"নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনের দুধ চা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৫ই জানুয়ারি, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি বেশ কিছুদিন হলে ঢাকা থেকে গ্রামে এসেছি ঢাকা থেকে গ্রামে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি প্রকৃতির মাঝে। আমি ঘুরে বেড়াতে যেমন পছন্দ করি ঠিক তেমনি পছন্দ করি যে, কোন ধরনের নতুন নতুন খাবার খাইতে। আমি ভীষণ পছন্দ করি সেটা হোক রং চা হোক দুধ চা। যদিও বেশিরভাগ সময়ে রঙ চা খেয়ে থাকি তারপরেও মাঝেমধ্যে দুধ চা খাই মুখেরুচির জন্য। আমি আজকে আমাদের এলাকার গড়াই নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনের দুধ চা খাওয়ার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি আর আমার বন্ধু গত বছরের আমাদের এলাকার গড়ায় নদীর পাড়ে হাওয়া ভবনে দুধ চা খেতে গিয়েছিলাম। এখানে গড়াই নদীর পাড়ে একটি বৃদ্ধের চায়ের দোকান আছে। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন প্রথমে বাবার সাথে গিয়ে এই চায়ের দোকানে দুধ চা খেতাম। অনেক আগে থেকেই আমি এই বৃদ্ধের বানানো দুধ চা অনেক পছন্দ করি। এখানকার দুধ চা ভীষণ সুন্দর হয়। আর আমার কাছে এখানে সব থেকে বেশি ভালো লাগে গড়াই নদীর পাড়ের এভাবে বসে খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি।
এই জায়গাটিতে বসে দুধ চা খাওয়ার সবচেয়ে সুন্দর সময় হলো বিকেলে। যদিও নদীর পারে সব সময়ই অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকে তারপরেও খুব সকালে গোধূলি বিকেলে অথবা সন্ধ্যার পরে বেশ ভালো লাগে এখানে বসে চা খাইতে। আমি এখনো জানিপুরে যেকোনো কাজে গেলে এই জায়গাটিতে গিয়ে গড়ায় নদীর পাড়ের হাওয়া ভবনে বসে দুধ চা খেয়ে থাকে। হাজার মন খারাপের ভেতরেও এই জায়গাটিতে গিয়ে বসে থাকলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়।
প্রকৃতি সবসময় খারাপ মনকে ভালো করে আর ভালো মনকে আরো বেশি ভালো করে। হৃদয়ের কথাগুলো যদি কেউ না বোঝে তবে প্রকৃতির কাছে শেয়ার করলে প্রকৃতি সবকিছুই বুঝে যায়। ডড়াই নদীর স্নিগ্ধ বাতাস হৃদয়ের প্রশান্তি এনে দেয় মুহূর্তেই মন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। আমরা সেদিনে এই জায়গাটিতে গিয়েছিলাম ঠিক বিকেলে। সেখানে গিয়েই আগে দুধ চায়ের অর্ডার দিয়ে আমরা চেয়ার নিয়ে নদীর পাড়ে বেশ কিছু সময় বসে গল্প করলাম।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পরেই আমাদের দুজনের দুই কাপ দুধ চা দিয়ে গেলো। গ্রামের একদম অরিজিনাল গরুর দুধের চা এটা। এমন সুন্দর দুধ চায়ের রঙ দেখলে আসলে খাইতে ইচ্ছা করে। আমরা দুই বন্ধু নদীর পাড়ে চেয়ারে বসে চা খাইতে খাইতে অনেক সময় গল্প করলাম কারন আমরা যে, কাজের জন্য গিয়েছিলাম সেই কাজটা সেরেই নদীর পাড়ে চা খাচ্ছিলাম।
গোধূলি বিকেলের গড়াই নদীর অপরূপ সৌন্দর্য দেখা আর দুধ চা খাওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই অনবদ্য। সেদিনে গোধূলি বিকালে আকাশ আর নদীর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আর গল্প করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিলো। তারপর ঠিক সন্ধ্যার মুহূর্তে আমরা সেখান থেকে দুধ চা খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। এরকম সুন্দর মুহূর্তের দিনগুলো আসলে জীবনের স্মৃতিময় হয়ে থাকবে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৪ মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ভাই আপনি গোধূলিময় বিকেলে নদীর পাড়ে বসে দুধ চা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে প্রকৃতির মাঝে বন্ধুর সাথে এমন সময় কাটাতে প্রত্যেকটা মানুষেরই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই প্রকৃতির মাঝে বন্ধুর সাথে এমন সুন্দর সময় কাটাতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে। সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে নদীর পাড়ে বসে এমন মনোরম এবং সুন্দর দৃশ্য উপভোগ সেই সাথে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করা যায়।
আপনার ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনার মাঝে এমন ভালো সময় উপভোগ করেছেন দেখেই বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ আপনাকে ভালো একটি সময় উপভোগ করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
প্রকৃতি আসলে সব সময় আমাদেরকে তার নিজের কাছে টানে। সেদিনে বন্ধুর সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম নদীর পাড়ে বসে। সুন্দর সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আর যাই হোক দৃশ্যটা কিন্তু বেশ চমৎকার ছিল ভাইজান নদীর পাড়ের এমন সুন্দর দৃশ্যগুলো আমার খুবই ভালো লাগে আর পাশাপাশি যদি হয় সেখানে কিছুটা সময়ের জন্য চা অথবা কফি পান করা তাহলে তো কোন কথাই নেই। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দর স্থানগুলো ঘুরতে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এতে মন ফ্রেশ থাকে ভালোলাগা জাগ্রত হয়।
আসলেই ভাই নদীর দৃশ্যটা অনেক চমৎকার ছিল। এরকম সুন্দর জায়গাতে চা অথবা কফি দুটোই অনেক বেশি ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নদীর পাড়ে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা ভাইয়া। আমার দুধ চা খুবই পছন্দ তাই আপনার নদীর পাড়ে বসে চা খাওয়া দেখে আমিও ভাবছি যদি এভাবে নদীর পাড়ে বসে চা খেতে পারতাম।যাইহোক ভাইয়া আপনার এই দারুণ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আন্টি আপনিও দুধ চা অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। নদীর পারে এরকম সুন্দর পরিবেশে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ আন্টি সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।