"হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক"

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১৯ শে ফেব্রুয়ারি,সোমবার,২০২৪ খ্রিঃ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, আমার বাড়ি গ্রামে। আর আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামে বড় হয়েছি। গ্রামীণ মানুষদের সাথে মিশতে আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। কিছুদিন আগে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বন্ধু বড় ভাই আর ছোট ভাইদের নিয়ে হাঁস দিয়ে পিকনিক করেছিলাম। গ্রামে গিয়ে এরকম পিকনিক করতে সত্যি আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের এই হাঁস দিয়ে পিকনিকের সুন্দর মুহূর্ত এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আমি ছোটবেলা থেকেই গ্রামীন সব ধরনের পিক নিক গুলোতে অংশগ্রহণ করতাম। তবে এখন ঢাকা থাকার কারণে গ্রামের সব পিকনিকে অংশগ্রহণ করতে পারি না। কিন্তু আমি যখনই গ্রামের বাড়িতে যাই তখনই গ্রামের ছেলেপেলেদেরকে নিয়ে একসাথে পিকনিক করি। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা করছিলাম যে, সবাই মিলে হাঁসের মাংস দিয়ে যদি পিকনিক করি তাহলে বেশ দারুন হবে। এই ইচ্ছাটা যে শুধু আমার ছিল এমনটা নয় আমার পাড়া-প্রতিবেশী দাদা শ্যামলেও ছিলো এই ইচ্ছেটা।

তারপর দুইজন প্রথমে হাঁস দিয়ে পিকনিকের বিষয়ে আলোচনা করি তারপর আমরা যারা যারা পিকনিক করি তাদেরকে হাঁস দিয়ে পিকনিক করার বিষয়ে জানালে তারা সবাই সহমত হয়। এবারে হাঁস দিয়ে পিকনিকে আমরা মোট ৭ জন অংশগ্রহণ করি। তারপর সবার থেকে ২৫০ টাকা করে উঠিয়ে খুব সকালে হাঁস কেনার উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে আমি আর শ্যামলদা বের হয়ে পড়ি। প্রথমে নিজেদের পাড়ায় খুঁজলাম তেমন কোন হাঁস পেলাম না তারপর আমাদের পাশের পাড়াতে গিয়ে একটি চীনা হাঁস পেলাম।

আমরা এই হাঁসটি দাম দরের মাধ্যমে ১০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করলাম। আমাদের ক্রয়া করা হাঁসটির ওজন তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি হবে। তারপর হাঁস কিনে সোজা বাড়ি চলে আসলাম। বিকাল পর্যন্ত রেখে সন্ধ্যার আগে আমি আমার ছোট ভাই আর বন্ধু মিলে চিনা হাঁসটি সুন্দরভাবে পরিষ্কার করলাম। তারপর পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলে আমি আর শ্যামলদা চলে গেলাম আমাদের পিকনিকের অন্যান্য বাজার করতে।

সেদিনে প্রচন্ড শীত পড়েছিল তাই পিকনিকের বাজার করে এসে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, বাইরে কোথাও পিকনিক করবো না আমাদের বাড়িতেই পিকনিক করবো। আর এমনিতেও কিছু কিছু পিকনিক আমাদের বাড়িতেই হয়ে থাকে। তারপর সবাই মিলে আমাদের হাঁস রান্নার কার্যক্রম আরম্ভ করলাম। এবারে হাঁস রান্নার কার্যক্রমের মেইন ভূমিকায় ছিলাম আমি নিজে কারণ এখানে কেউই তেমন একটা রান্না করতে পারত না সবাই শুধু রান্নার কাজে হেল্প করতে পারতো।

