"শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির পুনঃনির্মাণের জন্য ফান্ড তৈরি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-২৫ ই জুলাই, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আমি শিশু কাল থেকে কৈশোর পর্যন্ত আমাদের গ্রামেই বড় হয়েছি। আমাদের গ্রাম আমার কাছে খুবই প্রিয়। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি যে, আমাদের পাড়ায় প্রচুর পরিমাণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামের বড়রা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতো। আমরা ছোট অবস্থায় শুধু তাদেরকে সাহায্য করতাম। কিন্তু বর্তমানে সবকিছু আমাদের ইয়াং জেনারেশনের উপর। এখন কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলে সেগুলো আমাদের ইয়াং জেনারেশন এর পরিচালনা করতে হয়।
আমাদের পাড়ায় শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির, শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির, শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দির ও শ্রী শ্রী শীতলা মন্দির রয়েছে। শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দির ব্যতীত তিনটি মন্দিরই পাকাপোক্তভাবে তৈরি করা হয়েছে। আগে শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দিরের পূজা বা ব্যতীত অন্য তিনটি মন্দিরের পূজা বা অনুষ্ঠান পরিচালনা করতো আমাদের পাড়ার বয়োজ্যেষ্ঠরা। আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি শুধুমাত্র শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজা আমাদের পাড়ার শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলে করে থাকে।
কিন্তু এখন কালের পরিক্রমায় সব মন্দিরের অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ইয়াং জেনারেশনের উপর। বর্তমানে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরে সকল অনুষ্ঠান এবং শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দিরের সকল অনুষ্ঠানের মেইন পরিচালনার দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়। আমি আজ সাত বছর হলো আমাদের শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের সকল দায়িত্ব পালন করছি। আমার নিজের কাছেও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সকল দায়িত্ব পালন করতে বেশ ভালো লাগে। আমাদের পাড়ার শ্রীশ্রী মাতা সরস্বতী পূজা মন্দির ছিলো অনেক পুরনো টিন এবং বাঁশের তৈরি।
আসলে আমাদের পাড়ার বড়রা ও এই পূজা মন্দিরটি পাকাপোক্ত ভাবে করার কখনো চেষ্টাই করেননি। এবছরের কালবৈশাখী ঝড়ের এই মন্দিরটি দুঃখজনকভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যদিও অনেকদিন আগে থেকেই আমি চিন্তাভাবনা করছিলাম যে, মন্দিরটি যেভাবেই হোক পাকাপোক্তভাবে আমাদের ইয়াং জেনারেশনদের করতে হবে। আমাদের একটা ছোট একটি পাড়া হলেও ইয়াং ছেলে পেলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন মতো।
তারপর ঈদের আগে যখন আমি বাড়িতে যাই তারা ইয়াং জেনারেশনের ছেলেপেলে সবাই কে ডেকে শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দির পুনঃর্নির্মাণের জন্য একটি মিটিং করি। আমাদের এই মিটিং এর মূল বিষয় ছিলো যেভাবেই হোক আমাদের মন্দিরটি আমাদের ওই পুনর্নির্মাণ করতে হবে। সবাই এই শ্রী শ্রী সরস্বতী মন্দির নির্মাণের ফান্ড তৈরির সম্মতি দিলো। তারপর আমি এই ফান্ড তৈরি নিয়ম সবাইকে জানালাম।
একটি রেজিস্টার খাতাতে সবার নাম লিপিবদ্ধ থাকবে প্রতি মাসে যার যেমন সামর্থ্য আছে সে, তেমন টাকা জমা দেবে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা জমা দেওয়ার কারণটা এর ভেতর অনেকেই চাকরি করে আবার অনেকেই স্টুডেন্ট। আমার এই প্রস্তাবের সবাই সম্মতি দিলো। তারপর আমি পরের দিনেই একটি রেজিস্টার খাতা কিনে সবার নাম লিপিবদ্ধ করে টাকা তোলা কন্টিনিউ করে আমার এক বন্ধুর উপর দায়িত্ব দিয়ে আবার ঢাকায় চলে আসলাম।
আমাদের এই শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী পূজা মন্দির পুনঃর্নির্মাণ ফান্ডে মোটামুটি ভালো একটি এমাউন্টের টাকা হলে আমরা এবারের দূর্গা পূজার পরেই আমাদের পাড়ার শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের পুনঃর্নির্মাণের কাজ শুরু করবো।
পোস্টের বিবরন
| পোস্ট ধরন | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
| ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
| লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
