"প্রায় এক বছর পর ফুটবল খেলার অনুভূতি"

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ৫ ই এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে আসার পরে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গ্রামীণ প্রকৃতি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে তাই তো কারণে-অকারণে গ্রামীন প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় মানুষের জীবন গ্রামেই অনেক বেশি সুন্দর। শহুরে রোবোটিক জীবন আমার একদম ভালো লাগেনা। আমি ছোটবেলা থেকে যে, কোন খেলাধুলার প্রতি ভীষণ আগ্রহী। আমার প্রিয় সব খেলাধুলার ভিতরে ফুটবল অন্যতম। প্রায় এক বছর পরে গতকালকে পাশের গ্রামের একটি স্কুল মাঠে গিয়ে ফুটবল খেললাম সেই অনুভূতি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি বেশ কয়েকদিন ঢাকা থেকে গ্রামে আসলেও আমাদের পাড়ার ছেলেপেলে কম থাকাতে খেলাধুলা করতে পারছি না। ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি আমার ভীষণ আগ্রহ। যে কোন খেলাধুলা করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গ্রামের বাড়িতে এসে সবার সাথে প্রকৃতির মাঝে ঘোরাফেরা করা হলেও কোথাও যেন একটু কমতি থেকে গিয়েছিলো। আর সেই কমতি হলো শারীরিক শ্রমের খেলাধুলা। যদিও মাঝেমধ্যেই ক্যারাম খেলে থাকি তবে ক্যারাম খেলায় শারীরিক কোন উপকার নেই বললেই চলে।

কারণ যে খেলাতে কোন কায়িক পরিশ্রম নেই সেই খেলাটা শুধু মানসিক শান্তি মেটায়। আমি যখন কুষ্টিয়াতে থাকতাম তখন প্রতি সপ্তাহে বাড়িতে আসতাম সে সময় প্রচুর পরিমাণে ফুটবলার ক্রিকেট খেলতাম। কুষ্টিয়াতে মেসে থাকা অবস্থায় প্রতিদিন ক্রিকেট কিংবা ফুটবল খেলার জন্য আমাদের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাঠে চলে যেতাম। সত্যি বলতে পলিটেকনিক লাইফ টা ছিল আমার জীবনের গোল্ডেন টাইম।

আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলা করতে ভালোবাসি বলেই আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে যেখানেই খেলা হতো সেখানে খেলতে চলে যেতাম তাদের সাথে মিশে গিয়ে খেলা শুরু করতাম। আমাদের পাড়ায় যখন ছেলেপেলে ভরপুর থাকতো তখন মাঝেমধ্যেই পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর সাথে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট খেলা নিতাম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সবাই কর্মের জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গিয়েছে তাই পাড়ার ছেলেপেলে এখন কম পাওয়া যায়। কোন বড় ধরনের অনুষ্ঠান বা প্রয়োজনীয় দরকার ব্যতীত এখন কেউই তেমন বাড়িতে আসে না।

আমি যেহেতু এখনো লেখাপড়া করছি তাই লেখাপড়ার মাঝে সুযোগ পেলেই গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসি গ্রামীন প্রকৃতি উপভোগ করার জন্য। কিন্তু কর্মের জীবনে চলে গেলে হয়তো আমিও আর এভাবে আসতে পারবো না। গ্রামে আসার পরে প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরেই একটি বাজার বসে সেখানে সময় কাটাতে যায়। সন্ধ্যার পরে সবার সাথে চা খাওয়া আড্ডা দেওয়াটা প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে গ্রামে আসার পরে। সবার সাথে গল্প গুজব করার সময় জানতে পারলাম যে, আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম শ্যামপুরে বিকালের দিকে প্রতিদিন ফুটবল খেলা হয়।

আমরা গল্প-গজবের সময় শ্যামপুর গ্রামের আমার এক কাকার কাছে বললাম যে, তাহলে আগামীকালকে যদি বিকালের দিকে সময় পায় তাহলে তোমাদের গ্রামে ফুটবল খেলতে যাবো। যখন কাকা বলল যে আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে বিকালের দিকে চলে এসো। গতকালকে বিকেলের দিকে বাইক নিয়ে চলে গেলাম শ্যামপুরের স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে, এখনো কেউ আসেনি তারপর আস্তে আস্তে কিছু সময়ের মধ্যেই সবাই চলে আসলো। তারপর নিজেদের ভিতরে দল ভাগ করে ফুটবল খেলা আরম্ভ করলাম।

প্রচন্ড গরমের ভিতর অনেকদিন পরে ফুটবল খেলতে নামায় দৌড়াতে একটু কম পারছিলাম। যদিও ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো দৌড়াতাম কিন্তু অনেকদিন দৌড়ানো না থাকায় শরীরে একটু হাঁফ হয়ে গেছে। তাই খেলাটা নিজের মতো করে খেলতে পারছিলাম না। আমাদের গোলকিপার এবং ডিফেন্স নরমাল ঠেকাতে প্রথমার্ধেই দুটি গোল হজম করতে হয়েছিলো। তারপর দ্বিতীয় আর্ধে আমরা ভালো খেলেও প্রথমার্ধের হওয়া গোল শোধ দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে ম্যাচটি হেরেছিলাম। তবে অনেকদিন পর সবার সাথে ফুটবল খেলতে ভীষণ ভালো লেগেছিলো।