আমি নিজেও অন্যান্য মাংস রান্না করতে পারলেও আশা না এর আগে কখনোই করিনি। তারপরেও যে কোন কিছু রান্নাবান্নার প্রতি নিজের উপর আলাদা কনফিডেন্স আছে। তারপর সবার সহযোগিতায় প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে হাঁস রান্নার কার্যক্রম সম্পন্ন করলাম। হাঁস রান্না করতেও যে এতটা বেশি সময় লাগে সেটা আগে জানলেও সেদিনে প্রাক্টিক্যালি ভাবে প্রমাণ পেয়েছিলাম।

তবে জীবনের প্রথম হাঁস রান্না করার পরে বেশ ভালো লাগছিল এবং রিসিপির কালার টা দেখে মনে হচ্ছিল যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আর এদিকে আমার বন্ধু আর ছোট ভাই মিলে সাদা ভাত রান্না করেছিলো। তারপর সবাই মিলে আমাদের বারান্দার উপর গোল হয়ে বসে পড়লাম। আমি প্রথমে সবার প্লেটে সাদা ভাত উঠিয়ে দিলাম তারপর অমল দা আর শ্যামল দা কে বললাম সবাইকে সুন্দরভাবে হাঁসের মাংস ডিস্ট্রিবিউশন করে দিতে।

তারপর সবাই মিলে কয়েকটা সেলফি উঠে নিলাম। আহ্ এবার শুরু হবে পিকনিকের আসল পর্ব খাওয়া-দাওয়া। যদিও পিকনিকের খাওয়া দেওয়ার আগে রান্নাবান্না আর অন্যান্য পর্বগুলোতেই সব থেকে বেশি মজা হয় তারপরেও সবাই মিলে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়াতে সব থেকে বেশি তৃপ্তি অনুভব হয়। যাইহোক হাঁসের মাংসের রেসিপিটা সবাই অনেক তৃপ্তি করেই খায়। সবার একটাই কথা ছিল যে, রান্নাটা অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যি বলতে যে ব্যক্তি রান্না করে তার এই কথাটা শুনতে বা কমেন্টটা শুনতে বেশ ভালো লাগে। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমাদের বাড়ির সামনের মাচার উপরে বসে সবাই মিলে বেশ গল্প গুজব করে আমাদের পিকনিকের পর্ব সমাপ্ত করলাম।



পোস্টের ছবির বিবরন

ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১১ই নভেম্বর ২০২৩
লোকেশনকুষ্টিয়া


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 5 months ago 

এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি গ্রামের বাসায় গিয়ে বড় ভাই বন্ধু এবং ছোট ভাইদের নিয়ে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করেছেন। সত্যি বলতে গ্রামে গঞ্জে যারা ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে তারা তারা এই মজা কেউ কখনোই বুঝতে পারবে না যে কতটা মনোমুগ্ধকর এই মুহূর্তটা। হাঁসের মাংস বরাবরি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়ে থাকে, ধন্যবাদ আপনাদের মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

চীনা হাঁসের মাংস যেটা খেতে খুবই টেস্টি। বন্ধু দারুন একটা পিক ঠিক করেছিলে। আসলে মাঝে মাঝে এই ধরনের পিকনিক গুলো করতে ভালই লাগে। অনেকদিন হলো পিকনিক করা হয় না । সবাই একত্রিত হলে আবার পিকনিক করবো ভাবছি। সেই পিকনিকের স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্তগুলো খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। এক সময় হয়তো আমরা এই সময় মিস করবো।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 
 5 months ago 

রাতের বেলায় হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করার মজাটাই যেন অন্য রকমের। আমরা ও মাঝে মাঝেই রাতের বেলায় পিকনিক করতে শুরু করে দেয়। বন্ধুদের সাথে রাতের বেলায় পিকনিক করার যে কতটা মজা তা বলে বোঝানো যাবে না।

 5 months ago 

আমাদের মত আপনিও মাঝেমধ্যে পিকনিক করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাই। আসলেই বন্ধুদের সাথে রাতে পিকনিক করার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 5 months ago 

