"আজকে আমার সারাদিন"

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ১লা অক্টোবর, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



20231001_104328.jpg

আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকের দিনটা সকাল থেকেই মোটামুটি ব্যস্ততার ভেতর দিয়ে কাটিয়েছি। আজকে আমি সারা দিনে মূলত যা যা করেছি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে, গত বুধবারে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে গিয়েছিলাম আমাদের এলাকার একজন রোগীর একটা মেডিকেল টেস্টের সিরিয়াল দিতে। আমাদের এলাকার এই রোগীটাই বেশ কিছুদিন আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো তারপরে বাংলাদেশ এবং ভারতের দুই দেশের যৌথ চিকিৎসা নিয়ে ক্যান্সারকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে।

আসলে ক্যান্সার জয় করাটা বিশাল একটি ব্যাপার। যদিও সেদিন আমি মেডিকেল টেস্টের সিরিয়াল টা দিয়ে আসতে পেরেছিলাম কিন্তু দুপুর হয়ে যাওয়ার কারণে মেডিকেল টেস্ট এর জন্য যে, টাকাটা জমা দেয়া লাগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সেই টাকাটা জমা দিতে পারছিলাম না। তবে বুধবারে শুনে এসেছিলাম যে আবার টাকা জমা দেয়ার ডেট কবে আছে। তারা অ্যাকাউন্টটা থেকে রবিবারের কথা জানিয়েছিল আমাকে। তাই আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়েই বের হয়ে গেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে।

আজকে একটু সকাল সকাল বের হওয়ার কারণে বাসায় রান্না না হওয়াতে বাইরে থেকেই সকালের নাস্তাটা সেরে নিয়েছিলাম। তারপরে মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য মিডলাইন নামে একটা বাসে উঠলাম। আজকে আমি যে সময়টাতে বের হয়েছিলাম এই সময়টাতে বাসে প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে কারন সবাই এই সময়ে অফিসে যায়। তবে বাসে ভিড় থাকলেও আজকে একটু যানজট কম হওয়ার কারণে দেশ দ্রুত হয়ে পৌঁছে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

20231001_111508.jpg

বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় যানজট সমস্যাটা সবথেকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার কাছে মনে হয় ঢাকা শহরে প্রতিটা মানুষের ভোগান্তির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে যানজট।‌ আমি বাস থেকে নেমেই এই টেস্টের টাকা জমা দেওয়ার জন্য ৫ নম্বর গেটের ডি ব্লকের আট তলার কাউন্টারে চলে যায়। কারণটা এই জায়গাটি বুধবারে এসে এই চিনে গিয়েছিলাম। আমি আজ পর্যন্ত যে কয়টা সরকারি হাসপাতালে গিয়েছি সেখানে যদি নিজের চেনা না থাকে তাহলে প্রচুর পরিমাণে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

তারপরে কাউন্টারে গিয়ে ১৫ জনের মতো লম্বা লাইন দেখতে পেলাম, আমিও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। তারপর বেশ কিছু সময় পর টেস্টের জন্য টাকা জমা দিয়ে রিসিট টা বুঝে নিলাম। তারপর আবার ৮ তলা থেকে নয় তলায় গিয়ে যেখানে সিরিয়াল দিয়েছিলাম সেখানে এই রিসিটটা জমা দিলাম।

20231001_111515.jpg

আর এখান থেকে এই শুনে নিলাম যে, টেস্টের দিনে কখন আসতে হবে। তারপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি সামনে থেকে বাসে উঠে একবারে চলে আসলাম ধানমন্ডি ৩২ এ আমার মামার বাসায়। অনেকদিন হলো মামার বাসায় আসা হয়না মামার বাসায় এসে দেখা করতে পেরে বেশ ভালই লাগছিলো। আমার মামার বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুম পাচ্ছিল ঘুমিয়ে নিয়ে মামার ভাগ্নে মিলে সন্ধ্যার পরে রবীন্দ্র সরোবরের দিকে বেড়াতে গিয়েছিলাম।

যদিও এখানে গিয়ে কোন ফটোগ্রাফি করি নাই শুধু বসে বসে মামা ভাগ্নে মিলে গল্প করেছি। এক ঘণ্টার মতো এখানে বসে গল্প করার পরে আবার মামার বাসায় গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে আমাদের বাসায় আসার জন্য বের হয়ে পড়লাম। সারাদিন বাইরে থাকার কারণে আজকে "আমার বাংলা ব্লগে" খুব একটা কাজ করতে পারি নাই। আর বাসায় আসার পরেও বেশ ক্লান্ত লাগছে। তাই ভাবলাম যে আজকে যা যা করেছি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি।



পোস্টের বিবরন

পোস্ট ধরনলাইফ স্টাইল
ডিভাইসস্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
ক্যামেরা১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ১ লা অক্টোবর
লোকেশনমোহাম্মদপুর,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

অনেকেই এখন ক্যান্সারকে জয় করতে পারছে হয়তো উন্নত চিকিৎসার কারণে এই সুখবরটা রুগীর পরিবার পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ চিকিৎসায় লোকটি ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

ক্যান্সার জয় করাটা সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার কারণেই ক্যান্সার জয় করাটা সম্ভব হচ্ছে ‌। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 11 months ago 

যাক শুনে ভালো লাগলো রোগীটা ক্যান্সার আক্রান্ত থেকে মুক্ত হয়েছেন। যদিও দিন দিন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। এমন মরণ রোগ ক্যান্সার থেকে মানুষ দিন দিন সুস্থ হচ্ছে। অবশেষে আপনি একজন মানুষকে সহযোগিতা করতে পারলেন। এছাড়া আপনার আজকে সারাদিনের বিস্তারিত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ভালো। ধন্যবাদ সব সময় শুভকামনা রইল।

 11 months ago 

আপু ক্যান্সার রোগ আসলে অনেক ভয়ানক একটি রোগ এই রোগ হলে মানুষ নিজের ভেতর থেকে আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়। তারপরও যে আমাদের এলাকার এই রোগী ক্যান্সার জয় করতে পেরে সেটাই অনেক বড় ব্যাপার। আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

সারাদিন খুব ব্যস্ত সময় পার করেছেন দেখছি। হাসপাতালের কাজ একটু কষ্টকর অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় সেজন্য আমার খুব বিরক্ত লাগে। তবে আপনি সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন খুব ভালো লাগে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

বন্ধু তুমিও তোমানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকো। সরকারি হাসপাতালে এমনটা হবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। বর্তমানে মেইন বিষয় হচ্ছে যেখানে যে কাজেই যায় না কেন ধৈর্য অবশ্যই ধরতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।

 11 months ago 

সত্যি বলতে ভাই মেডিকেলে কি পরিমাণ ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেটা আমার জানা আছে। সিরিয়াল ধরে সবকিছু পেইড করে আবার টেস্ট করাতে অনেক যুদ্ধ করতে হয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

 11 months ago 

হ্যাঁ ভাই মেডিকেল টেস্ট করানোটা অনেক ভোগান্তির একটি ব্যাপার। প্রথমে টাকা পেইড করতে হয় তারপরে টেস্ট করানোর জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59493.68
ETH 2649.33
USDT 1.00
SBD 2.45