পরে ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা সম্পন্ন করে আমার ভাই অনিক মাঠ থেকে বের হলো। তারপর ওর কাছে শুনলাম যে পরীক্ষা কেমন কি হয়েছে ! তো বললে যে চূড়ান্ত মেডিকেল পর্যন্ত নাকি যেতে পারে নাই। আমিও জানতাম যে, ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় হয়তো উত্তীর্ণ হতে পারবে না। কারণ ওর হাইট টা একটু কম ছিলো। কি আর করার! তারপরেও তো একটি সরকারি পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা হলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১১ ই জানুয়ারি ২০২৩ |
লোকেশন | পূর্বাচল,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
সরকারি চাকুরির মন্দা বাজারে আপনার ভাই যে চেষ্টা করছে এটা ভালো। চেষ্টা থাকলে সফল হবে একদিন। মেসে রাখা সহ ভাইয়ের জন্য যা যা করেছেন তা আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পরে এবং আপনি যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছেন। আপনার ছোট ভাইয়ের "ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের" ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই, আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমি ২০১৮ সালে চলে গিয়েছিলাম। কেননা আমিও আমার এক ভাগ্নেকে নিয়ে ঢাকার এই পূর্বাচলে এসে ভাগ্নের ফায়ারম্যান পদে চাকরির জন্য ফিল্ড টেস্ট করিয়েছিলাম। তবে ভাগ্য মনে হয় আমাদের সহায় ছিল, যার কারনে আমার ভাগ্নে একবার পরীক্ষা দেয়াতেই চাকরি হয়ে গিয়েছিল। এখন বর্তমানে সে জলঢাকা ফায়ার স্টেশনে কর্তব্যরত আছে। তখন সেখানকার ভীর দেখে আমিও বুঝেছিলাম সরকারি চাকরির জন্য কতটা যুদ্ধ করতে হয়। যাই হোক ভাই, আপনার ছোট ভাইয়ের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার অভিজ্ঞতাটুকু সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বর্তমানে সরকারি চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হয়ে গেছে ভাই।সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া, আপনার ছোট ভাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের চাকরির জন্য চেষ্টা করেছে এটা জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আসলে চাকরি হওয়া না হওয়াটা নিতান্তই ভাগ্যের বিষয় কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। হয়তো আগামী কোন এক সময় আপনার ছোট ভাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একজন সদস্য হিসেবে নিজেকে নিযুক্ত করতে সক্ষম হবে। যাহোক, আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।