ভ্রমণ: "মিনি-কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -৩য় পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৪শে অক্টোবর, মঙ্গলবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি কিছুদিন আগে আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। আমি গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ ভ্রমণের দুটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমি আগের একটি পোস্টে ভ্রমণ: "মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ"- ১ম পর্ব ও ২য় পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি ভ্রমণ:"মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ" -৩য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
সুনামগঞ্জের মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই জায়গাটিতে আমরা বিকালের দিকে যতো বেশি সময় কাটাচ্ছিলাম ততোই বেশি ভালো লাগছিলো। সূর্য যতোই পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ছে ততোই হাওরের পরিবেশটা আরো বেশি সুন্দর হয়ে উঠছিলো। চারিদিকে অথৈ জল সোনালী সূর্যের আলোক রশ্মি যেনো চার দিকটা সৌন্দর্যে ভরে রেখেছিলো। দূর থেকে হাওরের জলের ভেতর কার গাছটা দেখতে চমৎকার লাগছিলো। যদিও আমি এই গাছগুলোর নাম জানিনা তবে এই গাছগুলো আসলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
এই জায়গাটিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকার কোন প্ল্যান ছিল না। কিন্তু আমার ভাই দীপ আর দীপ্তর জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে হয়েছিলো। আর এরকম সুন্দর পরিবেশ দেখে আমার দুই ভাই দীপ আর দীপ্ত তো বেশ লাফালাফি করা শুরু করে দিলো। আসলে এই জায়গাটিতে সন্ধ্যার দিকে এতটা সুন্দর পরিবেশ হবে আমরাও কল্পনা করতে পারিনি। বাইকের মিররের ভেতরে সন্ধ্যার টগবগে লাল সূর্য টা দেখতে বেশ দুর্দান্ত লাগছিল তাই আমি ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।
আসলে যা বুঝলাম মাঝে মাঝে ছোটদের কথাও শুনতে হয়। আসলে ওই দিনে ওদের কথা না শুনলে এরকম সুন্দর পরিবেশের সাক্ষী হতে পারতাম না। সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিলো কিন্তু হাওরে নৌকা ভাসছিলো আর জেলেরা মাছ ধরতেছিলো সেটা দূর থেকে দেখা যাচ্ছিলো। এখানকার হাওরে কিছু কিছু জায়গায় বেশ জল থাকে আবার কিছু কিছু জায়গায় খুবই সামান্য জল থাকে।
সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ হাওরগুলোতে বছরে মাত্র একবার ধান হয়। তাছাড়া এখানকার হাওরে অন্য কোন ফসল হয় না বললেই চলে। আসলে এসব বাংলাদেশের সুনামগঞ্জকে কেন হাওর কন্যা বলা হয় এই জায়গাটিতে না আসলে আসলে বোঝা যাবে না। আপনি যেখানেই যে রাস্তা দিয়ে যান না কেন! বর্ষার সময় রাস্তার দু'পাশে জল আর জল বাদে আর কিছু দেখতে পাবেন না।
আর রাস্তায় চলার সময় যদি রাস্তার দুপাশে জল থাকে তাহলে প্রাকৃতিক দৃশ্যটা কত সুন্দর দেখা যায় সেটা হাওরে না আসলে আসলে বোঝা যায় না। সুনামগঞ্জে কিছু কিছু হাওড়া আছে যেখানে কূলকিনারা পর্যন্ত দেখা যায় না। তাহলে ভাবুন কত বড় বড় হাওর আছে। কিন্তু আমাদের এলাকার নদীগুলোর কূলকিনারা স্বাভাবিক ভাবেই দেখা যায়। আমার বন্ধু রাহুল ডুবে যাওয়া রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বেশ মুডে রয়েছে। তাই বন্ধু রাহুলের এখান থেকে বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিলাম।
তারপর এই রাস্তার পাশেই আরেকটি জায়গাতে সবুজ ঘাসের চারপাশে শুধুই জল আর জল। এখানকার এই দৃশ্যটা দেখতে এক কথায় অসাধারণ লাগছিলো। তাই বন্ধু রাহুল আমাকে বলল যে, আমি ওই জায়গাটিতে যাচ্ছি তুই আমার কিছু ছবি তুলে দিবি। বন্ধু রাহুল ঐ সবুজ ঘাসের উপর যার পরে এখান থেকেও অনেকগুলো ছবি তুলে দিলাম। এরকম সুন্দর জায়গা আসলে বাংলাদেশের খুবই কম জায়গাতেই রয়েছে। আসলে বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে।
হাওরের মুক্ত আকাশে পাখিটি কত স্বাধীনভাবে উড়ছে। আমাদের মাথার উপর দিয়ে এই পাখিটি উড়ে যাচ্ছিল তাই আমি মোবাইলে ক্যাপচার করে রেখেছিলাম। যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো তখন আমরা এই জায়গাটিতে আর দেরি না করে পিসিমনিদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৯ শে আগস্ট ২০২৩ |
লোকেশন | সুনামগঞ্জ, সিলেট |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
মিনি কক্সবাজার সুনামগঞ্জ গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এর আগেও আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের পোস্ট দেখেছিলাম। জায়গাটা যে কতটা সুন্দর সেটা আপনার এই পোস্টের ফটোগ্রাফি দেখলেই বোঝা যায় অবশ্যই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন বোঝাই যাচ্ছে। বন্ধু এবং ভাইয়ের সঙ্গে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সুনামগঞ্জের মিনি কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বর্ষাকালীন সময়ে সুনামগঞ্জের এই সুন্দর ভিউ সত্যিই উপভোগ্য। দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছিলেন সবাই চাই এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতে আমারও ইচ্ছা আছে এই জায়গাটিতে গিয়ে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার ভালো লাগলো।
অবশ্যই বন্ধু সেরকম সুযোগ আসলে আমরা সবাই আবার একসাথে যাবো। কারণ এমন সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভরা অপরূপ জায়গা বারবার দেখতেও ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
এটা কিন্তু ভাই ঠিক কথা বলেছেন, আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য ভ্রমন করা প্রয়োজন। এই ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন জ্ঞানও লাভ করতে পারি। ভ্রমণের মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস দেখার সুযোগ হয়। আপনার ভ্রমণ মূলক এই পর্বটিতে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখার সুযোগ হলো। ওভারঅল বলবো খুব ভালো লাগলো আপনার এই ভ্রমনমূলক পর্বটি পড়ে।
আমার এই ভ্রমণ পর্বটি পড়ে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম দাদা। ভ্রমণ আসলেই জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে। ফটোগ্রাফি গুলা আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার কাছে অনেক। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বর্তমানে একটু সুন্দর জায়গায় বর্ষার পানি দেখলে সেই জায়গার নাম হয়ে যায় মিনি কক্সবাজার। আপনার পোষ্টের মধ্যে দেখলাম সুনামগঞ্জে মিনি কক্সবাজারের অনেক গুলো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি। তবে এমন চিত্র দেখতে সত্যিই ভালো লাগে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সব জায়গায় এমনটাই হয়েছে। তবে জায়গাটি আসলেই অনেক সুন্দর। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভ্রমণ করতে আমাদের সবার অনেক ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে হয়তো সেভাবে ভ্রমণ করার সুযোগ হয় না। এই ভ্রমণ আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভ্রমন ছিল জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। সেই সাথে দারুন মুহূর্তগুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনিও ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো আপ। সত্যি এই ভ্রমণের প্রতিটি মুহূর্ত মনোমুগ্ধকর ছিলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।