গ্রামের পরিবেশে পিকনিক খাওয়ার মজাই আলাদা। ছোট বেলায় গ্রামে কত পিকনিক খেয়েছি তার কোন হিসাব নেই। কিন্তু এখন বড় হয়ে সেই পিকনিকের ধারের কাছেও যায় না। যাক আপনি যেহেতু ঢাকায় থাকেন গ্রামে আসলে অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক করলেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে মুহূর্তটি। তাছাড়া মাংস রান্নার কালারও খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে।

 5 months ago 

আপনিও ছোটবেলায় গ্রাম গঞ্জের পিকনিক গুলোতে অংশগ্রহণ করতেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। হ্যাঁ আপু রান্না অনেক টেস্ট হয়েছিল মজা করে খেয়েছিলাম সবাই। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

গ্রামে গিয়ে ছেট ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে অনেক সুন্দর একটা পিকনিকের মুহূর্তটা উপভোগ করেছেন।কর্মজীবনে আমরা বিভিন্ন জায়গা থাকলেও গ্রামের প্রতি আমাদের অন্যরকম একটা মায়া টান সব সময় থাকে।আশা করছি সবার সাথে অনেক সুন্দর সময় পাঠিয়েছেন এবং রাজহাঁসের মাংস রান্না করে অনেক মজা করে খেয়েছেন। আপনার উপভোগ করা সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 5 months ago 

হ্যাঁ ভাই যারা কর্মের কারণে গ্রামের বাইরে থাকে তারাও গ্রামকে অনেক বেশি ভালোবাসে ‌। গ্রামীন পিকগুলোতে অনেক বেশি আনন্দ হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।

 5 months ago 

বেশ অনেকদিন হয়েছে এভাবে পিকনিক করা হয় না। ছেলেরা যখন তখন ইচ্ছে করলেই পিকনিক করতে পারে।আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজা করেছেন পিকনিকে। শীতকালে হাঁসের মাংস খেতে অনেক মজা লাগে। আর হাঁসটিও বেশ বড় ছিল প্রায় ৩কেজি।তাইতো সময় লেগেছে রান্না করতে। তবে প্রথম রান্না করলেও রেসিপির রংটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছিল। সবাই মিলে পিকনিক করার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

হ্যাঁ আপু হাঁসের মাংস দিয়ে অনেক সুন্দর পিকনিক করেছিল এবং মজা করে সবাই মিলে একসাথে খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

 5 months ago 

সাড়ে তিন কেজি হাঁস, এক হাজার টাকা হিসেবে কিন্তু অনেকটাই কম নিয়েছে ভাই। তবে আমার মতে, পিকনিক বাড়িতে করার থেকে বনে জঙ্গলে গিয়ে করলে বেশি মজা লাগে। সত্যি কথা বলতে আপনার প্রথম রান্না হিসেবে কিন্তু যথেষ্ট ভালো হয়েছে দেখতে। আর সবাই যেহেতু প্রশংসা করেছে আপনার রান্নার, তার মানে তো আমার নতুন করে কিছু বলার নেই। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।

 5 months ago 

হ্যাঁ দাদা গ্রামে অনেক কম টাকাতে হাঁস কিনতে পাওয়া যায়। প্রথম রান্না হিসেবে আসলেই বেশ ভালো হয়েছিল আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।

 5 months ago 

প্রথম রান্না হিসেবে আসলেই বেশ ভালো হয়েছিল আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলাম।

যাক, খুব ভালো ব্যাপার ভাই। ভালো রাধুনী আপনি তাহলে বলা যায়।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

গ্রামের ছেলে আপনি আর গ্রামের প্রতি ভালোবাসাও অনেক আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেলাম।হাঁসের মাংস আমার ভীষণ পছন্দের একটি মাংস।আমার তো ভীষণ পছন্দ আর চিল হাঁসের মাংস অনেক সুন্দর ও সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনি নিজে প্রথমবার এই হাঁস রান্না করেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।

 5 months ago 

অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68228.72
ETH 3279.36
USDT 1.00
SBD 2.67