রেছিপি: "সহজ পদ্ধতিতে মজাদার নুডুলস তৈরি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩ শে অক্টোবর, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমার বাংলা ব্লগের সবাইকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জানাই। আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি সংক্রান্ত। আমার ছোট ভাই সার্থকের জন্য ঝাল বাদে নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছিলাম সেটা এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমি আজকে মজাদার নুডুলস রেসিপি তৈরি করেছি। আমি মনে করি ব্যাচেলরদের রান্না শেখাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে অনেক ছোটবেলা থেকেই রান্না করতে পারি এবং নিজে রান্না করে খেতে খুবই পছন্দ করি। নিজে নিজে রান্না করে খাওয়াটা আলাদা একটা মজা আছে আর সেটা আমি উপভোগ করি সবসময়। আমি সুন্দরভাবে আপনাদেরকে আমার রেসিপি পোস্টটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে রন্ধন পদ্ধতি বর্ণনা করবো। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
ক্রমিক | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | নুডুলস | ছোট ৫ প্যাকেট |
২ | ডিম | দুইটি |
৩ | পেঁয়াজ | তিনটি |
৪ | আলু | মাঝারি দুইটি |
৫ | লবণ | দুই টেবিল চামচ |
৬ | তেল | পরিমাণ মতো |
উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :
পেঁয়াজ আর আলু পরিমাণ মতো কেটে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জল নিয়ে দিয়ে নিতে হবে।
রন্ধন প্রণালী
প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। পরিবার মতো জল গরম করে লুডলস সিদ্ধ করে নেবো।
দ্বিতীয় ধাপে নুডুলস সিদ্ধ হওয়ার পরে কড়াই থেকে নামিয়ে ঝুরিতে করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নেবো।
তৃতীয় ধাপে তৃতীয় ধাপে করায় আবার চুলায় বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নেবো।
চতুর্থ ধাপে আগে থেকে কুটে রাখা আলু ভাজি করে নেবো।
পঞ্চম ধাপে আলু পরিবার মতো ভাজি হয়ে গেলে তারপর পেয়াজ দিয়ে নেবো। তারপর আলু আর পেঁয়াজ দুইটা একসাথে ভাজি করতে থাকবো।
ষষ্ঠ ধাপে আলু আর পেঁয়াজ ভাজি হয়ে গেলে দুইটা ডিম ভেঙে আলু আর পেঁয়াজের সাথে ভাজি করতে থাকবো।
সপ্তম ধাপে আলু পেয়াজ আর ডিম সুন্দর মতো ভাজি করে নেবো।
অষ্টম ধাপে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা লুডুলস করাইতে দিয়ে নেবো। তারপর প্যাকেটের ভেতর থাকা নুডুলস এর মসলা দিয়ে নেবো। আর এভাবে কিছু সময় নাড়াচাড়া করতে থাকবো।
নবম ধাপে আমার নুডলস রেছিপি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।
আমার রেসিপি খাবারের উপযুক্ত করে পরিবেশনের জন্য পাত্রে রাখা হয়েছে।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার রেছিপি ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
নুডুলস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি সহজ পদ্ধতিতে খুব সুন্দর করেন নুডুলস রেসিপি করেছেন। এটা ঠিক বলেছেন ব্যাচালার যারা তারা সব ধরনের রান্না শেখা ভালো। নুডুলসের মধ্যে ডিম এবং আলু দিলে খেতে অনেক ভালো লাগে।তবে আপনার নুডুলস তৈরি দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। এবং নুডুলস তৈরি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে নুডুলস তৈরি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই সব ধরনের রান্না শেখাটা সবার জন্য ভালো। আবার নুডুলস তৈরি ধাপগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাই।
ঝাল বাদে নুডুলস গুলো আরো বেশি সুস্বাদু লাগে ভাইয়া। আমিও খেয়েছ। অনেক ভালো লাগছে এবং আপনি আজকে খুব সহজে নুডুলস তৈরি করছেন। বেশ ভালো লাগলো। জি ভাইয়া ব্যাচেলরদের জন্য রান্না শিখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ তাদের বাইরে সব সময় একা রান্না করে খেতে হয়। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল। রান্নাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে
