ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৭ম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২১ ই জুলাই, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230720_110228.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।

20230609_114611.jpg

সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।

20230609_114554.jpg

আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো " ঐতিহ্যের ফেরিওয়ালা স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৭ম পর্বে "ঐতিহ্যের ফেরিওয়ালা" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



প্রথম ফটোগ্রাফি

20230609_114646.jpg

আমার প্রথম ফটোগ্রাফি ছিলো, দিনাজপুরের লিচু। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, দিনাজপুরের লিচু অনেক বিখ্যাত। এই স্টলে দিনাজপুরের এই লিচু গুলো প্রতি পিস পাঁচ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রিতারা। এই লিচুগুলোকে বোম্বাই লিচু বলা হয়। আমাদের বাড়িতে এই বোম্বাই লিচু গাছ রয়েছে। এই লিচুগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_114704.jpg

এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো, ময়মনসিংহের মন্ডা। অতীতের ফেরিওয়ালা এই স্টলে প্রতিটি জায়গার বিখ্যাত খাবারগুলো বিক্রি করছিলো। মনটা হচ্ছে ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত খাবার। আমাদের বাংলাদেশে ময়মনসিংহের মন্ডার বেশ কদর রয়েছে। ময়মনসিংহের এই মন্ডা প্রতিটি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করা করছিলো।



তৃতীয় ফটোগ্রাফি

20230609_114711.jpg

এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি বগুড়ার দই। বাংলাদেশের আমরা বেশিরভাগ লোকই জানি যে, বগুড়ার দই অনেক অনেক বেশি বিখ্যাত। কারণটা বগুড়া দই স্বাদে অনেক সুস্বাদু হয়। বগুড়ার দই এর এই বাটি গুলো ৫০ টাকা ধরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা। আমি এর আগে বগুড়ার দই কয়েকবার খেয়েছি, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বগুড়ার দই।



চতুর্থ ফটোগ্রাফি

20230609_114718.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো, কুমিল্লার রসমালাই। কুমিল্লা রসমালাই আগে কখনো খেয়ে দেখা হয়নি আমার। প্রতি ছোটবাটি রসমালাই ৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছিলো বিক্রিতারা। অনেক দূর থেকে আনা হয়েছে তাই আর কি দেখতে খুব একটা ভালো লাগছিল না। আমি জানিনা কুমিল্লার রসমালাই এর স্বাদ কেমন! যেহেতু কুমিল্লার বিখ্যাত রসমালাই তাই স্বাদ হয়তো বেশ ভালই।



পঞ্চম ফটোগ্রাফি

20230609_114656.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, টাঙ্গাইলের চমচম। আমি এর আগে টাঙ্গাইলের চমচম দুইবার খেয়েছি। টাঙ্গাইলের চমচম আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিলো। প্রতি পিস ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা। আমাদের বাংলাদেশে টাঙ্গাইলের চমচম অনেক বিখ্যাত।



ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

20230609_114745.jpg

আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, রাজশাহীর হিমসাগর আম। রাজশাহীর এই হিমসাগর আম শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয় বাংলাদেশের বাইরে ও বেশ বিখ্যাত। বাংলাদেশের রাজশাহীর হিমসাগর আম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের বাগানেও হিমসাগর আমের অনেকগুলো গাছ রয়েছে। হিমসাগর আম স্বাদের অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। এই স্টলে রাজশাহীর হিমসাগর আম প্রতিপিস ২০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো।



আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ৭ম পর্বে "ঐতিহের ফেরিওয়ালা" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ৮ম পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ৯ ই জুন ২০২৩
লোকেশনগাবতলী,ঢাকা


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last year 

ভাই খাবার এর ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে বগুরার দই,দিনাজপুরের লিচু কুমিল্লার রস মালাই নাম করা আমাদের দেশের আর বগুড়ার দই তো এবার জি আই লিস্টে চলে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থপনা করার জন্য।

 last year 

হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক করে বলেছেন বগুড়ার দই তো এবার জিআই পণ্যের লিস্টে চলে গিয়েছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56949.15
ETH 2401.26
USDT 1.00
SBD 2.33