"ঢাকা হতে গ্রামের বাড়িতে রওনা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৮ ই মে, রবিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন যে, ঈদের ছুটি বাড়িতে কাটিয়ে কিছুদিন আগেই এসেছি। এবারে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে কুষ্টিয়া বিআরটিএ অফিস থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সবকিছুই প্রায় সম্পন্ন করে রেখেছিলাম শুধুমাত্র বাদ ছিলো ফিঙ্গারপ্রিন্ট। আগামী ৩০ মে তারিখে আমার ফিঙ্গারপ্রিন্টের ডেট রয়েছে। তাই আর কি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসতেই হতো।
এবারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়া হয়ে গেলে মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি অস্থায়ী কাগজ পাবো যেটা দিয়ে ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড যতদিন পাবো না পাচ্ছি ততদিন মোটর ড্রাইভিং করতে পারব। আপনারা জানেন যে আমি বাড়িতে যখন আসি বেশিরভাগ সময়ই আমি আর আমার বন্ধুরা রাহুল একসাথে আসি। বাড়িতে দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে একসাথে আসতে বেশ ভালই মজা লাগে।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমরা ঢাকা হতে যতবারই দুজনে একসাথে বাড়ি এসেছি ততবারই খুবই সকালে বের হয়েছি যাতে ভালো করে রোদ বের হওয়ার আগেই বাড়িতে পৌঁছে যায়। আজকে ভোর চারটার দিকে দুজনে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে চারটা পঁচিশ এর দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে দুজনে একসাথে রওনা দিলাম।
আমাদের গাড়িতে তেল কম থাকার কারণে ভাবলাম যে গাবতলী থেকে তেল নিবো। কিন্তু গাবতলী এসে দেখি যে ফিলিং স্টেশন গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভীড়। তাই সেখান থেকে তেল না নিয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে চলা শুরু করলাম। তারপর রাস্তাতে আসতে একটি ফাঁকা ফিলিং স্টেশন পেলাম সেখান থেকে তেল নিয়ে আবার দুজন চলা শুরু করলাম।
আজকে আসার সময় সকালে প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা ছিল চারদিকে বলতে গেলে ভালোভাবে রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। বারবার হেলমেটের ভাইজার ভিজে যাচ্ছিল আর তার বারবার টিস্যু বের করে মুছতে হচ্ছিল। তবে গরমের দিনে এরকম কুয়াশার মজাটা সত্যিই অসাধারণ দুই বন্ধু মিলে বেশ উপভোগ করেছি।
যতবারই ঢাকা থেকে বাড়িতে যায় ততবারই মনের ভেতর আলাদা একটি ভালো লাগা কাজ করে। এ ভালোলাগাটা শুরু হয় আগের দিন রাত থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত বাড়িতে পৌঁছাতে পারি ততক্ষণ মনটা অধীর আগ্রহে বাড়ির দিকে চেয়ে থাকে।
আজকে আসার সময় সকালের সূর্য উদিত হওয়ার দৃশ্য যেন অপূর্ব ছিল। আসলে প্রতিদিন সকালে যদি এরকম সূর্যোদয় হয় দৃশ্যটা দেখতে পারতাম তাহলে জীবনটা হয়তো আরও সুন্দর হয়ে যেত। আজকের সকালটা অসাধারণ কেটেছে।
আজকে আমরা মোটামুটি দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছে যায়। কিন্তু আজকে ফেরি কম থাকার কারণে আমাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে হয়েছিল। প্রথমে একটি ঘাটে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম যে ফেরির সংকট তাই আবার অন্য আরেকটি ঘাটে গিয়ে ফেরিতে উঠলাম।
পদ্মা নদীর এই অপরূপ দৃশ্য গুলো সত্যি হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। ফেরি পার হয়ে দৌলোদিয়া ঘাটে আসতে আমাদের চল্লিশ মিনিটের মত সময় লেগেছিলো।
নদী পার হওয়ার পরেই মনে হয় যেনো নিজের এলাকায় চলে আসছি। আসলে ঢাকা শহর আমার মোটেই ভালো লাগেনা শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থেকে আমাদের বাড়িতে আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আমাদের এদিকে রাস্তা অনেক ভালো হওয়ার কারণে সময়টা অনেক কম লাগে।
