ছোট ভাই "স্বার্থক-কে" নিয়ে বিকালে ঘোরাঘুরি
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২০ ই মার্চ, সোমবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ছোট বাচ্চাদের সাথে মিষ্টি আমার খুবই ভালো লাগে তাদের আধো আধো কথা শুনতে যেন মধুর লাগে। আমি যেখানেই যাই যায় না কেন সেখানে ছোট কোন বাচ্চা থাকলে তাদের সাথে সময় কাটায়, কারণ তাদের সাথে ঘুরতে কথা বলতে সময় কাটাতে খুবই পছন্দ করি আমি। ঢাকাতে আসার আগে যখন আমি বাড়িতে থাকতাম তখন ছোট ভাই স্বার্থক নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে ঘুরে বেড়াতাম আর ওর সাথে কথা বলতে তো খুবই বেশি ভালো লাগতো।
ছোট ভাই স্বার্থকের কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে একটি সুন্দর কভার ফটো তৈরি করেছি। কভার ফটোতে স্বার্থকে কে দেখতে বেশ দারুন লাগছে।
আমাদের বাড়ি থেকে কয়েকশ মিটার দূরেই একটি বড় সনাতন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে আমরা প্রায়ই ঘুরতে যেতাম। কারণ ধর্মীয় কোন স্থানে গেলে মন খুবই ভালো থাকে। আর আমার ভাই স্বার্থকও মন্দিরে যেতে খুবই ভালোবাসতো।
আমাদের বাড়ির পাশে সেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাংগাড়ীয়া মহাশ্মশান মন্দিরাঙ্গন। এখানে কয়েকটি মন্দির আছে এবং বড় একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান হয় অনেক ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে। আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠানে অনেকদিন যাবত দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানে চাবি আমাদের বাড়ির পাশে প্রতিষ্ঠান হওয়ার কারণে আমার বাবার কাছেই থাকে।
আর যখনই কেউ এই প্রতিষ্ঠানে ঘুরতে আসে তখনই আমার বাবার কাছে হয় ফোন দেয় আর না হয় বাড়িতে এসে আমাদের ভেতর যে কাউকে ডেকে নিয়ে যায়। সেদিন হঠাৎ করে এলাকার এক পুলিশ দাদা আমাকে ফোন দিয়ে বললে যে অংকন তুমি চাবিটা নিয়ে মন্দিরে এসো তাদের বাড়িতে নাকি বাইরে থেকে আত্মীয়-স্বজন আসছে তারা নাকি মন্দির দেখবে।
বিকালের দিকে আমি তখন আমার ছোট ভাই স্বার্থককে কোলে করে নিয়ে ব্যাঙ্গারিয়া মহাশ্মশান মন্দিরাঙ্গনের দিকে রওনা দিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে যাইতে ৪-৫ মিনিটের পথ।
আমি আর আমার ভাই স্বার্থক যাওয়ার আগেই দেখি তারা ওখানে পৌঁছে গেছে। তারপর চাবি দিয়ে মেইন গেইট খুলে এবং অন্যান্য মন্দির গুলো দেখাতে আরম্ভ করলাম।
তাদের দেখানোর সাথে সাথে আমার আর আমার ভাই সার্থকেরও বিকেলের দিকে একটু ঘোরাফেরা হয়ে গেল। মন্দিরে গেলে মন অটোমেটিক ভালো হয়ে যায়। তারপর ছোট ভাই সার্থক এর বিভিন্ন মডেলের কয়েকটি ছবি উঠিয়ে নিলাম। ছবি উঠতে বেশ ভালোই পারে।
যে ছবিগুলো উঠেছে তাতে কয়েকটি দেখে মনে হচ্ছে খুব মন খারাপ আছে আবার কয়েকটি ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুবই খুশিতে আছে। তবে আসলে মন্দিরে ঘুরাঘুরি করার পরে সেদিন ওর মন খুবই ভালো ছিল এবং খুবই আনন্দে ছিল। ঢাকাতে আসার পরে ওকে খুব মিস করি ওকে নিয়ে আর ঘুরতে যেতে পারি না। তবে যখনই বাড়িতে যাই না কেন সময়টা স্বার্থক কে নিয়েই কাটে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২০ এপ্রিল |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon


ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে আমার নিজেরও ভীষণ ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি আপনার ভাই সার্থকের সাথে বেশ ভালো সময় কাটাতেন। বিশেষ করে ওর ছবিগুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তাছাড়া আপনারা খুব সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন এই বিষয়টা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার ভাই স্বার্থকের মুখটা খুবই মায়াভরা।
আমার মত আপনারও ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে ভালো লাগে যেন খুশি হলাম। হ্যাঁ আপু সত্যি বলেছেন ওর মুখটা খুবই মায়াভরা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধর্মীয় কোন জায়গায় গেলে আসলেই মন ভালো হয়ে যায়। আপনি বাচ্চাদেরকে অনেক পছন্দ করেন তা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনার ছোট ভাই সার্থককে নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে। ঠিকই বলেছেন কিছু কিছু ছবিতে মনে হচ্ছে যে খুবই মন খারাপ তার। যাই হোক ভাল লাগল আপনার পোস্টটি পড়ে।
ধর্মীয় স্থানে গেলে যে কারো হৃদয় এক নিমিষেই ভালো হয়ে যায়। ওর মুড খুব সুইং করে তাই দেখতে কেমন লাগছে মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে খুব চিন্তিত আবার মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে খুব আনন্দিত। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন।সত্যি ভাইয়া এভাবে ছোট বাচ্চাদের সাথে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আর আপনাকে পুলিশ দাদা ফোন দিয়ে যেহেতু মন্দিরে নিয়ে গেছে তাই আপনি এদিকে পুলিশদের উপকারে লাগলেন আর অন্য দিকে নিজের ও অনেক ঘোরাঘুরি হয়ে গেল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যে কারো উপকারে লাগতেই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
বাড়ির পাশাপাশি এরকম মন্দির থাকলে খুবই ভালো লাগে,যেখানে নামযজ্ঞ আরও বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলো হয় সেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে।মন্দিরের পাশাপাশি বাড়ি হলে তাদের চাবি দিয়ে গেইট খোলার দায়িত্ব পালন করতে হয়।ছোট ভাই স্বার্থক বাবুকে খুবই কিউট লাগছে। স্বার্থক বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইলো।❤️❤️
বাড়ির পাশে বা বাড়িতে মন্দির থাকলে মনের ভিতর সব সময় ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে, এটা মনে হয় জানো ঈশ্বর সব সময় আমাদের সাথে আছে । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য দিদি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ♥️♥️♥️
আপনার ভাইকে নিয়ে এর আগেও মনে হয় সরিষা ক্ষেতের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। যাই হোক আজও আপনি স্বার্থক এর খুব কিউট কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। আপনার বাবা খুব ভাল দায়িত্ব পালন করছেন। বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ ভাই এর আগে দ্বীপ্তকে নিয়ে সরিষা খেতে ঘুরতে গেছিলাম সেসব মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছিলাম। সত্যি বলেছেন সার্থক দেখতে অনেক কিউট এবং ওর মুখটা মায়া ভরা। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চাদের সাথে কাটানো সময় গুলো অনেক সুন্দর হয়। তাদের কিউট মুখের হাসি সেই হাসিমাখা মুখের মিষ্টি কথা সত্যিই অনেক ভালো লাগার বিষয়। আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্ত সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। এই মুহূর্তটা সবসময় মধুর হোক সেটাই প্রত্যাশা করি।
বাচ্চাদের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আমার কাছে যেন মধুর লাগে। তাদের আধো আধো কথা হাসি মাখা মুখ দেখে মনটা ভরে যায়। আর তাদের হাত ধরে বেড়ানোর , কোলে করে বেড়ানোর, ভেতর আলাদা একটি ভালোবাসার অনুভব করা যায়।
আপনার বাবা দেখছেন বেশ বড় দায়িত্ব পালন করছে। বিকেলে ভাইকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমি প্রথম ভেবেছিলাম সার্থক আপনার বোন। একেবারে মেয়ে সেজে বসে আছে 😊। তবে ওর মুখটা খুব মায়া মায়া লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ওকে অনেকে দেখে মেয়ে ভেবে ভুল করে। তবে দেখতে অনেক কিউট এবং মায়া ভরা মুখ। ওর নিষ্পাপ নির্মল মুখ আর আধো আধো কথা গুলো শুনতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার ছোট ভাই স্বার্থক নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বিকেল বেলা। আসলে ছোট ভাই বোন, ভাগিনা ভাগ্নিদের সাথে সময় কাটানো মুহূর্ত গুলো খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। ভাইকে নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরেছেন। আপনার ভাইয়ের হাসিমুখের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমি সকল ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ছোট ভাই বোন থাকলে তাদেরকে নিয়ে এভাবে ঘুরাঘুরি করলে ভীষণ ভালোই লাগে কিন্তু। আপনি তো দেখছি আপনার ছোট ভাই সার্থককে নিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছেন। আপনার ছোট ভাই সার্থক তো দেখছি খুবই মিষ্টি দেখতে। আমার কাছে কিন্তু আপনার ছোট ভাই সার্থকের ছবি অসম্ভব ভালো লেগেছে। ভালোই কাটিয়েছেন তাহলে ভীষণ ভালো লাগলো দেখে।
হ্যাঁ ভাই সার্থক দেখতে অনেক মিষ্টি। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।