আসলে ভাই ঝাল দিয়েছিলাম না এর কারণ হচ্ছে ছোট ভাই স্বার্থকের জন্য রান্না করেছিলাম তাই। তবে ঝাল বাদেও নুডুলস খেতে অনেক ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি নুডলস রেসিপি শেয়ার করেছেন।এই শীতকালেই নুডলস খেতে আমার একটু ভালো লাগে।এছাড়া খুব একটা পছন্দের না এই নাস্তা টি আমার।ঠিক বলেছেন যে ব্যাচেলর দের রান্না শেখা হয় এই ছোট ছোট রেসিপি করেই ।রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই ব্যাচেলারদের রান্না শেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমার রেসিপিটি রন্ধন প্রক্রিয়া আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু। সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। নুডলস আমার অনেক পছন্দের খাবার।আমার বাসায় মাঝে মাঝে বিকাল বেলা করে নুডলস রান্ন করে।নুডলস খেতে বেশ দারুণ লাগে। আপনার রান্না দেখে বুঝা যাচ্ছে নুডলস টি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ভাই আমার তো যে কোন সময়ই নুডুলস খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি বিকালে মাঝে মাঝে নুডুলস খেতে থাকেন এটা যেন ভালো লাগলো। নুডুলস খাবারটা আপনার অনেক পছন্দের খুবই ভালো ব্যাপার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নুডুলস আমার বেশ পছন্দের বিকেলের নাস্তা বা টিফিনের নুডুলস খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে। তবে নুডুলস এর সাথে কিছু সবজি বা চিংড়ি মাছ দিলে খেতে আমার কাছে আরো বেশি মজা লাগে। রান্না করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু নুডুলস এর সাথে আরও বেশি পরিমাণে সবজি অথবা চিংড়ি মাছ দিয়ে নুডুলস রান্না করলে মজাই আলাদা হয়। আমি আমার ছোট ভাই স্বার্থকের জন্য এভাবেই রান্না করি কারণের সাথে বেশি কিছু হলে ও আবার খেতে চায় না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সব সময় পাশে থাকার জন্য।
নুডুলস রান্না করতে আমারও বেশ ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে ঘরোয়া উপায়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে ধাপ গুলো শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর ছিল শুভেচ্ছা রইল।
নুডুলস রান্না করতে আমার মত আপনারও ভালো লাগে এটা জেনে খুশি হলাম আপু। আসলে আমার কাছে এই নুডুলস খাবারটি অনেক প্রিয় একটি খাবার। বরাবরের মত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নুডুলস আমার খুবই প্রিয় বিশেষ করে বিকেলের নাস্তায় হলে সবথেকে বেশি মজা হয় খেতে।
নুডুলসের রেসিপি প্রস্তুতের অনেক সুন্দর এবং সহজে একটি পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফির সাথে।
আপনার প্রস্তুত করার পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল।
ভাই আপনিও নুডুলস খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন যিনি খুশি হলাম। হ্যাঁ ভাই অনেক সহজেই ফটোগ্রাফির সাথে রেসিপিটি তৈরি প্রক্রিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য ও প্রকাশ করার জন্য।
নুডুলস আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। যেটা আমি প্রায় খেয়ে থাকি। মাঝেমধ্যে আপনার ভাবি আমার জন্য রান্না করে দিয়ে থাকে। আমি খুবই খুশি হয়ে যখন সে তার সুন্দর ভাবে কোমল হাতে তৈরি করে আমার সামনে উপস্থাপন করে। যাই হোক খুব সুন্দর করে আপনিও রান্না করে দেখিয়েছেন দেখে খুশি হলাম।
নুডুলস আপনার অনেক প্রিয় একটি খাবার জেনে ভালো লাগলো ভাই। বাহ্ আমার ভাবি আপনার জন্য এভাবে সুন্দর করে নুডুলস রান্না করে দেয় এটা তো অনেক ভালো ব্যাপার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সব সময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেশ ঝটপট নুডুলস রেসিপি তৈরি করে ফেললেন তবে আলু এভাবে দিয়ে কখনো নুডুলস রান্না করা হয়নি। পরবর্তীতে ঢাকায় গেলে অবশ্যই নুডুলস রান্না করে খাব সবাই মিলে।
হ্যাঁ বন্ধু ঢাকায় আসো সবাই মিলে এভাবে নুডুলস রান্না করে অবশ্যই খাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য।