"সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে-৫ম পর্ব"

in আমার বাংলা ব্লগ8 months ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ-২৩শে ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

PhotoEditor_202312201753341-01.jpeg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত আপনাদের সামনে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনারা অনেকে জানেন যে, আমি আগস্ট মাসের শেষের দিকে সিলেটে ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। এই ভ্রমণটা আমার জীবনের সবথেকে বড় একটি ভ্রমণ ছিলো। আর এই ভ্রমণ থেকে আমি অনেক জ্ঞানলাভ করতে পেরেছি। আসলে মানুষের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার ও প্রয়োজন হয় আর মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি ভ্রমণ করা আর জ্ঞান লাভ করা। এর আগে আমি সুনামগঞ্জ মিনি কক্সবাজার ভ্রমণ, পদ্মবিল ভ্রমণ, ফ্লাওয়ার গার্ডেন ভ্রমণ, সুনামগঞ্জের হাওর বিলাস ভ্রমণ, শিমুলবাগান ভ্রমণ ১ম ও ২য় পর্ব, অ্যাডভেঞ্চার জাদুকাটা নদী ভ্রমণ সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে ১ম পর্ব,২য় পর্ব, ৩য় পর্ব‌ও ৪র্থ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আর আজকে আমি "সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খোঁজে- ৫ম পর্ব" ভ্রমণ কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20230830_114526-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আমরা যে, ঝর্ণাটি দেখার জন্য এই জায়গাটিতে এসেছিলাম সেই ঝর্ণাটির নাম চাঁনপুর ঝর্ণা। এই অঞ্চলের নাম অনুসারেই এই ঝর্ণার নামকরণ করা হয়েছিলো। তবে ঝর্নাটা যেহেতু ভারতের সীমানার ভিতরে ছিলো তাই বাংলাদেশ হিসেবে আমাদের কোন দেখার সুযোগ ছিল না। কারণ বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এলাকাটা রেস্ট্রিক্টেড হয়ে থাকে। যদিও এই অঞ্চলে বাংলাদেশের বিজিবি অথবা ইন্ডিয়ান বিএসএফ দেখা যাচ্ছিল না। তারপরেও রেস্ট্রিক্টেড এলাকায় না যাওয়াই ভালো। কারণ যে, কোনো মুহূর্তে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলে আসলে কিছু করার থাকবে না।

20230830_114046-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আমার বন্ধু রাহুলের তো ঝর্নাটা না দেখতে পেরে বেশ মন খারাপ। তাই সে আমাকে বলল যে, ঝর্ণা যতক্ষণ দেখতে পারলামই না ভালো একটা জায়গায় এসেছি ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো আছে কয়েকটা ছবি উঠে নিই। তারপর আমি বন্ধুরা রাহুলের বেশ কয়েকটা ছবি তুলে দিলাম।এই ঝর্ণার জলটা মেঘালয় পর্বতমালার বেশ ভেতর থেকে প্রবাহিত হয়ে আসছিলো আর সেই কারণেই আমরা নিজেদের চোখে ঝরনাটি দেখার সুযোগ পাইনি। যেহেতু ঝর্ণা দেখার কোন সুযোগ ছিল না আমাদের

20230830_114258-02.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

তাই ভাবলাম যে এত সুন্দর জায়গাতে এসেছি কিছু ছবি করে রাখি স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। ফোনের গ্যালারিতে ঢুকলে এসব ছবিগুলো মাঝেমধ্যেই ফোন স্কলিং করতে করতে যখন সামনে চলে আসে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তারপর আমিও বন্ধু রাহুলের কাছে আমার ফোনটা দিয়ে কয়েকটি ছবি উঠলাম। সত্যি বলতে যদি এই দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতে পারতাম আসলে মনের শান্তিটা মিটতো। কিন্তু সেটা অনুভূতি আর কল্পনায় সম্ভব।

20230830_115227-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

আমরা যে, জায়গাটি দাঁড়িয়ে ছবি উঠছিলাম তার পাশ দিয়ে বেয়ে আসছিলো সেই ঝর্ণার শীতল জল। তাই আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, এই জলের উপর একটু হাঁটা চলাফেরা করি বেশ ভালো লাগবে। কারণ এই ঝর্ণার জল অনেক পরিষ্কার ছিল আর সম্পূর্ণ পাথরের উপর দিয়ে প্রবাহ হচ্ছিলো। আর এখানকার জলের গভীর রাতে ছিলো প্রায় এক ফিট মতো তবে কোথাও কোথাও হাফ ফিট ছিলো।

20230830_115030-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

সবাই যার যার মত জুতা স্যান্ডেল খুলে নেমে গেলাম ঝর্নার প্রবাহিত ঠান্ডা জলের ভেতরে।দুপুরের সময় যখন প্রচন্ড গরম আর রোদ তখন এই ঠান্ডা জলের ভেতর হাটাহাটি করতে বেশ ভালো লাগছিলো। আমার কাকা আর আমার দাদা তো ছবি তুলতে বেশ ব্যস্ত হয়ে গেল এই জায়গাটিতে আসার পর থেকেই। তারপর আমি আর আমার বন্ধুরা রাহুল তাদেরকে বললাম যে, এই জায়গাটিতে এত বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের জন্য ঠিক হবে না কারন আমাদের এখনো অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করা বাকি আছে।

20230830_115213-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

সুনামগঞ্জ ভ্রমণে কোন পর্যটন কেন্দ্রে কতটুকু সময় ব্যয় করবো সেটা নির্ভর করতে আমার আর আমার বন্ধু রাহুলের উপর। কারণ এসব জায়গাতে আসার আগেই অনেক ইউটিউবারের ভিডিও দেখতাম দুজনেই। আসলে যে কোন জায়গা ভ্রমণে বের হওয়ার আগেই সে জায়গাটি সম্পর্কে ইউটিউব থেকে কিছু ভিডিও দেখে নিলে আসলে ভ্রমণ করতে অনেক সুবিধা হয়।

20230830_114852-01.jpeg


ডিভাইস: স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪
লোকেশন: সুনামগঞ্জ, সিলেট
তারিখ: ৩০ শে আগস্ট ২০২৩

তবে এসব জায়গাতে ভ্রমণে আসলে স্থানীয় ভালো ব্যক্তিদের কাছে শুনে ভ্রমণ করলে বেশ ভালো হয়। এক কথায় যে, সকল স্থানীয় ব্যক্তিরা এখানে ভ্রমণ সম্পর্কে জানে তাদের থেকেই শুনলেই বেটার হবে। তারপর আমরা এই জায়গাটিতে বেশি সময় দেয় না করে ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থান নীলাদ্রি লেকের দিকে রওনা দিলাম।



প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



আমি কে !

20230826_112155.jpg

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 8 months ago 

বোঝাই যায় যে আপনারা দুজনই ভ্রমণ প্রিয় একজন মানুষ সবসময়ই ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। আর ভ্রমণ করলে সকলের জ্ঞান বুদ্ধি অনেক বৃদ্ধি করে সেই সাথে অনেক কিছু সম্পর্কে জানা যায়। ঝরনা দেখতে গিয়ে যদি ঝরনার দেখতে না পাওয়া যায় তাহলে খারাপ লাগাটা খুবই স্বাভাবিক। এরপরও সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর একটা পরিবেশের দারুন একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো, শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

হ্যাঁ ভাই ভ্রমণ করলে জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেক কিছুই বৃদ্ধি পায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60482.94
ETH 2613.04
USDT 1.00
SBD 2.63