আমাদের এলাকার গ্রামের রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখতে ছিলাম যে অনেকেই রাস্তার উপরের গাছ থেকে পাকা আম পাড়ছে। সত্যি গ্রামের এইসব মুহূর্তগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর তুই বন্ধু একসাথে গল্প করতে করতে গ্রামে আসার মজাই আলাদা।
আজকে খুব ভালোভাবেই সকাল সাড়ে আটটার ভিতরে বাড়িতে পৌঁছে গেছিলাম। আসলে আজকে বাড়িতে আসার আগে কাউকে বলে এসেছিলাম না সবাই একটু সারপ্রাইজ মতোই হয়েছে। আর আমার ভাই সার্থক তো মহা খুশি বাড়িতে ঢোকার আগেই দেখি সে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপর আমার হাতটা ধরে আমাকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসলো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৮ ই মে ২০২৩ |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
ভোররাতে রওনা দিয়ে সাড়ে আটটার মধ্যে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে গেছেন খুব কম সময়ের মধ্যেই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। আপনি আপনার বন্ধুসহ দুজনে মিলে বাইকে করে গ্রামে ফিরেছেন খুবই মজা করেই হয়তো বাড়িতে ফিরেছেন আপনারা। কারণ সকালে সূর্য উদয় মুহূর্ত দুজনে মিলেই উপভোগ করেছেন। এছাড়া এত ভোর বেলা ফিলিং স্টেশনে যাওয়ার পরও সেখানে অনেক ভিড় যার কারণে তেল নিতে পারেননি অবাক হলাম।
হ্যাঁ আপু বেশ ভালোভাবেই দুই বন্ধু বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছি। আসলে ঢাকার ভিতরে ফিলিং স্টেশনে এমনিতেই ভিড় হয়। ভোরের সূর্য উঠার মুহূর্ত বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সকালের এই সুন্দর মুহূর্ত ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছেন দারুন একটা অনুভূতি। সত্যিই আমারও খুব ইচ্ছা এইভাবে সকাল মুহূর্তে জার্নি করার কিন্তু বাসে করে গেলে দুর্ভোগের শেষ নেই। যাইহোক, সকালের সুন্দর পরিবেশের দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই সকালে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন মোটরসাইকেল করে দারুন মজার ব্যাপার। আপনি ঢাকাতেই ফেরার সময় মোটরসাইকেল দিয়ে যান এবং ঢাকা থেকে আসার সময়ও মোটরসাইকেল দিয়ে ফিরেন অসম্ভব মজার একটি জার্নি। এই সময়ে কুয়াশা দেখে তো বেশ মাজার লাগতেছে এত গরমের মধ্যে দারুন লাগবে কিন্তু গায়ের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা। তাহলে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্টটা নেওয়া শেষ হয়ে গেলে আপনি লাইসেন্স পাবেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ফিংগারপ্রিন্ট দেয়া হয়ে গেলে তখন নিজে লিগ্যাল ভাবে ড্রাইভিং করতে পারবো। আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি তো দেখতেছি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যাক ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে গাড়ির লাইসেন্স পেয়ে যান এই কামনা করি। দুই বন্ধু মিলে বাইক নিয়ে মনে হয় অনেক মজাই করেছেন। তবে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করার জন্য।
সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভোর বেলায় রাস্তায় বের হলে গাড়ি ঘোড়া কিন্তু খুবই কম থাকে, যার জন্য ঢাকা শহর থেকে গ্রামের দিকে প্রত্যাবর্তন করার মুহূর্তে তেমন একটা ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় না। আপনি যে ভালই ভাল সকল এর দিকে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন এই জেনে খুশি হলাম
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।