তারপর সন্ধ্যার দিকে খেলাধুলা শেষ করে আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম আমাদের আড্ডা দেওয়ার সেই মাসিলিয়া বাজারে। আমরা বাজারে গিয়ে অনেক সময় আড্ডা দিয়ে তারপর একটু রাত হলে যার যার মত বাড়িতে চলে আসলাম। প্রায় এক বছর পর ফুটবল খেলতে পারায় মনের কাছে বেশ ভালো লাগছিল। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন খেলাটা জরুরী। প্রতিটি মানুষেরই নিজের কর্ম, পড়াশুনা, ঘোরাফেরার পাশাপাশি খেলাধুলারও প্রয়োজন রয়েছে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ৪ গ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

break.png

gPCasciUWmEwHnsXKML7xF4NE4zxEVyvENsPKp9LmDaFuzVwHnY92rponrLLcEknitVG5yvYaPTExVtjfc6Bi4cvC9ppuyLmaATGbhg8UF4suiCxVfuw2YuSWJftJo9C74dQUN2WE1yNJmdtXp.png

💞 সৃষ্টিকর্তা সহায় 💞

![k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkDGMy52wVotParwf9eYo99FhcDG9yRVNaQxotVf91vSjAbxytemWEpH4UCMBVKo32iMz6Mc3c23ZDcBfZ1ESGR5dcG9hmK3xvsmcahC4GSPabbvtjdepn.png])

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 3 months ago 

যারা গ্রামে তাদের শৈশব জীবন অতিবাহিত করেছে একমাত্র তারাই জানে গ্রামের জীবনটা কত টা মধুর হয় ৷ সারাদিন মাঠে খেলা দিন যে কিভাবে যায় বোঝা যায় না ৷
যা হোক দাদা ভালো লাগলো যে ঈদের ছুটির সুবাদে গ্রামে এসেছেন ৷ আর এসেই ফুটবল খেলা ৷ আশা করি প্রকৃতির রুপ সৌন্দর্যের মাঝে অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন ৷

 3 months ago 

সত্যি বলেছেন দাদা যারা গ্রামে থাকে তাদের শৈশব অনেক সুন্দর হয়।অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Hola saludos que bien lo que nos has compartido sobre ti.

 3 months ago 

ফুটবল খেলতে আমার ও বেশ ভালো লাগে। আপনি দীর্ঘ দিন পর ঢাকা থেকে গ্ৰামের বাসায় এসে ফুটবল খেলেছেন। দীর্ঘ দিন পর ফুটবল খেললে শরীরের মধ্যে একটু ব্যথা ধরে। পরবর্তীতে আবার খেললে ব্যথা চলে যায়। আসলে গ্ৰামের ছেলেদের সাথে যে কোন খেলা খেললে অনেক বেশি ভালো লাগে।

 3 months ago 

আপনিও ফুটবল খেলতে অনেক পছন্দ করেন যেন ভালো লাগলো ভাই। দীর্ঘদিন পর ঢাকা থেকে এসে এই গ্রামে ফুটবল খেলতে বেশ ভালই লাগছিলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 months ago 

আসলে অনেকদিন পর শহর থেকে গ্রামে গেলে এমনিতেই বেশ ভালো লাগা কাজ করে। কারণ শহরের ওই ধুলাবালি মাথা পরিবেশের থেকে গ্রামের সবুজ পরিবেশটা অনেক ভালো। যাইহোক আপনার অনেক দিন পর ফুটবল খেলার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন অনেকদিন পর ফুটবল খেললে ইচ্ছে মত দৌড়ানো যায় না। আপনারা দুই গোলের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন জেনে খারাপ লাগলো। কিন্তু তারপরও আশা করি অনেকদিন পর ফুটবল খেলার মাধ্যমে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। যাই হোক ধন্যবাদ ভাই আপনাদের সব মিলিয়ে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 months ago 

অনেকদিন পর খেলতে নেওয়ার কারণে ঠিকমতো খেলতে পারছিলাম না প্রচণ্ড গরম পড়ছিলো। আর প্রতিনিয়ত খেলার অভ্যাস না থাকলে খেলাটা মনের মত করে হয় না। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 months ago 

বোধহয় যাচ্ছে বাড়িতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত কাটাচ্ছেন। আসলে অনেক দিন খেলাধুলা না থাকলে যেটা হয় আর কি, শরীরে প্রচুর পরিমাণে হাঁফ চলে আসে দৌড়ানো যায় না ভালোভাবে। যাইহোক খেলাধুলা করার মুহূর্তে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে তবে এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো যে প্রথমার্ধের থেকে দ্বিতীয় আর্ধে ভালো খেলেও ম্যাচ জিততে পারেননি। যাইহোক খেলাধুলা করা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী মাঝে মাঝে খেলাধুলা করা উচিত। ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

সত্যি বলেছেন ভাই খেলাধুলা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রতিনিয়ত এভাবে ফুটবল খেলতে পারলে ভীষণ ভালো হতো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 months ago 

শহরের রোবটিক জীবন আমারও পছন্দ না। দীর্ঘদিন খেলাধুলা না করে হঠাৎ একদিন খেলতে নামলে দৌড়ানো যায় না হাঁফ লেগে যায়। ফুটবল আমার অনেক পছন্দের একটা খেলা। একটা সময় প্রচুর খেললেও এখন আর খেলা হয় না বিভিন্ন কারণে। আপনি যে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন একসময় দেখে ভালো লাগল। এটা আমাদের শরীর সুস্থ‍্য স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago 

আপনিও শহরের রোবোটিক জীবন পছন্দ করেন না জেনে ভালো লাগলো। আপনি একটা সময় প্রচুর পরিমাণে ফুটবল খেলতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। সত্যি বলেছেন ভাই সময়ের ব্যস্ততার কারণে আসলে বর্তমানে খেলাটা হয়ে ওঠে না। শরীর সুস্থ রাখতে হলে খেলাধুলা ভীষণ দরকারি।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64010.25
ETH 3401.16
USDT 1.00
SBD 2.62