"ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান নাটমন্দিরে ধর্মীয় আলোচনা সভা ও হরিনাম সংকীর্তন"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ-৭ ই জুলাই, শুক্রবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পরে বেশ ভালোই ঈদের ছুটি উপভোগ করছি। কারণ ঢাকা শহর থেকে বাড়িতে আমি স্বাচ্ছন্দ বোধ বেশি করি। বাড়িতে আসার কয়েকদিন পরেই আমাদের গ্রামে অর্থাৎ আমাদের বাড়ির পাশে ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান নাটমন্দির নামে একটি সনাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে এই প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনা সভা ও হরিনাম সংকীর্তন এর আয়োজন করা হয়েছিলো।
এই ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান পরিষদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমার বাবা। আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রায় ৩০ বছর ধরে আছে। আমার বাবার উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিলো। কারণ এলাকার সবাই ঈদের ভেতরে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসে আর সবার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য এবং ধর্মীয় আলোচনা করার জন্য ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান ভালো একটি স্থান। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি শুক্রবারে আয়োজন করা হয়েছিলো।
প্রথমে গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। তারপর ধর্মীয় আলোচনা ও হরিনাম সংকীর্তন করা হয়। আমাদের এলাকার সবাই মিলে এই অনুষ্ঠানটি বেশ ভালই উপভোগ করি। যদিও বৃষ্টির কারণে অনেক লোক কম হয়েছিল তার পরেও অনুষ্ঠানটি অনেক শান্তিপূর্ণ ছিলো।
এই অনুষ্ঠানে ৮০০ লোকের আয়োজন করা হয়েছিলো। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ৫০০ মতো ভক্তবিন্দ উপস্থিত হয়েছিলো। আসলে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভক্তবৃন্দ যত বেশি হবে ততো জাঁকজমক হয়। ভক্ত বিন্দ কম হওয়ার কারণে ভক্তবৃন্দের জন্য প্রসাদ ও একটু কম করে তৈরি করা হয়। কারণ অতিরিক্ত প্রসাদ তৈরি করে তো আর লাভ হবে না। ভক্তবৃন্দের জন্য মোট ১২০ কেজি চাউলের খিচুড়ি প্রসাদ তৈরি করা হয়। আর এই খিচুড়ি প্রসাদের মাঝেই কয় প্রকারের তরকারি মিক্স করে দেয়া হয়েছিল।
তারপর হরিনাম সংকীর্তন শেষে সকল ভক্তবৃন্দকে বসায়ে প্রসাদ দেয়া হয়। আমাদের পাড়া এবং পাশের গ্রামের সকল ইয়াং ছেলেপেলে মিলে আমরা প্রসাদ পরিবেশন করে থাকি সবসময় এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। আসলে প্রসাদ পরিবেশন করার মাঝেও আলাদা একটি শান্তি পায়। আসলে কারো মুখে প্রসাদ তুলে দেওয়াটাও পূর্ণ্যের কাজ।
আমাদের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান নাট মন্দিরের যে, জায়গা তাতে একবারে আড়াইশো মতো ভক্তবৃন্দ কে প্রসাদ দেওয়ার জন্য বসানো যায়। আমাদের যেহেতু প্রায় ৫০০ মত ভক্তবৃন্দ হয়েছিল তাই দুইবারে বসিয়ে প্রসাদ দিয়েছিলাম।
তারপর সবাইকে যখন প্রসাদ দেয়া শেষ হয়ে গেল তখন আমরা ইয়াং জেনারেশন সবাই মিলে একসাথে বসে প্রসাদ নিলাম। খিচুড়ি প্রসাদ আমার কাছে খুবই প্রিয়। আমার মত অনেকে আছে খিচুড়ি প্রসাদ খুবই পছন্দ করে। ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান নাট মন্দিরে অনুষ্ঠানের দিনে তৈরি খিচুড়ি প্রসাদ অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সবাই সম্পূর্ণ তৃপ্তি সহকারে প্রসাদ গ্রহণ করেছিলাম।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৩০ ই জুন |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon