"রাতে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফেরা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৫শে ফেব্রুয়ারি, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। গতকালকে ইউনিভার্সিটির মিড ট্রাম পরীক্ষা শেষ করে রাতে বন্ধু আর বড় ভাইদের সাথে বাইকে করে বাড়ি এসেছি। যদিও বেশিরভাগ সময়ই পরীক্ষা শেষ করে বন্ধু রাহুলের সাথে ভাইকে করে বাড়ি আসি। কিন্তু এবারে এলাকার একজন বড় ভাই আর বন্ধুর রেলওয়েতে চাকরির পরীক্ষা ছিল তাই আমাদের মেসে গিয়েছিলো। আমার স্কুলের বন্ধু আর বড় ভাই যেহেতু ঢাকাতে বাইক নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল তাই আমি আর আমার বন্ধু রাহুল প্লানিং করেছিলাম যে, আমরা পরীক্ষা শেষ করে দুইটা বাইক নিয়ে সবাই মিলে বাড়িতে আসবো। এভাবে গ্রুপিং করে বাড়িতে আসার সত্যিই অনেক বেশি মজা আর যদি সেটা হয় বাইক রাইড করে আসা তাহলে তো খুব মজা লাগে।
ঢাকা যান্ত্রিক শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশে আসা আমি সবসময়ই অনেক বেশি উপভোগ করি। গতকালকে আমাদের ইউনিভার্সিটির মিড ট্রাম এক্সাম ছিল তাই আমরা পরীক্ষা শেষ করেই বিকাল ছয়টার দিকে দুটি বাইক নিয়ে চারজন রওনা দেই ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে। এর আগে অবশ্য বাইকে করে অনেকবার বাড়ি গিয়েছি তবে শুধুমাত্র বন্ধু রাহুলের সাথে কিন্তু এভাবে গ্রুপিং করে কখনো বাইক নিয়ে বাড়ি যাওয়া হয়নি।
আমি আর আমার বন্ধু যখন ওই বাড়িতে যায় তার আগের দিন বাইকে ফুয়েল ভরে রাখি কিন্তু এবারে আগের দিন ফুয়েল ভরার কথা মনে ছিল না। তাই আমরা ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পরেই হাই রোডের একটি ফুয়েল স্টেশন থেকে গাড়িতে ফুয়েল ভরে নিই। যেকোনো জায়গায় বাইকে লং ড্রাইভে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাইকে আগে চেকআপ দিয়ে রাখতে হয় যাতে ভ্রমণটা অনেক সুন্দর হয়।
ঢাকা থেকে পাটুরিয়া হাই রোডে সবসময় গাড়ির চাপ অনেক বেশি থাকায় আমরা হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জে যাওয়ার ভেতরে যে রাস্তা আছে এই রাস্তাটা ব্যবহার করি। কারণ এই রাস্তাতে গাড়ির চাপ অনেক কম থাকে। যদিও গতকালকে রাতে এই রাস্তাতেও গাড়ির চাপ বেশ ভালই ছিলো তারপরেও ওই রাস্তা দিয়ে আসাটা হাইরোডের থেকে অনেক সেভ মনে হয়। সত্যি বলতে বাইক জার্নি মানেই কিছুটা রিস্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও যারা বাইক প্রেমিক তারা সবসময় বাইকে ড্রাইভ করাটা অনেক বেশি পছন্দ করে।
আমরা ঢাকা থেকে পাটুরিয়া যাওয়ার পথে অবশ্য কোন জায়গায় ব্রেক দিয়েছিলাম না তাই খুব তাড়াতাড়ি মাত্র ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পৌঁছে যায়। তারপর ফেরিঘাট থেকে আনসার সদস্যের কাছ থেকে টিকিট কেটে ফেরিতে উঠলাম। যদিও টিকিট কাটা নিয়ে একটা ঘটনা ঘটেছে সেটা আমি পরে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ফেরিঘাটে টিকিট কাটার নিয়ে এমন ঘটনা অবশ্যই রাগে কখনো আমার সাথে ঘটেনি তবে এবারে ঘটনাটার কারণে আমার বেশ খারাপ লেগেছে। যাই হোক আমরা পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার সাথে সাথেই ফিরে পেয়ে গিয়েছিলাম।
যেহেতু সাথে সাথে ফেরি পেয়ে গিয়েছিলাম তাই ঘাটে আমাদের সময় নষ্ট হয়নি। মোটামুটি ২৫ মিনিটের ভেতরে আমরা পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছে যায়। কিন্তু এত কম সময়ে কিভাবে আমরা পৌঁছালাম সেটা আমরা নিজেরাও জানিনা সব সময় নদী পারাপার হতে প্রায় ৪০ মিনিট মত সময় লাগে কিন্তু এবারে সময়টা অনেক কম লেগেছে। যাইহোক তাড়াতাড়ি ফেরি পার হতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল। কারণ পাটুরিয়া থেকে দৌলতদী আসার পরেই রাস্তায় উঠলে মনে হয় যেনো নিজের এলাকাতে চলে এসেছি।
আমরা ফেরি পার হওয়ার পরে গোয়ালন্দ বাজারে এসে চা খাওয়ার জন্য একটু ব্রেক দিই। এটাই হচ্ছে বাইক ড্রাইভের আসল মজা নিজের স্বাধীনতা মতো যেখানে সেখানে থামা যায়। আর বাইক ড্রাইভের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে এভাবে ব্রেক দিলে বাইক ড্রাইভ করার সময় মনোযোগটা অনেক ভালো থাকে। আমরা গোয়ালন্দ বাজার থেকে মাত্র ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের ভেতরেই বাড়িতে পৌঁছে যায়।
বাড়িতে এসে সবার সাথে সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে চাই এবং গ্রামীণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই। গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ |
লোকেশন | ঢাকা, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনি ও আপনার বন্ধু প্ল্যান করে বাইকে গ্রূপিং করে বাড়িতে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো দাদা।আসলে হঠাৎ প্ল্যান করে তা বাস্তবায়ন করার মজাই আলাদা।তাছাড়া আপনাদের সঙ্গে আশা করি বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে পরে জানার অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ দিদি প্ল্যান আর গ্রুপিং করে বাড়ি আসার মজাই আলাদা। বেশ ভালোভাবেই বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।